বোলপুর, 10 জানুয়ারি : দেউচা পাচামির প্রস্তাবিত খোলামুখ কয়লাখনি প্রকল্প (Meeting on Deocha Pachami Coal Project) নিয়ে জরুরি প্রশাসনিক বৈঠক ৷ সোমবার বোলপুরের সার্কিট হাউসে এই বৈঠকের ডাক দেন পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য বিদ্যুৎ বণ্টন সংস্থার (West Bengal State Electricity Distribution Company) সচিব পি বি সেলিম ৷ বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন বোলপুরের বিধায়ক তথা রাজ্যের মন্ত্রী চন্দ্রনাথ সিং, বীরভূমের জেলাশাসক বিধান রায়, পুলিশ সুপার নগেন্দ্র ত্রিপাঠী, বোলপুরের মহকুমাশাসক অয়ন নাথ, বীরভূম জেলা পরিষদের মেন্টর অভিজিৎ সিংহ এবং পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য গ্রামোন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (West Bengal State Rural Development Authority) চেয়ারম্যান অনুব্রত মণ্ডল (Anubrata Mandal) ৷
সূত্রের দাবি, দেউচা পাচামি নিয়ে জমি জট কাটাতেই এদিন এই বৈঠকের আয়োজন করা হয় ৷ কিন্তু, এই বিষয়ে প্রশাসনের তরফে কেউ কোনও মন্তব্য করতে রাজি হননি ৷ বৈঠকের পর অনুব্রত মণ্ডল-সহ অধিকাংশ ব্যক্তিই সাংবাদিকদের সঙ্গে কোনও কথা না বলে গাড়িতে উঠে চলে যান ৷ শেষমেশ জেলাশাসক সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বললেও বিস্তারিত কিছুই জানাননি ৷ একইসঙ্গে, দেউচা পাচামি নিয়ে কোনওরকম জমিজট থাকার কথাও অস্বীকার করেন তিনি ৷
আরও পড়ুন : Deucha Pachami Coal Mine Project in Bengal: কয়লা শিল্পের জন্য জমি দিতে নারাজ দেউচা-পাচামির গ্রামবাসীরা
ভৌগোলিকভাবে বীরভূমের দেউচা পাচামি ছোটনাগপুর মালভূমি অঞ্চলের অন্তর্ভুক্ত ৷ বিশেষজ্ঞদের অনুমান, এখানকার প্রায় 3 হাজার 400 একর জমিজুড়ে 210 কোটি 20 লক্ষ টন কয়লা মাটির নিচে মজুত রয়েছে ৷ এছাড়া, কয়লার উপরের স্তরে 1 হাজার 148 হেক্টর অংশজুড়ে রয়েছে আগ্নেয় ব্যাসল্ট শিলা ৷ খনন শুরু করলে ভৃপৃষ্ঠ থেকে মাত্র 200 মিটার গভীরেই কয়লার নাগাল পাওয়া যাবে ৷ তাই এখানে কয়লাখনি তৈরি হলে গোটা এলাকারই ভোল বদলে যাবে বলে আশা প্রশাসনের ৷ কিন্তু, স্থানীয় আদিবাসী সম্প্রদায়ের একটা বড় অংশই প্রকল্পের জন্য জমি দিতে রাজি নন ৷ প্রকল্প নিয়ে সন্দীহান পরিবেশপ্রেমীরাও ৷ তার উপর রয়েছে রাজনীতি ৷ সব মিলিয়ে প্রকল্প রূপায়নে বাড়ছে জটিলতা ৷ সেই জট কাটাতেই এদিনের এই বৈঠক বলে দাবি সূত্রের ৷