দেউচা-পাচামি, ১৮ এপ্রিল: খোলামুখ কয়লা খনি প্রকল্প চাই না। হাতে তির-ধনুক নিয়ে জেলাশাসককে এলাকায় ঢুকতে বাধা আদিবাসীদের ৷ সরকারি পাট্টা ও চেক বিতরণ করে জমি অধিগ্রহণের জন্য এদিন গিয়েছিলেন বীরভূমের জেলাশাসক, জেলা পুলিশ সুপার-সহ প্রশাসনের আধিকারিকেরা (Anti mining protests in Deucha Pachami) ৷ বিক্ষোভের মুখে পড়ে ফিরে আসতে হয় তাঁদের ৷
আমেরিকার পর বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহত্তম খোলামুখ কয়লা খনি হতে চলেছে বীরভূমের দেউচা-পাচামি। কিন্তু, এখানে খনি প্রকল্প করতে গেলে উচ্ছেদ করতে হবে বহু গ্রামকে। পরিসংখ্যান অনুযায়ী এই এলাকায় কমপক্ষে 20টি গ্রামে 4,314টি বাড়িতে 21 হাজারেরও বেশি মানুষের বাস। এই অঞ্চলে অধিকাংশ গ্রাম আদিবাসী অধ্যুষিত। তাই জমি অধিগ্রহণের জন্য মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় একাধিক প্যাকেজ ঘোষণা করলেও, আদিবাসীদের একটা বড় অংশ জমি দিতে নারাজ ৷ অনিচ্ছুক জমিদাতারা প্রথম থেকেই 'বীরভূম জমি জীবন জীবিকা ও প্রকৃতি বাঁচাও মহাসভা' মঞ্চ বানিয়ে আন্দোলন করে আসছেন ৷
আরও পড়ুন : Deucha Pachami Project : দেউচা-পাচামি কয়লাখনি বিরোধী পথসভায় পুলিশি-বাধা, গ্রেফতার সিপিআইএম নেতারা
এদিন সরকারি চেক ও পাট্টা বিতরণ কর্মসূচি ছিল । যার মধ্য দিয়ে কয়লা খনির জন্য জমি অধিগ্রহণ করার কথা ৷ এই জন্য বীরভূম জেলাশাসক বিধান রায়, জেলা পুলিশ সুপার নগেন্দ্রনাথ ত্রিপাঠী-সহ প্রশাসনের আধিকারিকেরা গিয়েছিলেন দেউচা-পাচামি । মথুরাপাহাড়ি গ্রামে হাতে তির-ধনুক নিয়ে প্রশাসনের কর্তাব্যক্তিদের পথ আটকান গ্রামবাসীরা ৷ তাঁদের দাবি, কয়লা খনি প্রকল্প হবে না, এমনটা লিখিত ভাবে জানাক সরকার ৷ মুখের কথা শুনব না ৷ এককথায় প্রকল্পের জন্য জমি দিতে নারাজ আদিবাসীদের একটা বড় অংশ । বিক্ষোভের মুখে পড়ে জেলাশাসক, জেলাপুলিশ সুপার-সহ প্রশাসনের আধিকারিকদের ফিরে আসতে হয় ৷
প্রসঙ্গত, এই জট কাটাতে সদ্য আদিবাসী নেতাদের নিয়ে বৈঠক করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় । সেই বৈঠকে পরেও বরফ যে গলল না তা এদিন স্পষ্ট ৷ আদিবাসীদের বিক্ষোভে উত্তপ্তই হয়ে রইল বীরভূমের দেউচা-পাচামি ।