বোলপুর, 27 অক্টোবর: অনুব্রত মণ্ডলের ভাইকে বেধড়ক মারধরের অভিযোগ উঠেছে। রক্তাক্ত অবস্থায় বোলপুর থানার বাইরে পরে রইলেন সুমিত মণ্ডল। এমনকী চিকিৎসার জন্য তাঁকে হাসপাতালেও নিয়ে যাওয়া হয়নি বলে অভিযোগ উঠেছে বোলপুর থানার পুলিশের বিরুদ্ধে। সুমিতের দাবি, অনুব্রতর ভাই দাবি বলেই তাঁকে মারধর করা হয়েছে এবং ঠিক সেই কারণেই পুলিশি নিষ্ক্রিয় ছিল।
সুমিত মণ্ডল বলেন, "দুর্গা প্রতিমা বিসর্জনের সময় কামরুল আলি ও আকাশ কুণ্ডু আমাকে আক্রমণ করে। মেরে মাথা ফাঁটিয়ে দেয়। আমার দাদা আজ তিহারে বন্দি তাই আমাকে মারধর করা হয়েছে ৷ শুধু তাই নয়, পুলিশ আমার সঙ্গে অসহযোগিতা করছে ৷ আমি প্রচণ্ড অসুস্থতা বোধ করছি ৷ এতকিছুর পরও পুলিশ আমাকে হাসপাতালে নিয়ে যায়নি।"
বর্তমানে গরুপাচার মামলায় বীরভূমের তৃণমূল জেলা সভাপতি অনুব্রত মণ্ডল তিহার জেলে বন্দি ৷ এমনই আবহে তাঁর ভাই সুমিত মণ্ডলকে বেধড়ক মারধরের অভিযোগ উঠেছে এলাকারই দুই যুবকের বিরুদ্ধে ৷ অভিযোগ, অনুব্রত মণ্ডলের বোলপুরের বাড়ির কাছে পুকুরে প্রতিমা বিসর্জনের সময় তাঁকে আচমকাই মারধর করেন এলাকার দুই যুবক। মেরে তাঁকে রক্তাক্ত করে দেওয়া হয়। সেই অবস্থাতেই বোলপুর থানায় আসেন সুমিত।
আরও পড়ুন: বেহাল রাস্তা সংস্কারের দাবিতে ডেপুটি স্পিকারকে ঘিরে বিক্ষোভ বোলপুরে
এদিন, থানার বাইরে রক্তাক্ত অবস্থায় দীর্ঘক্ষণ পরে থাকতে দেখা যায় অনুব্রত মণ্ডলের ভাই সুমিত মণ্ডলকে ৷ থানার বাইরে বসেই পুলিশের উদ্দেশ্যে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার জন্য চিৎকার করতে থাকেন তিনি। অভিযোগ তাও তাঁকে হাসপাতালে নিয়ে যায়নি বোলপুর থানার পুলিশ ৷ এমনকী, কর্তব্যরত অফিসারকে দেখা যায় পোশাকহীন অবস্থায় ডিউটি করতে। তবে কী কারণে মারধরের ঘটনা ঘটেছে, তা পরিষ্কার নয় ৷ পাশাপাশি, এখনও পর্যন্ত এই ঘটনায় পুলিশের তরফে কোনও প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি ৷ খোদ শাসক শিবিরের জেলা সভাপতির ভাইকে মারধরের ঘটনায় রাজনৈতিক মহলে চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে।