বাঁকুড়া, 16 এপ্রিল: আসানসোল শহর ও তার আশেপাশের বন্যপ্রাণ ফটোগ্রাফার ও পক্ষী প্রেমী ও পাখি বিশারদদের নববর্ষ কাটল পাখি পর্যবেক্ষণ করে। ই-বার্ড পোর্টাল, বার্ডওয়াচর্স সোসাইটি এবং আসানসোলের ওয়াইল্ড টাসকার্সের সঙ্গে যৌথভাবে বাঁকুড়ার বিহারীনাথ পাহাড়ে পাখি পর্যবেক্ষণ করলেন দিনভর । নববর্ষের দিন এই পাখি পর্যবেক্ষণে বেশ কয়েকটি পাখি নতুনভাবে পক্ষীপ্রেমীদের ক্যামেরায় ধরা দিয়েছে । শুধু তাই নয় তারা এই সিদ্ধান্তে পৌঁছেছে যে গরমকালে যে সমস্ত পাখি মাইগ্রেট করতে আসে সেই সমস্ত পাখির সংখ্যা বহুল পরিমাণে বেড়েছে অর্থাৎ বিহারীনাথ পাহাড়ের বাস্তুতন্ত্র যথেষ্ট ভালো এবং তার প্রাকৃতিক পরিবেশ সুন্দর ।
শুধু শীতকালে নয় মাইগ্রেটেড পাখির সংখ্যা দিনের পর দিন বাড়ছে আসানসোল শিল্পাঞ্চলে । পাশাপাশি দামোদর নদীর ধারে এবং পুরুলিয়া ও বাঁকুড়ার পাহাড় অঞ্চলগুলিতেও প্রচুর পরিমাণে পাখি দেখা গিয়েছে। বেশ কয়েকটি পাখির রেকর্ডও হয়েছে ইতিমধ্যে। এমনিতে দূষিত শহর হিসেবে আসানসোল পরিচিত হলেও দামোদর নদীর চারপাশ এবং দামোদর পেরিয়েই ওই পাড়ে বাঁকুড়ার বিহারীনাথ পাহাড় কিংবা গড় পঞ্চকোটের বেশ কিছুটা অংশে বাস্তুতন্ত্র এখনও পর্যন্ত সঠিক রয়েছে বলে পাখি বিশারদরা দাবি করছেন ।
আরও পড়ুন: পয়লা পার্বণের মাতালেন মহিলা ঢাকিরা, তাঁদের জীবনের খোঁজ নিল ইটিভি ভারত
তাদের মতে, এখানকার বাস্তুতন্ত্র ঠিকঠাক থাকায় গরম কালে মাইগ্রেট করতে আসা পাখির সংখ্যা বাড়ছে। এই টিমের পক্ষ থেকেই নববর্ষের দিন একটি বিশেষ পর্যবেক্ষণ চালানো হয় বিহারীনাথ পাহাড়ে । সেখানে বেশ কয়েকটি প্রজাতির পাখিকে দেখতে পাওয়া গিয়েছে বলে জানিয়েছেন ফটোগ্রাফার সপ্তর্ষি মুখোপাধ্যায়। তিনি বলেন, "দুধরাজ কিংবা শাহী বুলবুল, কালো ঘাড় রাজন, কাস্তে চরা, শামুকখোল, হরিয়াল, লাল গির্দি, কাবাসী পাখিগুলিকে দেখা গিয়েছে । তবে পাখিগুলো নতুন নয় । কিন্তু দুধরাজদের আসাটা খুব গুরুত্বপূর্ণ । ওরা আসে বাচ্চা দিতে । সামার মাইগ্রেন্ট হিসেবে। আজ প্রায় 12টার মত পেয়েছি । অর্থাৎ বিহারীনাথের বাস্তুতন্ত্র একদম ঠিকঠাক । যেহেতু এখানে পর্যটকদের যাতায়াত কম তাই আগামী দিনে পাখিদের সংখ্যা আরও বাড়বে বলে জানিয়েছেন তিনি ।