শালতোড়া, 6 জুন : চিকিৎসকই নেই, তাই বন্ধ চিকিৎসা পরিষেবা । দীর্ঘদিন ধরে ডাক্তারের অভাবের কারণে বন্ধ হওয়ার মুখে বাঁকুড়ার শালতোড়া ব্লকের কাশতোড়া প্রাথমিক স্বাস্থ্য কেন্দ্র (Bankura Health Center)। স্বাস্থ্যকেন্দ্রে গেলে মনে হয় যেন কোনও ধ্বসংস্তূপ । ঝোপজঙ্গলে ঢেকে গিয়েছে স্বাস্থ্য কেন্দ্রের একাংশ । আর সূর্য ডুবলেই শুরু হয় সমাজবিরোধীদের আড্ডা ৷ রাতের অন্ধকারে চলে মদের আসর । অথচ আশেপাশের বেশ কয়েকটি গ্রামের কয়েক হাজার বাসিন্দা প্রাথমিক চিকিৎসার জন্য এই স্বাস্থ্যকেন্দ্রের উপর নির্ভরশীল ।
স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ, এখানে কোনও চিকিৎসক আসেন না । তাই রোগভোগ হলে তাঁরা কাশতোড়ার স্বাস্থ্যকেন্দ্রে আর আসেন না । তাঁরা জানান, বছর কয়েক আগেও রোজ চিকিৎসকের দেখা মিলত । ওষুধও পাওয়া যেত । সে সব এখন অতীত । এখন প্রাথমিক চিকিৎসাটুকুও হয় না । এখন কেন্দ্রটি সামলান স্বাস্থ্যকর্মী সোনালী গড়াই ও ফার্মাসিস্ট গণেশ চন্দ্র মণ্ডল । গণেশ বাবু জানান ডাক্তার না আসায় রোগীদের বিনা প্রেসক্রিপশনে দরকারি ঔষধ তিনিই দেন, এভাবেই চলছে দীর্ঘ কয়েক বছর ধরে । তাঁর দাবি, রোজ রাতে চোরের উপদ্রব হয় । হাসপাতালটিতে নেই কোনও পাহারাদারও ।
আরও পড়ুন : স্বাস্থ্যসাথী কার্ড নিতে অস্বীকার নার্সিংহোমের, আধিকারিকের দারস্থ হওয়ার পর মিলল পরিষেবা
স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ, কয়েক বছর ধরে রোগী দেখা বন্ধ এই স্বাস্থ্যকেন্দ্রে । তবে শেষ কবে চিকিৎসক এসেছিলেন তা তাঁরা জানেনই না । স্থানীয় বাসিন্দাদের কথায়, হাতের নাগালে সরকারি স্বাস্থ্যকেন্দ্র থাকা সত্ত্বেও পরিষেবা না পেয়ে বিনা চিকিৎসায় মৃত্যু হচ্ছে অনেকেরই । তবে এইসব এলাকার মানুষকে উন্নত চিকিৎসা পরিষেবা পাওয়ার জন্য ছুটতে হয় শালতোড়া ব্লক স্বাস্থ্য কেন্দ্রে কিংবা 60 কিলোমিটার দূরে বাঁকুড়া সম্মিলনী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে । তাই এলাকার মানুষজন চায় এখানে উন্নত মানের একটি হাসপাতাল গড়ে উঠুক !
এবিষয়ে বাঁকুড়া সিএমওএইচের সঙ্গে ফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান, এখন ডাক্তারের ক্রাইসিস চলছে আমাদের । তবে আমরা বিষয়টি দেখছি । এছাড়াও কোনও কোনও জায়গায় রোগী সংখ্যা বেশি ডাক্তার সংখ্যা কম । কোথাও আবার ডাক্তার বেশি রোগী কম আমরা স্বাস্থ্য দফতর থেকে সেই সমস্ত জায়গার একটি তালিকা তৈরি করছি । তবে যে সমস্ত জায়গায় ডাক্তার নেই সেই সমস্ত জায়গায় ডাক্তার পাঠানো হবে শীঘ্রই ।