বাঁকুড়া, 28 ফেব্রুয়ারি : প্যাকেটবন্দী খাদ্য সামগ্রীতে প্রস্তুতের তারিখ এবং তা অব্যবহার্য হওয়ার সময়সীমা নির্ধারণ করা থাকে ৷ ঠিক সেভাবেই এখন থেকে মিষ্টান্ন ব্যবসায়ীদেরও মিষ্টি তৈরি করে সেখানে প্রস্তুতের তারিখ এবং অব্যবহার্য হওয়ার তারিখ উল্লেখ করতে হবে ৷ এমনই নির্দেশিকা জারি করল ফুড সেফটি অ্যান্ড স্ট্যান্ডার্ড অথরিটি অফ ইন্ডিয়া । এই নির্দেশনামায় ক্রেতাদের তরফে সন্তোষ প্রকাশ করা হয়েছে ।
অনেক সময় অসাধু ব্যবসায়ীরা টাটকা মিষ্টি না দেওয়ায় তাঁরা শারীরিক সমস্যায় পড়েন । এক্ষেত্রে ক্রেতাদের পক্ষেও সম্ভবপর হয়ে ওঠে না কোন সময়ে বা কদিন আগে তা তৈরি করা হয়েছে বুঝে ওঠা । তাই এই নির্দেশিকা বাস্তবায়িত হলে আখেরে ক্রেতাদেরই সুবিধে হবে । অন্যদিকে মিষ্টি ব্যবসায়ীদের দাবি, ছানা থেকে যে সমস্ত মিষ্টান্ন তৈরি করা হয় তা 8 ঘণ্টা থেকে 24 ঘণ্টা পর্যন্ত ব্যবহারের উপযোগী থাকে । সুতরাং এই সময় পেরিয়ে গেলে তা নষ্ট হয়ে যায় এবং ক্রেতাদের দেওয়া যায় না । কাজেই এই নির্দেশনামার কোনও প্রয়োজন ছিল না বলেই মনে করছেন তাঁরা । পশ্চিমবঙ্গ মিষ্টান্ন ব্যবসায়ী সমিতি এই সরকারি সিদ্ধান্তের সম্পূর্ণ বিরোধিতা করেছে । যদিও তাঁরা মনে করেন, কিছু অসাধু ব্যবসায়ী রয়েছেন যাঁরা সময় অতিক্রান্ত মিষ্টান্ন ক্রেতাদের ভুল বুঝিয়ে বিক্রি করেন এবং তা কোনওভাবেই সমর্থনযোগ্য নয় ৷ তবে সেই সমস্যার সমাধান করতে এই সিদ্ধান্ত সঠিক নয় । তাঁদের বক্তব্য, খুচরো মিষ্টান্ন বিক্রি করার ক্ষেত্রে বড় সমস্যা দেখা দেবে । একটি বা দুটি সন্দেশ অথবা অন্যকিছু কোনও ক্রেতাকে বিক্রি করতে হলে সেখানেও যদি এই প্রস্তুতের সময় এবং ব্যবহারের সময় উল্লেখ করতে হয় তাহলে তাঁদের যে সংখ্যক প্যাকেট ব্যবহারিক সময় উল্লেখ করে ছাপাতে হবে তাতে ব্যবসায় বড় ক্ষতি হবে । তাঁদের দাবি, ক্রেতারা যথেষ্ট সচেতন ৷ তাই তাঁদের এভাবে ঠকানো প্রায় অসম্ভব অসাধু ব্যবসায়ীদের পক্ষে । মোটের উপর এই নির্দেশনামা কোনওভাবেই মেনে নেওয়া সম্ভব নয় বলছেন সমিতির সদস্যরা ।
24 ফেব্রুয়ারি ভারত সরকারের ফুড সেফটি অ্যান্ড স্ট্যান্ডার্ড অথরিটি অফ ইন্ডিয়ার তরফে দেশের মিষ্টান্ন ব্যবসায়ীদের উদ্দেশ্যে একটি নির্দেশিকা জারি করা হয়েছে । এই নির্দেশিকাতে বলা হয়েছে, এখন থেকে ক্রেতাদের স্বাস্থের কথা মাথায় রেখে মিষ্টান্ন ব্যবসায়ীদের প্রস্তুত করা মিষ্টান্নতে প্রস্তুতের সময় এবং তা কত সময় পর্যন্ত ব্যবহার করা যাবে উল্লেখ করতে হবে ।
ফুড সেফটি অথরিটির এই সিদ্ধান্ত বাস্তবে রূপায়ণ করা কীভাবে সম্ভব তা নিয়ে ধোঁয়াশার মধ্যে রাজ্যের মিষ্টান্ন ব্যবসায়ীরা ।