বিষ্ণুপুর, 21 সেপ্টেম্বর: সংকীর্ণ রাস্তা ৷ যাতায়াতের নিত্য সমস্যায় ভোগেন সাধারণ বাসিন্দা থেকে বেড়াতে আসা পর্যটকেরাও ৷ সমস্যার নেপথ্যে শহরের যত্রতত্র অবৈধ নির্মাণ ৷ বৃহস্পতিবার সেই অবৈধ নির্মাণ ভেঙে ফেলতে ময়দানে নামল বিষ্ণুপুর পৌরসভা।
বিষ্ণুপুর পৌরসভার চেয়ারম্যান গৌতম গোস্বামী বলেন, 'বিষ্ণুপুর শহরের সংকীর্ণতম রাস্তা অনেক মানুষের সমস্যা সৃষ্টি করেছিল ৷ এছাড়া বিষ্ণুপুরে আগত পর্যটকদেরও সমস্যার সৃষ্টি হচ্ছিল। এই অবৈধ নির্মাণের জেরে অনেক সাধারণ মানুষকে যানজটের বেগও পোহাতে হচ্ছিল ৷ আমরা পৌরসভার তরফ থেকে সেই সব বেআইনি নির্মাতাদের অনেকবার অনুরোধ করা এবং নোটিশ দেওয়া সত্ত্বেও কোনও কাজ হয়নি। তাই পৌরআইন মোতাবেক অবৈধ নির্মাণগুলি ভেঙে ফেলার দায়িত্ব নেওয়া হয়েছে ৷" তিনি এও জানান, ভবিষ্যতে যদি এই ধরনের অবৈধ নির্মাণের অভিযোগ পাওয়া যায়, সেটিকে খতিয়ে দেখে আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
মল্লগড় বিষ্ণুপুর তার নিজের ঐতিহ্যে আজও বিরাজমান। মল্লরাজাদের ফেলে যাওয়া ঐতিহ্য আজও টানে পশ্চিমবাংলা-সহ ভারতবর্ষের পর্যটকদের। মল্লরাজাদের বিষ্ণুপুর তার ঐতিহ্য ভরপুর হলেও একটা সমস্যা যেন কিছুতেই পিছু ছাড়ছিল না, তা হল শহরের যানজট। এমনিতেই রাস্তাঘাটের সংকীর্ণ অবস্থার জেরে নাজেহাল অবস্থা হয় সাধারণ বাসিন্দা থেকে শুরু করে আগত পর্যটকদের। তার ওপর গোদের ওপর বিষফোঁড়া হয়ে দাঁড়িয়েছিল যত্রতত্র অবৈধ নির্মাণ।
আরও পড়ুন: শব্দবাজি নয়, সবুজ বাজি বিক্রির অনুমতি দিতে জেলাশাসকদের চিঠি নবান্নর
পৌরসভা সূত্রে খবর, বেশ কয়েকদিন আগে থেকেই যে সমস্ত মানুষ অবৈধ নির্মাণ করে বসেছিল তাদের অনুরোধ করা হয়েছিল, সেই নির্মাণ ভেঙে ফেলার জন্য। তাতেও কর্ণপাত করেননি তাঁরা ৷ শেষমেশ নোটিশ জারি করা হলেও কোনও ফল মেলেনি বলে অভিযোগ। অবশেষে পৌর আইন মোতাবেক অবৈধ নির্মাণ ভেঙ্গে ফেলার কাজ শুরু করেছে বিষ্ণুপুর পৌরসভা। এদিন সকাল থেকেই পুলিশের উপস্থিতিতে বুলডোজার দিয়ে সেইসব অবৈধ নির্মাণকে সাফ করার কাজ শুরু হয়। বিষ্ণুপুর শহরের রসিকগঞ্জ বাসস্ট্যান্ড থেকে গোপালগঞ্জ যাওয়ার পথে জেলা হাসপাতালের সামনে এই কর্মকাণ্ড দেখা গিয়েছে।