বিষ্ণুপুর, 1 নভেম্বর: বিয়ের জন্য কিছুতেই 'জুটছিল' না পাত্রী ৷ অগত্যা শরণাপন্ন হয়েছিল তান্ত্রিকের ৷ সেই তান্ত্রিক বাতলে দিয়েছিল অদ্ভূত পন্থা ৷ অভিযোগ, তান্ত্রিক জানিয়েছিল যে কোনও নাবালিকা মেয়ের যোনির রক্তমাখা কাপড় পকেটে নিয়ে ঘুরলেই কেটে যাবে যাবতীয় দোষ (Minor Girl raped in Bankura) অর্থাৎ মিলে যাবে মনের মতো পাত্রী ৷
সেই ইচ্ছেকেই পূর্ণতা দিতে দ্বিতীয় শ্রেণির ছাত্রীকে ধর্ষণ করে তার রক্তমাথা কাপড়ের বন্দোবস্ত করে ওই শিক্ষক ৷ এমনই অভিযোগ উঠেছে বাঁকুড়ার বিষ্ণুপুর থানার অন্তর্গত একটি গ্রামে (Minor Girl Raped by Private Tutor) ।
পুলিশ জানিয়েছে, অভিযুক্ত ব্যক্তির বয়স হয়ে যাচ্ছিল ৷ তা নিয়ে খুব চিন্তায় ছিল ৷ এরপরই সে স্থানীয় এক তান্ত্রিকের দ্বারস্থ হয় ৷ সেই তান্ত্রিকই তাকে পরামর্শ দেয়, যদি নাবালিকা মেয়ের যোনির রক্তে ভেজা কাপড় আনতে পারে তবে এই সমস্যার সমাধান হতে পারে । এরপরই ওই শিক্ষক এক দ্বিতীয় শ্রেণির ছাত্রীকে ধর্ষণ করে বলে অভিযোগ ৷
আরও পড়ুন: অপমানে আত্মঘাতী তরুণী, শপিং মলের কর্মীদের বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ পরিবারের
পুলিশ আরও জানিয়েছে, কিছুদিন আগে বিষ্ণুপুর থানায় এক নাবালিকাকে ধর্ষণের অভিযোগ করা হয় ওই গৃহশিক্ষকের বিরুদ্ধে । নাবালিকার পরিবারের অভিযোগের ভিত্তিতেই পুলিশ ওই গৃহ শিক্ষককে গ্রেফতার করে । পরে ওই শিক্ষককে জেরা করে পুলিশ জানতে পারে এই চাঞ্চল্যকর তথ্য ৷ জানা যায়, তান্ত্রিকের পরামর্শেই সে এই কাজ করেছে ৷ এরপরই পুলিশ রবিবার মাঝিপাড়া এলাকা থেকে অভিযুক্ত তান্ত্রিককে গ্রেফতার করে । সোমবার ধৃতকে বিষ্ণুপুর আদালতে তোলা হয় বলে খবর ৷ পুলিশ জানিয়েছে, নির্যাতিতা ছাত্রীর অবস্থা এখন স্থিতিশীল ৷ গ্রেফতার হওয়ার সময় যদিও ওই তান্ত্রিক তার বিরুদ্ধে ওঠা সমস্ত অভিযোগ অস্বীকার করেছে ৷ সে জানিয়েছে, তাকে উদ্দেশ্য়প্রণোদিতভাবে ফাঁসানো হয়েছে ৷ ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ ৷
আরও পড়ুন: মালদায় তন্ত্রসাধনার বলি আট বছরের নাবালিকা ! গণপ্রহারে গুরুতর জখম অভিযুক্ত তান্ত্রিক