বাঁকুড়া, 16 অগস্ট : বৃষ্টিতে তলিয়ে গিয়েছে গন্ধেশ্বরী নদীর সেতু (Bridge Collapsed) ৷ ফলে রোজ রুজির টানে ঘুরপথে বাঁকুড়া (Bankura) শহরে যেতে কালঘাম ছুটছে স্থানীয়দের ৷ ফুরোচ্ছে গ্যাঁটের কড়িও ৷ প্রশাসনকে জানিয়েও এত বছরে কোনও লাভ হয়নি বলে অভিযোগ ৷
চিত্রটা কোনও প্রত্যন্ত গ্রামের নয়, খোদ বাঁকুড়া শহর সংলগ্ন এলাকার ৷ ছয় থেকে সাতটি গ্রামের মানুষ বাঁধের উপর দিয়ে গন্ধেশ্বরী নদী পেরিয়ে রোজ যাতায়াত করেন ৷ নদীপথই একমাত্র ভরসা কেশিয়াকোল, মৌলাডাঙা, বিকনা-সহ একাধিক গ্রামের বাসিন্দাদের । রুজির টানেই প্রতিনিয়ত মানুষগুলোকে ছুটতে হয় শহরে । পারাপার করার জন্য অস্থায়ী সেতু নির্মাণ হলেও বর্ষার ভারী বৃষ্টিপাতের জেরে প্রতিবারের মতো এ বারও খুড়কুটোর মতো তলিয়ে গিয়েছে পৌরসভার তৈরি অস্থায়ী সেতু । ঘুর পথে বাঁকুড়া শহরে যেতে প্রায় 4 কিলোমিটার বেশি পথ অতিক্রম করতে হচ্ছে । একাধিকবার প্রশাসনকে জানিয়েও কোনও সুরাহা মেলেনি বলে অভিযোগ ।
আরও পড়ুন: BJP Agitation : পশ্চিমবঙ্গ বাঁচাও কর্মসূচি পালন করতে গিয়ে গ্রেফতার দিলীপ-শুভেন্দু
ঘুরপথে শহরে যেতে সময় লাগে প্রায় আধ ঘণ্টা ৷ কর্মস্থলে পৌঁছতে দেরি হলে চলে যেতে পারে কাজ ৷ থমকে যেতে পারে শ্রমনির্ভর মানুষগুলোর জীবন ৷ তাই এই দশ মিনিটে যাতায়াতের ঝুঁকিপূর্ণ ভাঙা সেতুকেই বাধ্য হয়ে বেছে নিয়েছেন অনেকে ৷ তাঁরা একাধিকবার পাকা সেতুর দাবিতে প্রশাসন ও রাজনীতিকদের দ্বারস্থ হলেও কাজ কিছুই হয়নি ৷
আরও পড়ুন: Suvendu Adhikary: শুভেন্দুর নিরাপত্তার বিষয়ে কেন সক্রিয় নয় রাজ্য, হলফনামা চাইল হাইকোর্ট
জনৈক বাসিন্দা জানালেন, "আমরা ভীষণ ভয়ে দিন কাটাচ্ছি ৷ ঘুর পথে ওভারব্রিজ দিয়ে যাওয়াটাও খুব ভয়ের, বর্ষা এলেই এই সমস্যা শুরু হয়ে যায়"। অপর বাসিন্দার কথায়, "বর্ষাকালে ব্রিজ নির্মাণ করতে এসেছিলেন কর্মীরা, তবে তাঁরা ঘুরে চলে গিয়েছেন ৷ এখন আমাদের মতো খেটে খাওয়া মানুষকে রোজ 15-20 টাকা খরচ করে ঘুরপথে শহরে যেতে হচ্ছে ৷"
বাঁকুড়া পৌরসভার প্রশাসকমণ্ডলীর সদস্য দিলীপ আগরওয়াল এই সমস্যার কথা স্বীকার করে নেন ৷ তিনি বলেন, "অস্থায়ী সেতু ভেঙে পড়াতে সত্যি বিপত্তি হয়েছে ৷" তাঁরা একটি সংস্থার সঙ্গে ইতিমধ্যেই যোগাযোগ করেছেন বলে জানিয়ে তিনি বলেন, 5-7 বছর স্থায়ী হয় এমন একটি সেতু নির্মাণের কাজ খুব শিগগিরই শুরু হবে ।
আরও পড়ুন: Khela hobe dibas in Tripura : ত্রিপুরায় 'খেলা হবে' দিবসে ফুটবল নিয়ে মাতলেন প্রসূনরা
প্রজন্মের পর প্রজন্ম একই সমস্যা নিয়ে দিনযাপন করছেন এখানকার মানুষজন ৷ বার বার আর্তি জানাচ্ছেন একটা পাকা সেতুর জন্য ৷ যাতে তাঁরা তাঁদের জীবনযুদ্ধে সাবলীলভাবে বাঁচতে পারেন ৷ প্রিয় মানুষগুলোর জন্য দুমুঠো অন্নসংস্থান করতে পারেন । কবে সেই সুদিন আসবে, সেই আশায় দিন গুনছেন স্থানীয়রা ৷