মুকুটমণিপুর, 18 নভেম্বর: এমন পর্যটনস্থলের সংখ্যা কম, যেখানে নীল আকাশ, নদীর স্বচ্ছ জল আর সবুজ ঘাসের দেখা মিলবে একসঙ্গে ৷ সেই হাতে গোনা জায়গাগুলির মধ্যে অন্যতম বাঁকুড়ার মুকুটমণিপুর (Tourist spot Mukutmanipur in Bankura) ৷
এখানে জল, জঙ্গল আর পাহাড়ের অদ্ভুত মেলবন্ধন ৷ এর টানে বাংলা তো বটেই, দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে আসেন পর্যটকেরা ৷ জলাধারের নীল জল, চারিদিকে পাহাড় বেষ্টিত অপরূপ দৃষ্টিনন্দন ভোগ করতে শীত পড়লেই পরিযায়ী পাখির মতন পর্যটকের ঢল নামে মুকুটমণিপুরে । রাজ্যের দিঘা বা দার্জিলিংয়ের পর্যটন কেন্দ্রকে নতুন করে সাজিয়ে তোলা হয়েছে ৷ পর্যটনশিল্পে জোর দেওয়া হয়েছে ৷
স্থানীয়দের দীর্ঘদিনের দাবি ছিল, দিঘা-দার্জিলিংয়ে যেভাবে সেলফি জোন তৈরি হয়েছে, সেভাবে বাঁকুড়ার মুকুটমণিপুরেও তৈরি হোক সেলফি জোন ৷ তাই স্থানীয় ও পর্যটকদের ইচ্ছে পূরণে মুকুটমণিপুরে তৈরি হল সেলফি জোন ৷ এখানে লেখা 'আই লাভ মুকুটমণিপুর' (I love Mukutmanipur) । এই সেলফি জোন উন্মোচনের পর বহু মানুষ আসছেন এখানে ৷
আরও পড়ুন: বাংলার রাষ্ট্রসংঘের পর্যটন পুরস্কার প্রাপ্তির কৃতিত্ব উত্তরবঙ্গকে দিলেন মমতা
তার উপর ঠাণ্ডার আমেজ, শীতের মরশুম ৷ তাই বহু পর্যটকের ডেস্টিনেশন মুকুটমণিপুর ৷ এবছর তাঁদের বাড়তি পাওনা এই সেলফি জোন । এই উপহারে বেজায় খুশি পর্যটকেরা ৷ এক তরুণ পর্যটক সত্যম সেনগুপ্ত বললেন, "দিঘা, দার্জিলিংয়ে এরকম সেলফি জোন থাকলেও এখানে বেশি ভালো লাগছে ৷" তিনি ভোরে এসেছেন, তাই রাতে লাইট জ্বলা 'আই লাভ মুকুটমণিপুর' দেখতে পাননি ৷ তবে অপেক্ষা করবেন ৷ সন্ধে নামলে আলো জ্বলবে 'মুকুটমণিপুরে' ৷ তখন সত্যম তাঁর বন্ধুদের সঙ্গে সেলফি তুলবে ৷