বাঁকুড়া, 28 এপ্রিল : করোনা পরিস্থিতিতে অক্সিজেনের অপ্রয়োজনীয় মজুত ও কালোবাজারি রুখতে এবার বাঁকুড়ায় কোমর বেঁধে নামল ড্রাগ কন্ট্রোল ও এনফোর্সমেন্ট ব্রাঞ্চ। আজ ওই দুই দফতরের আধিকারিকরা যৌথ ভাবে বাঁকুড়া শহরের বিভিন্ন অক্সিজেন ডিলারের দোকানে হানা দেন। ডিলারদের কাছে অক্সিজেনের স্টক, বিক্রয়ের দাম সহ অন্যান্য বিষয় খতিয়ে দেখার পাশাপাশি অক্সিজেন ভাড়া দেওয়ার ক্ষেত্রে অস্বাভাবিক সিকিউরিটি মানি জমা রাখার সুনির্দিষ্ট অভিযোগ পেয়ে এক ডিলারকে ধমকও দেন ড্রাগ কন্ট্রোল বিভাগের আধিকারিকরা।
দেশজুড়ে করোনার দ্বিতীয় ঢেউ থাবা বসাতেই অক্সিজেনের বিপুল ঘাটতি তৈরি হয়েছে । স্রেফ অক্সিজেনের অভাবে প্রতিদিন মৃত্যু হচ্ছে করোনা রোগীর । স্বাভাবিক ভাবেই দুর্মূল্য হয়ে উঠছে অক্সিজেন । রোগীরা ছাড়াও অনেকেই ভবিষ্যতের কথা ভেবে বাড়িতে মজুত করছেন এই জীবনদায়ী গ্যাস । আর এই ঘাটতিকে কাজে লাগিয়ে একাংশ অসৎ ব্যবসায়ী অক্সিজেনের কালোবাজারি শুরু করেছে ।
অভিযোগ, প্রেসক্রিপশন না দেখেই অক্সিজেন বিক্রি করা হচ্ছে । অক্সিজেন সিলিন্ডার ভাড়া দেওয়ার ক্ষেত্রে দামের কয়েকগুণ সিকিউরিটি হিসাবে জমা রাখছেন অক্সিজেনের ডিলাররা । বাঁকুড়া জেলায় এমনই কিছু অভিযোগ পেতেই আজ নড়েচড়ে বসল ড্রাগ কন্ট্রোল ও এনফোর্সমেন্ট ব্রাঞ্চ । ওই দুই দফতরের যৌথ উদ্যোগে হানা দিল বাঁকুড়া শহরের একাধিক অক্সিজেন ডিলারের দোকানে ।
আরও পড়ুন : পশ্চিম মেদিনীপুর-সহ জঙ্গলমহলে অক্সিজেন প্লান্টের তদারকিতে প্রশাসনিক কর্তারা
দোকানগুলিতে স্টক, কাদের সিলিন্ডার বিক্রি করা হয়েছে তার তালিকা খতিয়ে দেখেন আধিকারিকরা । ভাড়া নেওয়ার ক্ষেত্রে ক্রেতার পরিবারের কাছ থেকে সিলিন্ডারের দামের প্রায় দ্বিগুণ টাকা সিকিউরিটি মানি হিসাবে জমা রাখায় নীলাচল ট্রেডার্স নামের এক অক্সিজেন ডিলারকে ধমক দিয়ে ভবিষ্যতে এমন কাজ না করার ব্যাপারে সতর্ক করে দেন ড্রাগ কন্ট্রোলের আধিকারিকরা । যদিও ওই ডিলার পরে অভিযোগ অস্বীকার করেছেন ।