ETV Bharat / state

'ছুটি' দেয়নি পড়ুয়ারা, গরমের ছুটিতেও পড়ান "প্রিয় মাস্টারমশাই" - শিক্ষক দিবস

অবসরগ্রহণের পর ছাত্রদের অনুরোধে স্কুলে ফিরেছেন রামপুরহাট উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষক ডঃ নিখিল কুমার সিনহা । প্রিয় মাস্টারমশাইয়ের টানে গরমের ছুটিতেও স্কুলে গেছে পড়ুয়ারা । স্কুল খুলে ক্লাসের ব্যবস্থা করেছে কর্তৃপক্ষও ।

নিখিল কুমার সিনহা
author img

By

Published : Sep 5, 2019, 10:17 AM IST

Updated : Sep 5, 2019, 11:53 AM IST

রামপুরহাট, 5 সেপ্টেম্বর : দীর্ঘ 34 বছর ধরে ছাত্র পড়িয়েছেন । অবসর গ্রহণ করেছেন মাস কয়েক আগে । যদিও তা খাতা-কলমেই । ছাত্রদের অনুরোধে ফের ফিরতে হয়েছে স্কুলে । প্রিয় মাস্টারমশাইয়ের টানে গরমের ছুটিতেও স্কুলে এসেছে পড়ুয়ারা । স্কুল খুলে ক্লাসের ব্যবস্থা করেছে কর্তৃপক্ষও । রাষ্ট্রপতি পুরস্কারপ্রাপ্ত ডঃ নিখিল কুমার সিনহা পড়িয়ে চলেছেন বিনা পারিশ্রমিকে । পড়াতে যে তাঁর ভালো লাগে ।

বাবা মুদিখানা দোকানে কাজ করতেন । প্রথমে দুনিগ্রাম প্রাথমিক বিদ্যালয় । তারপর রামপুরহাট উচ্চ বিদ্যালয় । বিশ্ববিদ্যালয়ের ডিগ্রি অর্জনের পর বোটানিতে Ph.D করেন তিনি । কর্মজীবন শুরু হয় নিজের স্কুল রামপুরহাট উচ্চ বিদ্যালয়ে । সেখানে ছাত্র মানুষ করে কাটিয়ে দিয়েছেন 34টা বছর । পেয়েছেন সেরা সম্মান । রাষ্ট্রপতি পুরস্কারের পালক জুড়েছে তাঁর শিক্ষকতার মুকুটে । চলতি বছরের ফেব্রুয়ারিতে অবসর নিয়েছেন । ভেবেছিলেন, এইবার বিরাম । কিন্তু, কোথায় কী । ছাত্ররা যে সরকারি নিয়মের তোয়াক্কাই করে না । তাই ওদের অনুরোধেই ফের ফিরেছেন স্কুলে ।

teacher
রাষ্ট্রপতির হাত থেকে পুরস্কার নিচ্ছেন নিখিল কুমার সিনহা

এই বয়সে এত অনুপ্রেরণা পান কোথা থেকে ? উত্তরে এক গাল হেসে নিখিলবাবু বলেন, "আসলে বাবা খুব কর্মঠ ছিলেন । কাজ করতে ভালোবাসতেন । আর আমার মাস্টারমশাই, যাঁর সাহায্যে আমি Ph.D করেছি, তিনিও খুব পরিশ্রমী ছিলেন । ওঁরাই আমার অনুপ্রেরণা ।"

নিখিলবাবুর প্রিয় বিষয় বোটানি । আর প্রভাব পড়েছে তাঁর বাড়িতে । লুপ্তপ্রায় বহুগাছ লাগিয়েছেন নিজ উদ্যোগে । বাড়িতে যেখানে ফাঁকা জায়গা দেখেন সেখানে গাছ পুঁতে দেন । বলেন, "প্রকৃতির ভারসাম্য রক্ষায় গাছ তো লাগাতেই হবে ।"

গরমের ছুটিতেও পড়ান "প্রিয় মাস্টারমশাই

রামপুরহাট উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মহম্মদ নুরুজ্জামান বলেন, "ওঁর প্রতি গোটা স্কুল কৃতজ্ঞ । ধন্যবাদ দিয়ে ছোটো করব না ।"

এই সংক্রান্ত খবর : অবসরের পরও বিনা পারিশ্রমিকে পড়িয়ে চলেছেন মগড়ার ধ্রুব স্যার

স্কুলের পরিচালন কমিটির সম্পাদক এরশাদ হোসেন বলেন, "নিখিলবাবুর প্রতি আমরা আজীবন ঋণী । উনি আমাদের স্কুলের অহংকার, আমাদের গর্ব ।"

রামপুরহাট, 5 সেপ্টেম্বর : দীর্ঘ 34 বছর ধরে ছাত্র পড়িয়েছেন । অবসর গ্রহণ করেছেন মাস কয়েক আগে । যদিও তা খাতা-কলমেই । ছাত্রদের অনুরোধে ফের ফিরতে হয়েছে স্কুলে । প্রিয় মাস্টারমশাইয়ের টানে গরমের ছুটিতেও স্কুলে এসেছে পড়ুয়ারা । স্কুল খুলে ক্লাসের ব্যবস্থা করেছে কর্তৃপক্ষও । রাষ্ট্রপতি পুরস্কারপ্রাপ্ত ডঃ নিখিল কুমার সিনহা পড়িয়ে চলেছেন বিনা পারিশ্রমিকে । পড়াতে যে তাঁর ভালো লাগে ।

বাবা মুদিখানা দোকানে কাজ করতেন । প্রথমে দুনিগ্রাম প্রাথমিক বিদ্যালয় । তারপর রামপুরহাট উচ্চ বিদ্যালয় । বিশ্ববিদ্যালয়ের ডিগ্রি অর্জনের পর বোটানিতে Ph.D করেন তিনি । কর্মজীবন শুরু হয় নিজের স্কুল রামপুরহাট উচ্চ বিদ্যালয়ে । সেখানে ছাত্র মানুষ করে কাটিয়ে দিয়েছেন 34টা বছর । পেয়েছেন সেরা সম্মান । রাষ্ট্রপতি পুরস্কারের পালক জুড়েছে তাঁর শিক্ষকতার মুকুটে । চলতি বছরের ফেব্রুয়ারিতে অবসর নিয়েছেন । ভেবেছিলেন, এইবার বিরাম । কিন্তু, কোথায় কী । ছাত্ররা যে সরকারি নিয়মের তোয়াক্কাই করে না । তাই ওদের অনুরোধেই ফের ফিরেছেন স্কুলে ।

teacher
রাষ্ট্রপতির হাত থেকে পুরস্কার নিচ্ছেন নিখিল কুমার সিনহা

এই বয়সে এত অনুপ্রেরণা পান কোথা থেকে ? উত্তরে এক গাল হেসে নিখিলবাবু বলেন, "আসলে বাবা খুব কর্মঠ ছিলেন । কাজ করতে ভালোবাসতেন । আর আমার মাস্টারমশাই, যাঁর সাহায্যে আমি Ph.D করেছি, তিনিও খুব পরিশ্রমী ছিলেন । ওঁরাই আমার অনুপ্রেরণা ।"

নিখিলবাবুর প্রিয় বিষয় বোটানি । আর প্রভাব পড়েছে তাঁর বাড়িতে । লুপ্তপ্রায় বহুগাছ লাগিয়েছেন নিজ উদ্যোগে । বাড়িতে যেখানে ফাঁকা জায়গা দেখেন সেখানে গাছ পুঁতে দেন । বলেন, "প্রকৃতির ভারসাম্য রক্ষায় গাছ তো লাগাতেই হবে ।"

গরমের ছুটিতেও পড়ান "প্রিয় মাস্টারমশাই

রামপুরহাট উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মহম্মদ নুরুজ্জামান বলেন, "ওঁর প্রতি গোটা স্কুল কৃতজ্ঞ । ধন্যবাদ দিয়ে ছোটো করব না ।"

এই সংক্রান্ত খবর : অবসরের পরও বিনা পারিশ্রমিকে পড়িয়ে চলেছেন মগড়ার ধ্রুব স্যার

স্কুলের পরিচালন কমিটির সম্পাদক এরশাদ হোসেন বলেন, "নিখিলবাবুর প্রতি আমরা আজীবন ঋণী । উনি আমাদের স্কুলের অহংকার, আমাদের গর্ব ।"

Intro:Body:রামপুরহাট, 4 সেপ্টেম্বরঃ অবসরের পরও বিনা পারশ্রমিকে ছাত্রদের নিয়মিত পড়িয়ে চলেছেনে রামপুরহাট হাই স্কুলের রাষ্ট্রপতি পুরষ্কার প্রাপ্ত শিক্ষক ডঃ নিখিল কুমার সিনহা মহাশয়। তার জন্য গ্রীষ্মের ছুটিতেও স্কুল খুলে ছাত্রদের ক্লাস করার ব্যবস্থা করে রেখেছে স্কুল কতৃপক্ষ। এক কথায় ছাত্রদরে স্নেহ, অনুরোধ ও কাজ করার নেশা এডিয়ে অবসর হলেও অবসর সম্ভব হয়নি তার।ছেলে বেলা টা রামপুরহাট মহকুমারই প্রতন্ত্য গ্রাম দুনিগ্রামেরই কেটেছে তার। বাবা গ্রামেরই একটি মুদিখানা দোকানে কাজ করতেন। পড়াশুনা শুরু হয় দুনিগ্রাম প্রাথমিক বিদ্যালয়ে। তারপর রামপুরহাট হাই স্কুলে। আর আজ সেখানেই তিনি অবসর হওয়ার পরও বিনা পারশ্রমিক নিয়ে শিক্ষকতা করে চলেছেন।২০১৪ সালে তিনি শিক্ষকতার জন্য রাষ্ট্রপতি পুরষ্কার পান। ৩৪ বছর চাকরির পরও এত প্রেরণা কোথায় পান তিনি? এই প্রশ্নের উত্তরে নিখিল বাবু মুচকি হেসে বলেন, “ বাবা খুব খাটিয়ে মানুষ ছিলেন, কাজ করতে ভালো বাসতেন। আমার শিক্ষক, যার সাহা্য্যে আমি পি এচ ডি করেছি তিনিও খুব পরিশ্রমী তাই আমারও কাজ করতে ভাল লাগে।” নিখিল বাবু বোটানি পড়াতেন। খুব ভালবাসেন গাছ। বাড়িতে তার লুপ্ত প্রায় গাছের অভাব নেই। প্রতিদিন বাজারে যাওয়ার সময় একটি নিম গাছের চারা হাতে করে নিয়ে যান, যেখানে ফাঁকা জায়গা দেখেন পুঁতে দেন। তিনি বলেন, “ নিম গাছ গরু ছাগলে খায় না।তাই নিম গাছটা লাগাই। আমাদের প্রকৃতির ভারসাম্য রক্ষার ক্ষেত্রে গাছ লাগানোর প্রয়োজন আছে।” রামপুরহাট হাই স্কুলের পরিচালন কমিটির সম্পাদক এরশাদ হোসেন জানান,“ নিখিল বাবুর কাছে ছাত্রদের পাশাপাশি আমরাও ঋনী থাকবো। উনি আমাদের স্কুলের অংহকারে সঙ্গে গর্ব। Conclusion:
Last Updated : Sep 5, 2019, 11:53 AM IST
ETV Bharat Logo

Copyright © 2025 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.