শান্তিনিকেতন, 28 সেপ্টেম্বর : পৌষমেলার মাঠে প্রাচীরের বিরুদ্ধে ফের একই স্থানে আন্দোলনের ডাক দিল 'পৌষমেলা মাঠ বাঁচাও কমিটি' । এই মর্মে এদিন শান্তিনিকেতন-বোলপুর জুড়ে মাইকের মাধ্যমে প্রচার করা হয় । প্রসঙ্গত, এদিন থেকে হাইকোর্টের তদন্ত কমিটির নির্দেশে শুরু হয় পৌষমেলার মাঠে প্রাচীর দেওয়ার কাজ । তারপরই পুনরায় 29 সেপ্টেম্বর সকালে আন্দোলনের ডাক দেওয়া হল ।
17 অগাস্ট পৌষমেলার মাঠে প্রাচীর দেওয়াকে কেন্দ্র করে ধুন্ধুমার বাধে । বোলপুর- শান্তিনিকেতন এলাকার কয়েকশো মানুষ চড়াও হয়ে রীতিমতো তাণ্ডব চালায় বিশ্বভারতী জুড়ে । এই তাণ্ডবে নেতৃত্ব দিতে দেখা গিয়েছিল স্থানীয় তৃণমূল বিধায়ক -কাউন্সিলরদের । এমনকী, শান্তিনিকেতন থানার সামনে এই ঘটনা ঘটে । সেই সময় পুলিশকে দেখা যায়নি বলেও অভিযোগ করেছিল বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষ । তাণ্ডবের সময় ভেঙে দেওয়া হয়েছিল নির্মাণ কাজ সহ বিশ্বভারতীর অস্থায়ী ক্যাম্প অফিস ও পৌষমেলার গেট । বিশ্বভারতীর ঐতিহ্য রক্ষা করতে স্বতঃপ্রণোদিত মামলা হয় কলকাতা হাইকোর্টে । প্রধান বিচারপতির নির্দেশে গঠিত হয় চার সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি । 20 সেপ্টেম্বর প্রথমবার শান্তিনিকেতনে আসে তদন্ত কমিটি । 26 ও 27 সেপ্টেম্বর দ্বিতীয় বার শান্তিনিকেতনে আসে তদন্ত কমিটি । কয়েক দফায় বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষ সহ জেলা প্রশাসন, আশ্রমিক, পড়ুয়া, স্থানীয় বাসিন্দা ও বোলপুর ব্যবসায়ী সমিতির সঙ্গে কথা বলেন কমিটির সদস্যরা । যদিও, "তদন্ত কমিটি নিরপেক্ষ নয়" বলে অভিযোগ তুলে বৈঠক বয়কট করে বোলপুর ব্যবসায়ী সমিতি । এদিন কলকাতা হাইকোর্টে তদন্ত কমিটির নির্দেশে পুনরায় পৌষমেলার মাঠে প্রাচীর দেওয়ার কাজ শুরু হয়।
এরপরেই এদিন বোলপুর-শান্তিনিকেতন জুড়ে মাইকের মাধ্যমে প্রচার করে আন্দোলনের ডাক দেওয়া হয় । 'পৌষমেলার মাঠ বাঁচাও কমিটি'র পক্ষ থেকে 29 সেপ্টেম্বর সকালে আন্দোলনের ডাক দেওয়া হয়েছে । 17 অগাস্ট ঠিক এভাবেই আন্দোলনের ডাক দেওয়া হয়েছিল । সেই আন্দোলন থেকে বিশ্বভারতীতে রীতিমতো তাণ্ডব চালানো হয়েছিল । এদিন প্রাচীর নির্মাণের কাজ শুরু হতেই ফের আন্দোলনের ডাক দেওয়া হয় ।