ETV Bharat / state

দালাল চক্র রুখতে বাঁকুড়া মেডিকেলে অভিযান, স্ট্যাম্পের রং বদলানোর চিন্তাভাবনা কর্তৃপক্ষের - দালাল চক্র রুখতে বাঁকুড়া মেডিকেলে অভিযান, স্ট্যাম্পের রং বদলানোর চিন্তাভাবনা কর্তৃপক্ষের

বাঁকুড়া সম্মেলনী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে দালাল চক্রের অভিযোগ পেয়ে অভিযান চালাল মেডিকেল কলেজের অধ্যক্ষ এবং তার প্রতিনিধি দল ।

বাঁকুড়া সম্মেলনী মেডিকেল কলেজ
author img

By

Published : Aug 27, 2019, 3:25 PM IST

বাঁকুড়া, 27 অগাস্ট : বাঁকুড়া সম্মেলনী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে দীর্ঘদিন ধরে গড়ে উঠেছিল একটি দালাল চক্র । পুরোনো রোগী এই হাসপাতালে আসেন তাদের একটি কাউন্টারে বিশেষ স্ট্যাম্প দেওয়া হয় টিকিটের উপর । সেই কাউন্টারে দীর্ঘ লাইনে দাঁড়িয়ে থেকে স্ট্যাম্প দেওয়া হয় এবং তারপরই তারা ডাক্তার দেখাতে পারেন । বাঁকুড়া ছাড়াও পুরুলিয়া, পশ্চিম মেদিনীপুর, বর্ধমান, ঝাড়গ্রাম এমনকি ঝাড়খণ্ডেরও বেশকিছু এলাকার মানুষ নির্ভরশীল বাঁকুড়ার এই হাসপাতালের উপর ।

বহির্বিভাগে হাজার হাজার মানুষের প্রতিদিন আনাগোনা । যে কারণে আউটডোরের বিভিন্ন কাউন্টারে দীর্ঘ লাইন পড়ে সকাল থেকেই । সুযোগ নিয়ে জেলার বিভিন্ন প্রান্তে একটি চক্র গড়ে উঠেছিল দালালদের । হাসপাতালে স্ট্যাম্পের নকল করে এই সমস্ত দালালরা 20, 15 বা 30 টাকার বিনিময়ে টিকিট লাগিয়ে পাঠিয়ে দিতেন হাসপাতালে । রোগী সরাসরি হাসপাতালে এসে চিকিৎসা করাতে পারতেন এবং তাকে আর কোনও লাইনে দাঁড়াতে হত না ।

এই ব্যবস্থাটি দীর্ঘদিন ধরে গড়ে উঠেছিল জেলার বিভিন্ন প্রান্তে । শুধু তাই নয় রেলওয়ের বেশ কিছু বুকিং কাউন্টারেও এই অসাধু চক্র তাদের ঘাঁটি গেড়ে বসেছিল বলে অভিযোগ ওঠে । হাসপাতলের ভেতরেও এই চক্রটি বেশ সক্রিয়ই ছিল । এর ফলে একদিকে যেমন হাসপাতালে রেজিস্টারে রোগীদের নাম নথিভুক্ত হচ্ছিল না, তেমনই ফার্মেসি বিভাগ থেকেও ওষুধ বেরিয়ে যায়, যার কোনও হিসেব থাকে না ।

আজ এই চক্রকে ধরতে একটি বিশেষ অভিযান করে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ । সাত সকালে হাসপাতালে নিরাপত্তারক্ষীদের সঙ্গে নিয়ে রোগীদের টিকিট পরীক্ষা করতে নামেন মেডিকেল কলেজের অধ্যক্ষ এবং তার প্রতিনিধি দল । টিকিট পরীক্ষা করতে গিয়ে এরকম প্রচুর অভিযোগ হাতেনাতে ধরা পড়ে । আগামী দিনে এই সমস্যার সমাধান করতে প্রতিদিন টিকিটের উপর যে স্ট্যাম্প দেওয়া হয়, সেই স্ট্যাম্পের রং বদলানোর কথা চিন্তাভাবনা করা হচ্ছে হাসপাতালের তরফে ।

বাঁকুড়া, 27 অগাস্ট : বাঁকুড়া সম্মেলনী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে দীর্ঘদিন ধরে গড়ে উঠেছিল একটি দালাল চক্র । পুরোনো রোগী এই হাসপাতালে আসেন তাদের একটি কাউন্টারে বিশেষ স্ট্যাম্প দেওয়া হয় টিকিটের উপর । সেই কাউন্টারে দীর্ঘ লাইনে দাঁড়িয়ে থেকে স্ট্যাম্প দেওয়া হয় এবং তারপরই তারা ডাক্তার দেখাতে পারেন । বাঁকুড়া ছাড়াও পুরুলিয়া, পশ্চিম মেদিনীপুর, বর্ধমান, ঝাড়গ্রাম এমনকি ঝাড়খণ্ডেরও বেশকিছু এলাকার মানুষ নির্ভরশীল বাঁকুড়ার এই হাসপাতালের উপর ।

বহির্বিভাগে হাজার হাজার মানুষের প্রতিদিন আনাগোনা । যে কারণে আউটডোরের বিভিন্ন কাউন্টারে দীর্ঘ লাইন পড়ে সকাল থেকেই । সুযোগ নিয়ে জেলার বিভিন্ন প্রান্তে একটি চক্র গড়ে উঠেছিল দালালদের । হাসপাতালে স্ট্যাম্পের নকল করে এই সমস্ত দালালরা 20, 15 বা 30 টাকার বিনিময়ে টিকিট লাগিয়ে পাঠিয়ে দিতেন হাসপাতালে । রোগী সরাসরি হাসপাতালে এসে চিকিৎসা করাতে পারতেন এবং তাকে আর কোনও লাইনে দাঁড়াতে হত না ।

এই ব্যবস্থাটি দীর্ঘদিন ধরে গড়ে উঠেছিল জেলার বিভিন্ন প্রান্তে । শুধু তাই নয় রেলওয়ের বেশ কিছু বুকিং কাউন্টারেও এই অসাধু চক্র তাদের ঘাঁটি গেড়ে বসেছিল বলে অভিযোগ ওঠে । হাসপাতলের ভেতরেও এই চক্রটি বেশ সক্রিয়ই ছিল । এর ফলে একদিকে যেমন হাসপাতালে রেজিস্টারে রোগীদের নাম নথিভুক্ত হচ্ছিল না, তেমনই ফার্মেসি বিভাগ থেকেও ওষুধ বেরিয়ে যায়, যার কোনও হিসেব থাকে না ।

আজ এই চক্রকে ধরতে একটি বিশেষ অভিযান করে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ । সাত সকালে হাসপাতালে নিরাপত্তারক্ষীদের সঙ্গে নিয়ে রোগীদের টিকিট পরীক্ষা করতে নামেন মেডিকেল কলেজের অধ্যক্ষ এবং তার প্রতিনিধি দল । টিকিট পরীক্ষা করতে গিয়ে এরকম প্রচুর অভিযোগ হাতেনাতে ধরা পড়ে । আগামী দিনে এই সমস্যার সমাধান করতে প্রতিদিন টিকিটের উপর যে স্ট্যাম্প দেওয়া হয়, সেই স্ট্যাম্পের রং বদলানোর কথা চিন্তাভাবনা করা হচ্ছে হাসপাতালের তরফে ।

Intro:সরকারি হাসপাতাল এ লাইন দিয়ে টিকিটে স্ট্যাম্প না দিয়ে কুড়ি টাকা দিলেই দালাল চক্রের মাধ্যমে মিলে যাচ্ছে স্ট্যাম্প।


Body:বাঁকুড়া সম্মিলনী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে দীর্ঘদিন ধরে একটি দালাল চক্র গড়ে উঠেছিল। যে সমস্ত পুরনো রোগীরা এই হাসপাতালে রোগী দেখাতে আসেন তাদের একটি কাউন্টারে একটি বিশেষ স্টাম্প দেওয়া হয় টিকিটের উপর। সেই কাউন্টারে দীর্ঘ লাইনে দাঁড়িয়ে থেকে স্টাম্প দেওয়াতে হয় এবং তারপরই তারা ডাক্তার দেখাতে পারেন। বাঁকুড়া ছাড়াও পুরুলিয়া , পশ্চিম মেদিনীপুর, বর্ধমান, ঝাড়গ্রাম এমনকি ঝাড়খণ্ডের ও বেশকিছু এলাকার মানুষ নির্ভরশীল এই বাঁকুড়া সম্মিলনী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের উপর। এখানে আউটডোরে হাজার হাজার মানুষের প্রতিদিন আনাগোনা। যে কারণে আউটডোরের বিভিন্ন কাউন্টারে দীর্ঘ লাইন পড়ে সকাল থেকেই। এরই সুযোগ নিয়ে জেলার বিভিন্ন প্রান্তে একটি চক্র গড়ে উঠেছিল দালালদের। হাসপাতালে স্ট্যাম্পের নকল করে এই সমস্ত দালালরা 20 টাকা 15 টাকা 30 টাকার বিনিময়ে রোগীর টিকিট লাগিয়ে পাঠিয়ে দিতেন হাসপাতালে। রোগী সরাসরি হাসপাতালে এসে ডাক্তার বাবুর কাছে গিয়ে চিকিৎসা করাতে পারতেন এবং তাকে আর কোন লাইনে দাঁড়াতে হতো না। এই ব্যবস্থাটি দীর্ঘদিন ধরে গড়ে উঠেছিল জেলার বিভিন্ন প্রান্তে। শুধু তাই নয় এমনকি রেলওয়ের বেশকিছু বুকিং কাউন্টারেও এই অসাধু চক্র তাদের ঘাঁটি গেড়ে বসে ছিল বলে অভিযোগ। হাসপাতলের ভেতরেও এই চক্রটি বেশ সক্রিয় ছিল। এর ফলে একদিকে যেমন হাসপাতালে রেজিস্টার এ রোগীদের নাম নথিভুক্ত হচ্ছিল না , তেমনি ফার্মাসি বিভাগ থেকে ওষুধ বেরিয়ে যায় যার কোন হিসেব থাকেনা। বার্ষিক অডিটে এই কারণে গরমিল ধরা পড়ে। আজ এই চক্রকে ধরতে একটি বিশেষ অভিযান করল বাঁকুড়া সম্মিলনী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। এদিন সাত সকালে হাসপাতালে নিরাপত্তারক্ষীদের সঙ্গে নিয়ে পুরনো রোগীদের টিকিট পরীক্ষা করতে নামেন মেডিকেল কলেজের অধ্যক্ষ এবং তার প্রতিনিধি দল। টিকিট পরীক্ষা করতে গিয়ে এরকমই প্রচুর অভিযোগ হাতেনাতে ধরা পড়ে। আগামী দিনে এই সমস্যার সমাধান করতে প্রতিদিন টিকিটের ওপর যে স্টাম্প দেওয়া হয়, সেই স্ট্যাম্পের রং বদলানোর কথা চিন্তাভাবনা করা হচ্ছে হাসপাতালের তরফে।


Conclusion:বাইট: ডক্টর পার্থপ্রতিম প্রধান অধ্যক্ষ বাঁকুড়া সম্মিলনী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল বাইট: রোগী
ETV Bharat Logo

Copyright © 2025 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.