বাঁকুড়া, 24 জুন: আগামী 8 জুলাই অনুষ্ঠিত হতে চলেছে রাজ্যের ত্রিস্তরীয় পঞ্চায়েত নির্বাচন। তারই আগে টিকিট না-পেয়ে দলত্যাগী হতে দেখা গিয়েছে তৃণমূলের অনেক নেতা-কর্মীদের। কেউ কেউ অভিমানে দলীয় প্রতীকে নির্বাচনে অংশগ্রহণের সুযোগ না-পাওয়ায় নির্দলের হয়ে মনোনয়ন পত্র জমা করেছে। এই ধরনের কর্মকাণ্ডে ভোট ব্যাংকে কি ব্যাপক প্রভাব পড়বে ? এটা এখনই বড় প্রশ্ন।
প্রসঙ্গত, বাঁকুড়া জেলার গঙ্গাজলঘাটিতে ব্লক তৃণমূলের তরফ থেকে একটি নির্বাচনী জনসভার আয়োজন করা হয়। সেখানে উপস্থিত হন তৃণমূলের রাজ্য স্তরের নেতা জয়প্রকাশ মজুমদার। এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন অন্যান্য তৃণমূলের স্থানীয় নেতৃত্ব। এদিনের সভামঞ্চ থেকে বিদায়ী পঞ্চায়েত প্রধানকে নির্দলের হয়ে লড়াই করার জন্য প্রকাশ্যে দল থেকে বের করে দেওয়ার ঘোষণা করেন তৃণমূলের গঙ্গাজলঘাঁটির ব্লক সভাপতি হৃদয় মাধব দুবে।
2023-এর পঞ্চায়েত নির্বাচনে তৃণমূলের হয়ে টিকিট না-পাওয়ায় অভিমানে নির্দলের প্রার্থী হয়েছেন বলেই জানান বিদায়ী পঞ্চায়েত প্রধান চঞ্চল নায়ক। এই চঞ্চল নায়ক দু'বারের গঙ্গাজলঘাটি পঞ্চায়েতের পঞ্চায়েত প্রধান। গঙ্গাজলঘাটি তৃণমূল কংগ্রেসের ব্লক সভাপতি হৃদয় মাধব দুবে বলেন, "দলীয় নির্দেশেই তাঁকে দল থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে । যে কোনও কর্মীকেই বহিষ্কার করতে আমাদের খারাপ লাগে। কিন্তু কেউ দল বিরোধী কাজ করলে শৃঙ্খলার দিকটাও ভেবে দেখতে হয়। তাই এমনটা করা হয়েছে ৷"
আরও পড়ুন: রাজ্যের ভোট ময়দানে নামল কেন্দ্রীয় বাহিনী, শনি থেকেই রুট মার্চ
অন্যদিকে, তৃণমূল কংগ্রেসের টিকিট না মেলায় নির্দল প্রার্থী হিসেবে মনোনয়ন জমা করেন চঞ্চল নায়ক । অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের কড়া হুঁশিয়ারির পরেও মনোনয়ন তোলেননি এই বিদায়ী প্রধান। গোঁজ প্রার্থী হিসাবে দলের নির্দেশ অমান্য করেই শেষমেশ গঙ্গাজলঘাটির 154 নম্বর বুথের তিনি নির্দল প্রার্থী হন। শুধু তিনি একা নন, তাঁর আরও তিন অনুগামী এই গ্রাম পঞ্চায়েতেরই নির্দল প্রার্থী হিসেবে মনোনয়ন দেন। পঞ্চায়েত ভোটের মুখে শাসক দলের এই ধরনের ভাঙন ভোট বাক্সে কতটা প্রভাব ফেলবে সেটাই এখন দেখার বিষয়।