ETV Bharat / state

শুশুনিয়ার পাথর শিল্পই দেখাচ্ছে কর্মসংস্থানের পথ

শুশুনিয়া পাহাড় থেকে পাথর নিয়ে তাতে নানারকম কারুকার্য করতেন শিল্পীরা । প্রথমদিকে এই শিল্পের প্রসার ও জনপ্রিয়তা ছিল না ঠিকই । কিন্তু এখন এই শিল্প থেকেই মাসে প্রায় 15 হাজার টাকা করে রোজগার করেন এই শিল্পীরা ।

পাথর শিল্প
author img

By

Published : Oct 17, 2019, 11:23 PM IST

Updated : Oct 18, 2019, 7:59 PM IST

শুশুনিয়া, 17 অক্টোবর : কাজের অভাবে যখন দেশে বেকারের সংখ্যা বাড়ছে তখন বাঁকুড়ায় কর্মসংস্থান জোগাচ্ছে শুশুনিয়ার পাথর শিল্প । আর তাই এলাকার অনেকেই এই কাজ শেখার প্রতি আগ্রহ প্রকাশ করছে । এই কাজের সঙ্গে যুক্ত শিল্পীদের বক্তব্য, যদি সরকার সাহায্য করে তাহলে এই শিল্পের প্রসারের পাশাপাশি অনুন্নত এলাকার অনেক বেকার মানুষকে এই কাজে যুক্ত করা যাবে ।

শুশুনিয়া পাহাড় থেকে পাথর নিয়ে তাতে নানারকম কারুকার্য করতেন শিল্পীরা । তাদের হাতের কাজের দক্ষতায় এক একটা পাথর রূপ পেত সুন্দর স্থাপত্যের । তার মধ্যে দেব দেবীর মূর্তি থেকে ঘর সাজানোর জিনিস সবই থাকত । প্রথমদিকে এই শিল্পের প্রসার ও জনপ্রিয়তা ছিল না ঠিকই । কিন্তু এখন এই শিল্প থেকেই মাসে প্রায় 15 হাজার টাকা করে রোজগার করেন এই শিল্পীরা ।

কিন্তু হঠাৎ করে এই শিল্পের প্রসার হল কী করে ?

শিল্পীরা জানাচ্ছেন, ষাটের দশকে সরকারের তরফে এই শিল্পের প্রতি আগ্রহী ও এই কাজে যুক্ত মানুষদের এক বিশেষ প্রশিক্ষণ দেওয়া হয় । তারপর থেকেই শুরু হয় এই পাথর শিল্পের প্রসার । পাশাপাশি এই পাথর শিল্পের প্রসারের পিছনে কাজ করছে একটা বৃত্ত । কিন্তু সেটা কী রকম ? বর্তমানে শুশুনিয়া গ্রামে প্রায় একশো মানুষ এই পাথর শিল্পের সঙ্গে যুক্ত । যাদের মধ্য তিনজন রাষ্ট্রপতি পুরস্কার প্রাপ্ত । পাশাপাশি একাধিক শিল্পী রাজ্য সরকারের বিশেষ পুরস্কার প্রাপ্ত । এই শিল্পীদের থেকে বহু নবাগত কাজ শিখছে । তারপর নিজেরাই স্বতন্ত্রভাবে এই শিল্পের কাজ করছে । আবার তাদের থেকে অনেকে কাজ শিখছে । এইভাবেই মানুষের মধ্যে জনপ্রিয় হয়ে ওঠে শুশুনিয়ার পাথর শিল্প ।

দেখুন ভিডিয়ো

বর্তমানে শুশুনিয়া পাহাড়ের রক্ষণাবেক্ষণের জন্য সেখান থেকে পাথর নেওয়া হয় না ঠিকই । তবে, ওড়িশা, তামিলনাড়ু ও রাজস্থান থেকে পাথর আমদানি করে তৈরি হয় নিখুঁত স্থাপত্য । এখন শিল্পীদের শুধু একটাই অনুরোধ । অনুন্নত এলাকার মানুষকে এই শিল্প নিয়ে ওয়াকিবহাল করতে সরকারি তরফে ফের একটি প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করা হলে তাহলে আগামী দিনে রাজ্যে আরও কর্মসংস্থান হতে পারে ।

শুশুনিয়া, 17 অক্টোবর : কাজের অভাবে যখন দেশে বেকারের সংখ্যা বাড়ছে তখন বাঁকুড়ায় কর্মসংস্থান জোগাচ্ছে শুশুনিয়ার পাথর শিল্প । আর তাই এলাকার অনেকেই এই কাজ শেখার প্রতি আগ্রহ প্রকাশ করছে । এই কাজের সঙ্গে যুক্ত শিল্পীদের বক্তব্য, যদি সরকার সাহায্য করে তাহলে এই শিল্পের প্রসারের পাশাপাশি অনুন্নত এলাকার অনেক বেকার মানুষকে এই কাজে যুক্ত করা যাবে ।

শুশুনিয়া পাহাড় থেকে পাথর নিয়ে তাতে নানারকম কারুকার্য করতেন শিল্পীরা । তাদের হাতের কাজের দক্ষতায় এক একটা পাথর রূপ পেত সুন্দর স্থাপত্যের । তার মধ্যে দেব দেবীর মূর্তি থেকে ঘর সাজানোর জিনিস সবই থাকত । প্রথমদিকে এই শিল্পের প্রসার ও জনপ্রিয়তা ছিল না ঠিকই । কিন্তু এখন এই শিল্প থেকেই মাসে প্রায় 15 হাজার টাকা করে রোজগার করেন এই শিল্পীরা ।

কিন্তু হঠাৎ করে এই শিল্পের প্রসার হল কী করে ?

শিল্পীরা জানাচ্ছেন, ষাটের দশকে সরকারের তরফে এই শিল্পের প্রতি আগ্রহী ও এই কাজে যুক্ত মানুষদের এক বিশেষ প্রশিক্ষণ দেওয়া হয় । তারপর থেকেই শুরু হয় এই পাথর শিল্পের প্রসার । পাশাপাশি এই পাথর শিল্পের প্রসারের পিছনে কাজ করছে একটা বৃত্ত । কিন্তু সেটা কী রকম ? বর্তমানে শুশুনিয়া গ্রামে প্রায় একশো মানুষ এই পাথর শিল্পের সঙ্গে যুক্ত । যাদের মধ্য তিনজন রাষ্ট্রপতি পুরস্কার প্রাপ্ত । পাশাপাশি একাধিক শিল্পী রাজ্য সরকারের বিশেষ পুরস্কার প্রাপ্ত । এই শিল্পীদের থেকে বহু নবাগত কাজ শিখছে । তারপর নিজেরাই স্বতন্ত্রভাবে এই শিল্পের কাজ করছে । আবার তাদের থেকে অনেকে কাজ শিখছে । এইভাবেই মানুষের মধ্যে জনপ্রিয় হয়ে ওঠে শুশুনিয়ার পাথর শিল্প ।

দেখুন ভিডিয়ো

বর্তমানে শুশুনিয়া পাহাড়ের রক্ষণাবেক্ষণের জন্য সেখান থেকে পাথর নেওয়া হয় না ঠিকই । তবে, ওড়িশা, তামিলনাড়ু ও রাজস্থান থেকে পাথর আমদানি করে তৈরি হয় নিখুঁত স্থাপত্য । এখন শিল্পীদের শুধু একটাই অনুরোধ । অনুন্নত এলাকার মানুষকে এই শিল্প নিয়ে ওয়াকিবহাল করতে সরকারি তরফে ফের একটি প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করা হলে তাহলে আগামী দিনে রাজ্যে আরও কর্মসংস্থান হতে পারে ।

Intro:শুশুনিয়ার পাথর শিল্প ষাটের দশকে শুরু হয়ে মাত্র এই কয় দশকের মধ্যে ব্যাপক বিস্তার লাভ করেছে এলাকায়। কর্মসংস্থান হয়েছে প্রচুর বেকার যুবকের।


Body:ষাটের দশকে সরকারিভাবে শুশুনিয়া পাহাড়ের বিক্ষিপ্তভাবে পাথর শিল্পের কাজ করা শিল্পীদেরকে একটি বিশেষ ট্রেনিং দেওয়া হয়েছিল। সেই ট্রেনিং এরপর থেকেই শুরু হয় পাথর শিল্পের প্রসার। বর্তমানে শুশুনিয়া গ্রামে প্রায় একশর মত পাথর শিল্পী রয়েছেন। এদের মধ্যে তিনজন রয়েছেন রাষ্ট্রপতি পুরস্কার প্রাপ্ত শিল্পী ছাড়াও একাধিক শিল্পী রয়েছেন যারা রাজ্য সরকারের বিশেষ পুরস্কার একাধিকবার পেয়েছেন।
অতীতে শুশুনিয়া পাহাড় থেকে পাথর নিয়েই এই শিল্পীরা কাজ করতেন তবে বর্তমানে পাহাড়ের রক্ষণাবেক্ষণের কারণে পাথর আমদানি করা হয় ওড়িশা, তামিলনাড়ু রাজস্থান থেকে।
এখানে বিভিন্ন দেবদেবীর মূর্তি থেকে শুরু করে ঘর সাজানোর জন্য বিভিন্ন শোপিস ও তৈরি করা হয়। রাষ্ট্রপতি পুরস্কার প্রাপ্ত শিল্পীদের কাছে কাজ শিখেছেন বহু ছেলে এবং তারা এখন নিজেরাই সেই শিল্পের কাজ করছেন বাড়িতে বসে। এরা এই কাজ করে প্রতিমাসে ন্যূনতম 10 হাজার টাকার মতো রোজগার করেন।
সরকারি উদ্যোগে এই শিল্পের যদি আরো প্রসার ঘটানো হয় এবং অনুন্নত এলাকার মানুষকে এই শিল্প নিয়ে ওয়াকিবহাল করে তাদের বিশেষ প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করা হয় তাহলে হয়তো আগামী দিনে আরও অনেক কর্মসংস্থান হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে এ রাজ্যে।


Conclusion:বাইট: সৌভিক কর্মকার,শিল্পী
বাইট: নয়ন দত্ত, রাষ্ট্রপতি পুরস্কার প্রাপ্ত শিল্পী
বাইট: সনাতন কর্মকার, রাষ্ট্রপতি পুরস্কার প্রাপ্ত শিল্পী
Last Updated : Oct 18, 2019, 7:59 PM IST
ETV Bharat Logo

Copyright © 2024 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.