বাঁকুড়া, 16 জুন : নয় নয় করে বছর 10 পার ৷ কংক্রিটের পাকা সেতু তৈরির কাজ চলছেই ৷ কেশিয়াকোল, বিকনা, হেবিরমোড় সহ প্রায় 50 থেকে 60 টি গ্রামের বাসিন্দাদের শহরের সঙ্গে যোগাযোগের একমাত্র অবলম্বন গন্ধেশ্বরী নদীর উপর অস্থায়ী সেতু ৷ কিন্তু প্রতি বছর বর্ষায় অস্থায়ী সেতুটি ভেঙে জলের তলায় তলিয়ে যায় ৷ তারপরের কয়েক দিন কাটে প্রবল যন্ত্রণায় ৷ এবছরও ছবিটা বদলায়নি ৷
বাঁকুড়ার সতীঘাট এলাকায় গন্ধেশ্বরী নদীর উপর বাঁকুড়া শহরের সঙ্গে গ্রামাঞ্চলের সংযোগকারী সেতু তৈরি হচ্ছে গত 10 বছর ধরে । ঘটা করে আন্তর্জাতিক নির্মাণ সংস্থা লারসেন ট্রুবোকে সেতু তৈরির বরাত দিয়েছিল তৎকালীন পৌর ও সেচ দফতর । তারপর থেকেই বিভিন্ন টালবাহানায় সেতু তৈরির কাজ হচ্ছে ঢিমেতালে । যতদিন পর্যন্ত না বড় সেতু তৈরি হয় ততদিন শহরের সঙ্গে গ্রামের সংযোগ ঘটাতে বাঁকুড়া পৌরসভার উদ্যোগে তৈরি করা হয়েছিল একটি অস্থায়ী মাটির সেতু । গতকাল রাত থেকে টানা বৃষ্টির জেরে গন্ধেশ্বরী নদীতে জলস্তর বেড়েছে । আর এর ফলেই জলের তলায় পৌরসভার অস্থায়ী ব্রিজ।
স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ , টানা 10-15 বছর ধরে সেতু নির্মাণের কাজ চলছে ৷ একবার সেতু তৈরির কাজ শুরু হয়েছিল শুধু ৷ তারপর থেকে আর কই কাজ হচ্ছে ? পরেই আছে ব্রিজ ৷ প্রতি বছর পৌরসভা অস্থায়ী সেতু তৈরি করছে ৷ আর প্রতি বছর সেই সেতু ভেঙে যাচ্ছে ৷ এবারেও তাই হল ৷
আরও পড়ুন :Amit Mitra : সেলের হেড কোয়ার্টার সরাবেন না, ধর্মেন্দ্র প্রধানকে চিঠি অমিত মিত্রর
অন্যদিকে বাঁকুড়া পৌরসভার প্রশাসক মণ্ডলীর সদস্য দিলীপ অগরওয়াল অভিযোগের আঙুল তুললেন সেচ দফতরের দিকে ৷ বললেন , " এটা পৌরসভার কাজ নয় ৷ সেচ দফতরকে সেতু তৈরির দায়িত্ব দেওয়া হয়েছিল ৷ কিন্তু সঠিক গতিতে সেতু তৈরির কাজ হচ্ছে না ৷ ফলে ভোগান্তি হচ্ছে এলাকাবাসীর ৷ আমাদের তরফে আগের বছরও কয়েক লাখ টাকা খরচ করে সেতু তৈরি করে দেওয়া হয়েছিল ৷ কিন্তু যা ভাবা হয়েছিল তাই হল ৷ জলটা কমুক ৷ যতদিন না স্থায়ী সেতু তৈরি হচ্ছে , ততদিন পর্যন্ত দুই থেকে তিন বছর স্থায়ী হবে এমন একটা অস্থায়ী সেতু তৈরি করে দেওয়া হবে ৷ "
অন্যদিকে স্থানীয়দের বক্তব্য , এই অস্থায়ী সেতু দিয়েই শহরের সঙ্গে গ্রামের মানুষেরা কম সময়ের মধ্যে যাতায়াত করতে পারতেন ৷ এখন সেতুটি জলের তলায় ৷ ফলে সাত থেকে আট কিলোমিটার ঘুরে 60 নম্বর জাতীয় সড়কের উপর দিয়ে যাতায়াত করতে হবে এক প্রান্ত থেকে অপর প্রান্তে ৷