বাঁকুড়া, 6মে: লকডাউন শুরু হওয়ার পর বন্ধ করা হয়েছিল পালস পোলিও টিকাকরণের কর্মসূচি । ফলে বহু নবজাতকের পোলিও টিকাকরণ করা সম্ভব হয়নি জেলা স্বাস্থ্য বিভাগের পক্ষ থেকে । গতকাল রাজ্য সরকারের উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সঙ্গে একটি ভিডিয়ো কনফারেন্স হয় জেলা স্বাস্থ্য বিভাগের । এরপর সেখান থেকে নির্দেশিকা দেওয়া হয় বাঁকুড়া জেলায় পালস পোলিও কর্মসূচি পুনরায় চালু করার । নির্দেশ মতো আজ থেকে শুরু হল এই কর্মসূচি । বাঁকুড়া সদরের মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিকের দপ্তরে ঢাকা সদর হাসপাতালে এই কর্মসূচি শুরু হয়েছে ।
এছাড়াও জেলার প্রতিটি ব্লকে ব্লকে প্রাথমিক স্বাস্থ্য কেন্দ্রে শুরু করা হচ্ছে এই পোলিও কর্মসূচি । যেহেতু বাঁকুড়া জেলা গ্রিন ক্যাটাগরিতে রয়েছে তাই এই অনুমতি মিলেছে বলে জানান জেলার মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক শ্যামল সোরেন । সাধারণত প্রতি বুধবার এই কর্মসূচি করা হত । তবে যেহেতু এতদিন বন্ধ ছিল, তাই এখন প্রতি সপ্তাহে সোমবার, বুধবার ও শুক্রবার এই তিন দিন চলবে কর্মসূচি । তবে এক্ষেত্রে সবচেয়ে জোর দেওয়া হয়েছে সামাজিক দূরত্বকে । পাশাপাশি শিশুর সঙ্গে আসা অভিভাবকদের মাস্ক ব্যবহার করার উপর গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে । এছাড়াও প্রতিদিন প্রতিটি কেন্দ্রে 20 জন করে শিশুকে পোলিও দেওয়া হবে । সেক্ষেত্রে যেখানে পোলিও দেওয়া হবে সেই কেন্দ্রে গিয়ে নাম নথিভুক্ত করতে হবে । নামের তালিকা অনুযায়ী নির্ধারিত দিন দেওয়া হবে পোলিও দেওয়ার ।
নবজাতক শিশুদের মধ্যে অনেকেরই জন্মের পরবর্তী ছয় সপ্তাহের পর পোলিও টিকাকরণের দিন নির্ধারণ করা হয়েছিল । লকডাউনের ফলে অনেকের ক্ষেত্রেই সেই সময়সীমা অতিক্রান্ত হয়েছে । এ নিয়ে উদ্বিগ্ন অনেক অভিভাবক । এক্ষেত্রে জেলা স্বাস্থ্য বিভাগ জানিয়েছে, শিশুদের জন্মের ছয় সপ্তাহ পরেই পোলিও দেওয়ার কথা বলা হয় । কিন্তু তারপরেও একটি নির্ধারিত সময় থাকে । সেই সময়ের মধ্যে পোলিও দেওয়া হলে সম্পূর্ণ সুরক্ষিত থাকে শিশু । লকডাউনের ফলে যাদের ক্ষেত্রে পোলিওর টিকাকরণ করা যায়নি পূর্বনির্ধারিত সময়ে তাদের অভিভাবকদের এই মুহূর্তে দুশ্চিন্তার কোনও কারণ নেই বলে জানান জেলা মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক ।
