বাঁকুড়া, 27 জুন : বাঁকুড়া-২ ব্লকের নন্দাডিহি গ্রামের বাঁশিওয়ালা বিপ্লব পাত্র জন্মান্ধ । যদিও পেট চালানোয় বাধা হয়নি শারীরিক প্রতিবন্ধকতা । রোজ সকালে পাড়ি দেন 8 কিলোমিটার পথ । জীবিকার স্বার্থে বাঁশি হাতে পৌঁছে যান বাঁকুড়া শহরে । কখনও ছাত্রদের বাড়িতে গিয়ে বাঁশি শেখান, আবার কখনও শহরের ব্যস্ততম মোড়গুলিতে সুরের মূর্ছনা ওঠে বিপ্লববাবুর বাঁশিতে । এভাবেই বাঁশিকে আশ্রয় করে দৈনন্দিন সংসার খরচ চালিয়ে তিন ছেলেমেয়েকে পড়াশুনা করাচ্ছেন । বিয়ে দিয়েছেন বড় মেয়ের ।
নুন আনতে পান্তা ফুরোনোর সংসারে বেশিদূর লেখাপড়া চালিয়ে যেতে পারেননি বিপ্লব পাত্র । সেখানে বাঁশি কেনার কথা ভাবাই তো বিলাসিতা । সেই ছোট্ট বয়সে বাড়িতে বাতিল করা ছাতার বাঁট দিয়েই তৈরি করে ফেলেন একটি বাঁশি । তারপর রাত জেগে আকাশবাণীর সঙ্গীতের অনুষ্ঠান শুনে রপ্ত করে ফেলেন বাঁশি বাজানো । পরে নরেন্দ্রপুর রামকৃষ্ণ মিশন-সহ একাধিক জায়গায় এবিষয়ে প্রশিক্ষণের সুযোগ পেয়েছেন তিনি ।
কখনও ছাত্রদের বাড়িতে গিয়ে বাঁশি শেখান, আবার কখনও শহরের ব্যস্ততম মোড়গুলিতে সুরের মূর্ছনা ওঠে বিপ্লববাবুর বাঁশিতে । এভাবেই বাঁশিকে আশ্রয় করে দৈনন্দিন সংসার খরচ চালিয়ে তিন ছেলেমেয়েকে পড়াশুনা করাচ্ছেন । বিয়ে দিয়েছেন বড় মেয়ের । প্রতিবন্ধকতাতে বুড়ো আঙুল দেখিয়ে রোজ জীবনযুদ্ধে জিতছেন 'অন্ধ' বাঁশিওয়ালা ।
আরও পড়ুন : হাতে-পায়ে শিকল, বন্দি দশাতেই জীবন কাটাচ্ছেন মিঠুন