মেজিয়া, 28 ডিসেম্বর : দীর্ঘদিন ধরেই তাঁর কাছে অভিযোগ আসছিল বাঁকুড়ার মেজিয়ার গ্রাম পঞ্চায়েত প্রধান সঠিক সময়ে পঞ্চায়েতে আসেন না ৷ তার জেরে অসুবিধায় পড়েন গ্রামের সাধারণ মানুষ ৷ তাই সেই অভিযোগ কতটা সত্যি তা দেখার জন্য শালতোড়ার বিজেপি বিধায়ক চন্দনা বাউড়ি (Chandana Bauri on Mejia Gram Panchayat) স্বয়ং পঞ্চায়েত অফিসে গিয়ে দেখেন সত্যিই পঞ্চায়েত প্রধান সেখানে নেই ৷ সেখানে উপস্থিত লোকজনকে জিজ্ঞাসা করলে তারা জানান, প্রধান আসার কোনও নির্দিষ্ট সময় নেই ৷ কখনও কখনও বেলা তিনটের সময়েও আসেন ৷
বিধায়কের অভিযোগের সত্যতা যাচাই করতে মঙ্গলবার সংবাদমাধ্যম মেজিয়া গ্রাম পঞ্চায়েতে হাজির হয় ৷ বেলা সাড়ে 12টা বেজে গেলেও তখনও দেখা নেই প্রধানের ৷ কিছুক্ষণ অপেক্ষা করতেই 1টা নাগাদ এলেন প্রধান প্রতিমা দাস ৷
আরও পড়ুন : BJP MLA : স্বামীকে ছেড়ে বিজেপি বিধায়কের দ্বিতীয় বিয়ে ? বিরোধীদের অপপ্রচার, অভিযোগ চন্দনার
এরপর নিজের বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগের উত্তরে মেজিয়ার তৃণমূলের পঞ্চায়েত প্রধান প্রতিমা দাস বলেন, "প্রতিদিন ঘড়ির কাঁটা মাফিক আসা হয় না, বাইরের বিভিন্ন কাজকর্মের জন্য ৷ আর শালতোড়া বিধানসভার বিধায়ক হঠাৎ করে না জানিয়ে যে দিন পঞ্চায়েতে এসে উপস্থিত হয়েছিলেন, সেই দিন অসুস্থ থাকার জন্য পঞ্চায়েতে আসতে পারিনি ৷ এমনকি ওইদিন বিডিও অফিসের মিটিংয়েও আমি উপস্থিত থাকতে পারিনি ৷ আপনারা এলাকায় খোঁজ নিয়ে দেখতে পারেন আমি পঞ্চায়েতে উপস্থিত থাকি কি না ।"
এদিন তিনি বিধায়কের উপস্থিতির বিরুদ্ধে প্রশ্ন তুলে বলেন, "আমাকে অনেক জন এসে বলেন এমএলএ-র সই চাই ৷ কিন্তু তাঁকে পাওয়া যায় না ৷"
পঞ্চায়েতের কর্মী-সহ স্থানীয় বাসিন্দারা অবশ্য দাবি করেন, প্রধান প্রতিদিনই পঞ্চায়েতে আসেন ৷ সব কাজেই তাঁকে পাওয়া যায় ৷ সাধারণ মানুষের কোনও অসুবিধা হয় না ৷
আরও পড়ুন : মুখোমুখি শালতোড়ার বিজেপি বিধায়ক চন্দনা বাউরি