ETV Bharat / state

কোরোনা আক্রান্তের পরিবারের 29 সদস্যের পরীক্ষা নিয়ে উদাসীনতার অভিযোগ

পরিবারের এক সদস্য কোরোনায় আক্রান্ত ৷ বাকি সদস্যদের কোরোনা পরীক্ষা করাতে যেতে হবে প্রায় 20 কিলোমিটার ৷ পরিবারের সদস্য সংখ্যা 30 ৷ কী করে হবে কোরোনা পরীক্ষা? এই অবস্থায় প্রশাসনের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন পরিবারের সদস্যরা ৷

কোরোনায় আক্রান্ত
কোরোনায় আক্রান্ত
author img

By

Published : Jul 13, 2020, 9:21 PM IST

শালবনি (বাঁকুড়া), 13 জুলাই : বিমল লাহা (নাম পরিবর্তিত) ৷ বয়স 48 বছর ৷ গত শুক্রবার তাঁর শরীরে মিলেছে কোরোনা ভাইরাসের সংক্রমণ ৷ তারপরই তাঁকে ভরতি করা হয়েছে বাঁকুড়ার ওন্দা কোরোনা হাসপাতলে ৷ এরপরই সমস্যার সূত্রপাত ৷ বিমল লাহা-র যৌথ পরিবার ৷ আটটি শিশু মিলিয়ে পরিবারে মোট 30 জন সদস্য ৷ বাঁকুড়ার শালবনি গ্রামের বাসিন্দা তারা ৷ বিমলের শরীরে কোরোনা ভাইরাসের সংক্রমণ ধরা পড়ার পর থেকেই চিন্তায় লোহ পরিবারের বাকি সদস্যরা ৷

তাদের অভিযোগ, পরিবারের একজনের শরীরে কোরোনা ভাইরাসের সংক্রমণ ধরা পরেছে ৷ এই পরিস্থিতিতে পরিবারের সকলের কোরোনা পরীক্ষা করানো দরকার ৷ কিন্তু কোরোনা পরীক্ষা করাতে যেতে হবে শালবনি গ্রাম থেকে প্রায় 20 কিলোমিটার দূরে কাঞ্চনপুর গ্রামীণ হাসপাতালে ৷ অথচ এই পরিস্থিতিতে গণপরিবহন ব্যবহার করা সম্ভব নয় ৷ এই অবস্থায় পরিবারের এতজন সদস্য কীভাবে হাসপাতালে গিয়ে কোরোনা পরীক্ষা করাবে তা নিয়ে চিন্তায় পড়েছেন পরিবারের সদস্যরা ৷

পরিবারের এক সদস্য কৌশিক লাহার (নাম পরিবর্তিত) অভিযোগ, "স্থানীয় ব্লক প্রশাসন এবং পঞ্চায়েত প্রধানের কাছে বারবার অনুরোধ করা সত্ত্বেও তাঁদের কোরোনা পরীক্ষার জন্য হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার কোনও সরকারিভাবে ব্যবস্থা করা হয়নি ।" এই অবস্থায় এতজন সদস্য কীভাবে হাসপাতালে গিয়ে হাজির হবেন তা ভেবে পাচ্ছেন না পরিবারের সদস্যরা।

এই প্রসঙ্গে বাঁকুড়া জেলাশাসক এস অরুণ প্রসাদের কাছে জানতে চাওয়া হলে তিনি জানান, "স্বাস্থ্য বিভাগের সঙ্গে আমার কথা হয়েছে ৷ স্বাস্থ্য বিভাগের তরফে আমাকে জানানো হয়েছে, ওই পরিবারের কোরোনা পরীক্ষা করার ব্যবস্থা করা হবে ৷ প্রয়োজনে তাদের বাড়ি গিয়ে স্বাস্থ্য আধিকারিকেরা সোয়াবের নমুনা সংগ্রহ করবেন ৷"

শুক্রবার পরিবারে এক সদস্যের শরীরে কোরোনা ভাইরাসের সংক্রমণ দেখা দিয়েছে ৷ এরপর কেটে গেছে তিন দিন ৷ এখনও পর্যন্ত জেলার স্বাস্থ্য বিভাগের তরফে পরিবারের অন্যান্য সদস্যদের কোরোনা পরীক্ষার কেন ব্যবস্থা করা হল না তা নিয়ে ইতিমধ্যেই উঠতে শুরু করেছে প্রশ্ন ৷

শালবনি (বাঁকুড়া), 13 জুলাই : বিমল লাহা (নাম পরিবর্তিত) ৷ বয়স 48 বছর ৷ গত শুক্রবার তাঁর শরীরে মিলেছে কোরোনা ভাইরাসের সংক্রমণ ৷ তারপরই তাঁকে ভরতি করা হয়েছে বাঁকুড়ার ওন্দা কোরোনা হাসপাতলে ৷ এরপরই সমস্যার সূত্রপাত ৷ বিমল লাহা-র যৌথ পরিবার ৷ আটটি শিশু মিলিয়ে পরিবারে মোট 30 জন সদস্য ৷ বাঁকুড়ার শালবনি গ্রামের বাসিন্দা তারা ৷ বিমলের শরীরে কোরোনা ভাইরাসের সংক্রমণ ধরা পড়ার পর থেকেই চিন্তায় লোহ পরিবারের বাকি সদস্যরা ৷

তাদের অভিযোগ, পরিবারের একজনের শরীরে কোরোনা ভাইরাসের সংক্রমণ ধরা পরেছে ৷ এই পরিস্থিতিতে পরিবারের সকলের কোরোনা পরীক্ষা করানো দরকার ৷ কিন্তু কোরোনা পরীক্ষা করাতে যেতে হবে শালবনি গ্রাম থেকে প্রায় 20 কিলোমিটার দূরে কাঞ্চনপুর গ্রামীণ হাসপাতালে ৷ অথচ এই পরিস্থিতিতে গণপরিবহন ব্যবহার করা সম্ভব নয় ৷ এই অবস্থায় পরিবারের এতজন সদস্য কীভাবে হাসপাতালে গিয়ে কোরোনা পরীক্ষা করাবে তা নিয়ে চিন্তায় পড়েছেন পরিবারের সদস্যরা ৷

পরিবারের এক সদস্য কৌশিক লাহার (নাম পরিবর্তিত) অভিযোগ, "স্থানীয় ব্লক প্রশাসন এবং পঞ্চায়েত প্রধানের কাছে বারবার অনুরোধ করা সত্ত্বেও তাঁদের কোরোনা পরীক্ষার জন্য হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার কোনও সরকারিভাবে ব্যবস্থা করা হয়নি ।" এই অবস্থায় এতজন সদস্য কীভাবে হাসপাতালে গিয়ে হাজির হবেন তা ভেবে পাচ্ছেন না পরিবারের সদস্যরা।

এই প্রসঙ্গে বাঁকুড়া জেলাশাসক এস অরুণ প্রসাদের কাছে জানতে চাওয়া হলে তিনি জানান, "স্বাস্থ্য বিভাগের সঙ্গে আমার কথা হয়েছে ৷ স্বাস্থ্য বিভাগের তরফে আমাকে জানানো হয়েছে, ওই পরিবারের কোরোনা পরীক্ষা করার ব্যবস্থা করা হবে ৷ প্রয়োজনে তাদের বাড়ি গিয়ে স্বাস্থ্য আধিকারিকেরা সোয়াবের নমুনা সংগ্রহ করবেন ৷"

শুক্রবার পরিবারে এক সদস্যের শরীরে কোরোনা ভাইরাসের সংক্রমণ দেখা দিয়েছে ৷ এরপর কেটে গেছে তিন দিন ৷ এখনও পর্যন্ত জেলার স্বাস্থ্য বিভাগের তরফে পরিবারের অন্যান্য সদস্যদের কোরোনা পরীক্ষার কেন ব্যবস্থা করা হল না তা নিয়ে ইতিমধ্যেই উঠতে শুরু করেছে প্রশ্ন ৷

ETV Bharat Logo

Copyright © 2024 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.