বাঁকুড়া, 11 অগস্ট: একক সংখ্যাগরিষ্ঠতা নিয়ে আন্দারথোল গ্রাম পঞ্চায়েতের তৃণমূল কংগ্রেসের দখলে থাকলেও, প্রধান পদ পেল বিজেপি ৷ একই সঙ্গে আট তৃণমূল সদস্য পদত্যাগ করার জেরে ভেঙে গেল সেই বোর্ডও ৷ বাঁকুড়া এক নম্বর ব্লকের আন্দারথোল গ্রাম পঞ্চায়েতের ঘটনা।
পঞ্চায়েত ভোটের ফলাফলের নিরিখে মোট 20 আসন বিশিষ্ট এই গ্রাম পঞ্চায়েতের 10টিতেই জয়ী হয়েছে তৃণমূল প্রার্থীরা ৷ ছয়টি বিজেপি, দুটি নির্দল এবং দুটি সিপিএম পায়। পরে একজন নির্দল প্রার্থী তৃণমূলে যাওয়ার ফলে তৃণমূলের মোট আসন সংখ্যা দাঁড়ায় 11। কিন্তু তফশিলি উপজাতির জন্য প্রধানের পদ সংরক্ষিত হওয়ার জেরে তৃণমূলের কেউ সেই পদ পায়নি ৷ কারণ শাসক শিবিরের জয়ী কোনও প্রার্থী তফশিলি উপজাতি না হওয়ায় বিজেপির ঘরে যায় প্রধান পদ। উপ-প্রধান পদ পায় তৃণমূল ৷
আর এখানেই শুরু হয়েছে বিতর্ক ৷ তৃণমূলের আটজন জয়ী প্রার্থীদের দাবি, জেলার নির্দেশকে অমান্য করে ভোটাভুটি করে অন্য এক জন উপ-প্রধান পদ পেয়ে যায়। কীভাবে জেলা নেতৃত্বের নির্দেশকে অমান্য করে এভাবে উপ-প্রধান পদ অন্য কেউ পেতে পারে তা নিয়েও ক্ষোভ উগড়ে দিয়েছে স্থানীয় তৃণমূল নেতৃত্ব ৷ এর জন্য তৃণমূলের আট জন সদস্যই কাঠগড়ায় তুলেছেন তৃণমূলের অঞ্চল সভাপতি এবং ব্লক সভাপতিকে। তাদের দাবি বাঁকুড়া এক নম্বর ব্লকের সভাপতি অংশুমান বন্দ্যোপাধ্য়ায় স্বেচ্ছাচারিতা করে উপ-প্রধানের পদ সিপিএম এবং বিজেপির সঙ্গে আঁতাত করে অন্য কাউকে পাইয়ে দিয়েছে।
আরও পড়ুন: দুর্নীতি নিয়ে কথা প্রধানমন্ত্রীর মুখে মানায় না, মোদিকে নিশানা মমতার
এর প্রতিবাদ স্বরূপ আট জন জয়ী তৃণমূল কংগ্রেসের প্রার্থী দলীয় পতাকা নামিয়ে এবং অঞ্চল অফিস তালা দিয়ে পদত্যাগ করলেন স্থানীয় অঞ্চল সভাপতির কাছে। এর ফলে আন্দারথোল গ্রাম পঞ্চায়েত বিরোধী বিজেপির দখলে চলে গেল। এ যেন এক বিরল দৃশ্য শাসক তৃণমূলের বোর্ড গঠন হয়েও এক রাতের নিমেষেই ভেঙে গেল সেই বোর্ড। এই বিষয়ে অভিযুক্ত ওই এক নম্বর ব্লকের সভাপতি অংশুমান বন্দ্যোপাধ্য়ায়ের দাবি এই বিষয়ে তিনি লিখিত আকারে কিছুই জানেন না। বিরোধী বিজেপির দাবি অবশ্য, এই তো সবে শুরু ৷ ধীরে ধীরে তৃণমূলের সমস্ত নেতা-কর্মীরা তাদের সঙ্গে যোগাযোগ করছেন ৷ তৃণমূল দলটার আর নিজস্বতা বলতে কিছু নেই বলেও কটাক্ষ করেছে বিজেপি।