ETV Bharat / state

তালা ভেঙে শিক্ষিকার ফ্ল্যাটে হানা, বাঁকুড়া পুলিশের জালে এমএ পাশ চোর

MA Pass Thief in Bankura: বয়স 35 বছর ৷ ভালো পোশাক, সাদামাটা চেহারা ৷ প্রাক্তন কেন্দ্রীয় সরকারি কর্মচারি ৷ চুরির অভিযোগে পুলিশের জালে ধরা পড়তেই বায়োডাটা শুনে চক্ষু চড়কগাছ আধিকারিকদের ৷

MA Pass Thief
বাঁকুড়া পুলিশের জালে এমএ পাশ চোর
author img

By ETV Bharat Bangla Team

Published : Jan 13, 2024, 7:53 PM IST

বাঁকুড়া, 13 জানুয়ারি: ইংরেজিতে এমএ ৷ পাশাপাশি রয়েছে আইনের ডিগ্রি ৷ শুধু তাই নয়, ছিলেন কেন্দ্রীয় সরকারি কর্মচারি ৷ চোরের বিবৃতি শুনে চক্ষু চড়কগাছ খাঁকি উর্দি ধারীদের । ঘটনাটি বাঁকুড়া সদর থানার ৷

জানা গিয়েছে, গত 3 জানুয়ারি বাঁকুড়া শহরের বুকে কেরানীবাঁধে শিক্ষিকার ফ্ল্যাট থেকে তালা ভেঙে নগদ টাকা-সহ গহনা অন্যান্য সামগ্রী চুরির অভিযোগ ওঠে । সেই ঘটনায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হয় বাঁকুড়া সদর থানায় । সেই লিখিত অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্তে নামে পুলিশ । এরপর সিসি ক্যামেরার ছবি ও অন্যান্য গোপন সূত্রকে কাজে লাগিয়ে চোরকে ধরতে গত বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় পূর্ব মেদিনীপুরের মেচেদায় পাড়ি দেয় বাঁকুড়া সদর থানার পুলিশ । এই চুরির ঘটনায় যুক্ত থাকার অভিযোগে মেচেদা বাসস্ট্যান্ড থেকে গ্রেফতার করা হয় সৌমাল্য চৌধুরী নামে বছর 35-এর এক যুবককে ৷

এতদূর পর্যন্ত সবই ঠিক ছিল ! কিন্তু তদন্তকারী পুলিশ অফিসারদের চোখ রীতিমতো কপালে উঠে যায় চোরের বায়োডাটা শুনে ৷ কারণ এই চোর যে সে চোর নয় ! সৌমাল্যের দাবি, তাঁর রয়েছে ইংরেজিতে স্নাতকোত্তরের ডিগ্রি ৷ তিনি অর্জন করেছেন আইনের ডিগ্রিও । সূত্র মারফত খবর, সৌমাল্য চৌধুরীর বাবা-মা কর্মসূত্রে আসানসোলের বাসিন্দা ছিলেন । বাবা কোনও এক সরকারি দফতরের কর্মী ছিলেন ৷ মা পেশায় স্কুল শিক্ষিকা ।

তদন্তকারী পুলিশ আধিকারিকেরা জানান, সৌমাল্য পড়াশোনাতে ছোটবেলা থেকেই মেধাবী ছিলেন । তবে ডিগ্রি নিয়েই তিনি ক্ষান্ত থাকেননি , এই যুবক ভারতীয় রেলের দক্ষিণ পূর্ব জোনের খড়গপুর এবং আদ্রা ডিভিশনে কয়েক বছর কর্মরতও ছিলেন । কিন্তু এর বেশ কয়েক বছর পরই মানসিক বিকারগ্রস্ত হয়ে পড়ায় তাঁকে ছেড়ে দিতে হয় কেন্দ্রীয় সরকারের ওই চাকরি । পরবর্তীতে তিনি নিজেকে চুরি বিদ্যায় পারদর্শী করে তোলেন । এই প্রথম নয়, একের পর এক চুরির ঘটনার সঙ্গে জড়িত সৌমাল্য ৷ এমনটাই তদন্তে উঠে এসেছে বলে দাবি পুলিশের ।

প্রাথমিকভাবে পুলিশের অনুমান, 'ক্লিপটোম্যানিয়া' নামে একটি মানসিক রোগে আক্রান্ত যুবক । 'ক্লিপটোম্যানিয়া' হল, এমন একটি মানসিক বিকার যেখানে কোন এক ব্যক্তির চুরির প্রতি আসক্ত হয়ে ওঠে । বাঁকুড়ার পুলিশ সুপার বৈভব তিওয়ারি বলেন, "কোনও অভাবের জেরে নয়, অভ্যাসের জেরেই সে এই কাজ করে । বিভিন্ন জায়গা থেকে তাঁর বিরুদ্ধে চুরির অভিযোগ রয়েছে ৷ অনেকবার পুলিশের জালে ধরাও পড়েছে । বাঁকুড়ার এই চুরির পুরো ঘটনাটা বিশদে খতিয়ে দেখছে পুলিশ ।"

আরও পড়ুন:

  1. নবমীতে বাড়ি ফাঁকা রেখে প্রতিমা দর্শন! লক্ষাধিক টাকার গয়না নিয়ে চম্পট দুষ্কৃতীরা
  2. কলকাতায় চুরি যাচ্ছে জলের মিটার, সমস্যার মুখে ওয়াটার লস ম্যানেজমেন্ট প্রকল্প
  3. বারুইপুরে স্কুলের আলমারি ভেঙে চুরি 15 হাজার টাকা, চাঞ্চল্য এলাকায়

বাঁকুড়া, 13 জানুয়ারি: ইংরেজিতে এমএ ৷ পাশাপাশি রয়েছে আইনের ডিগ্রি ৷ শুধু তাই নয়, ছিলেন কেন্দ্রীয় সরকারি কর্মচারি ৷ চোরের বিবৃতি শুনে চক্ষু চড়কগাছ খাঁকি উর্দি ধারীদের । ঘটনাটি বাঁকুড়া সদর থানার ৷

জানা গিয়েছে, গত 3 জানুয়ারি বাঁকুড়া শহরের বুকে কেরানীবাঁধে শিক্ষিকার ফ্ল্যাট থেকে তালা ভেঙে নগদ টাকা-সহ গহনা অন্যান্য সামগ্রী চুরির অভিযোগ ওঠে । সেই ঘটনায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হয় বাঁকুড়া সদর থানায় । সেই লিখিত অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্তে নামে পুলিশ । এরপর সিসি ক্যামেরার ছবি ও অন্যান্য গোপন সূত্রকে কাজে লাগিয়ে চোরকে ধরতে গত বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় পূর্ব মেদিনীপুরের মেচেদায় পাড়ি দেয় বাঁকুড়া সদর থানার পুলিশ । এই চুরির ঘটনায় যুক্ত থাকার অভিযোগে মেচেদা বাসস্ট্যান্ড থেকে গ্রেফতার করা হয় সৌমাল্য চৌধুরী নামে বছর 35-এর এক যুবককে ৷

এতদূর পর্যন্ত সবই ঠিক ছিল ! কিন্তু তদন্তকারী পুলিশ অফিসারদের চোখ রীতিমতো কপালে উঠে যায় চোরের বায়োডাটা শুনে ৷ কারণ এই চোর যে সে চোর নয় ! সৌমাল্যের দাবি, তাঁর রয়েছে ইংরেজিতে স্নাতকোত্তরের ডিগ্রি ৷ তিনি অর্জন করেছেন আইনের ডিগ্রিও । সূত্র মারফত খবর, সৌমাল্য চৌধুরীর বাবা-মা কর্মসূত্রে আসানসোলের বাসিন্দা ছিলেন । বাবা কোনও এক সরকারি দফতরের কর্মী ছিলেন ৷ মা পেশায় স্কুল শিক্ষিকা ।

তদন্তকারী পুলিশ আধিকারিকেরা জানান, সৌমাল্য পড়াশোনাতে ছোটবেলা থেকেই মেধাবী ছিলেন । তবে ডিগ্রি নিয়েই তিনি ক্ষান্ত থাকেননি , এই যুবক ভারতীয় রেলের দক্ষিণ পূর্ব জোনের খড়গপুর এবং আদ্রা ডিভিশনে কয়েক বছর কর্মরতও ছিলেন । কিন্তু এর বেশ কয়েক বছর পরই মানসিক বিকারগ্রস্ত হয়ে পড়ায় তাঁকে ছেড়ে দিতে হয় কেন্দ্রীয় সরকারের ওই চাকরি । পরবর্তীতে তিনি নিজেকে চুরি বিদ্যায় পারদর্শী করে তোলেন । এই প্রথম নয়, একের পর এক চুরির ঘটনার সঙ্গে জড়িত সৌমাল্য ৷ এমনটাই তদন্তে উঠে এসেছে বলে দাবি পুলিশের ।

প্রাথমিকভাবে পুলিশের অনুমান, 'ক্লিপটোম্যানিয়া' নামে একটি মানসিক রোগে আক্রান্ত যুবক । 'ক্লিপটোম্যানিয়া' হল, এমন একটি মানসিক বিকার যেখানে কোন এক ব্যক্তির চুরির প্রতি আসক্ত হয়ে ওঠে । বাঁকুড়ার পুলিশ সুপার বৈভব তিওয়ারি বলেন, "কোনও অভাবের জেরে নয়, অভ্যাসের জেরেই সে এই কাজ করে । বিভিন্ন জায়গা থেকে তাঁর বিরুদ্ধে চুরির অভিযোগ রয়েছে ৷ অনেকবার পুলিশের জালে ধরাও পড়েছে । বাঁকুড়ার এই চুরির পুরো ঘটনাটা বিশদে খতিয়ে দেখছে পুলিশ ।"

আরও পড়ুন:

  1. নবমীতে বাড়ি ফাঁকা রেখে প্রতিমা দর্শন! লক্ষাধিক টাকার গয়না নিয়ে চম্পট দুষ্কৃতীরা
  2. কলকাতায় চুরি যাচ্ছে জলের মিটার, সমস্যার মুখে ওয়াটার লস ম্যানেজমেন্ট প্রকল্প
  3. বারুইপুরে স্কুলের আলমারি ভেঙে চুরি 15 হাজার টাকা, চাঞ্চল্য এলাকায়

For All Latest Updates

ETV Bharat Logo

Copyright © 2024 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.