বাঁকুড়া,28 অগাস্ট :বাঁকুড়ায় BJP বিধায়ক তুষার ভট্টাচার্য যোগ দিলেন তৃণমূলে। বিষ্ণুপুর বিধানসভা কেন্দ্রের বিধায়ক এদিন বাঁকুড়ার জেলা তৃণমূলের কার্যালয়ে দল বদল করলেন। এদিন তৃণমূল কংগ্রেসের বাঁকুড়া জেলা সদর কার্যালয়ের সতি ঘাটের কাছে এক সাংবাদিক সম্মেলন করে বিষ্ণুপুরের বিধায়ক তুষার ভট্টাচার্য তৃণমূল কংগ্রেসে যোগদান করেন। দলবদল অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন তৃণমূল কংগ্রেসের জেলা সভাপতি শ্যামল সাঁতরা এবং দলের অন্যান্য নেতৃত্ব। এদিন তুষার বাবু বলেন," আমার তৃণমূল কংগ্রেসের প্রতি কোনও রাগ ছিল না ৷ তবে অভিমান ছিল ৷ আর সেই অভিমানের কারণেই আমি তৃণমূল কংগ্রেস ছেড়েছিলাম। আমার অভিমান কেটেছে এবং এই নিয়ে দলীয় নেত্রীর সঙ্গে আমার কথা হয়েছে ৷ তাই আমি ফের নিজের পুরনো ঘরে ফিরে এলাম।"
তিনি তৃণমূলে ফের ঘরওয়াপসি করে বলেন, "অন্য কোথাও থেকে কাজ করা যায় না মানুষের জন্য , যা তৃণমূলে থেকে করা যায়।" তিনি 2016 সালে কংগ্রেস এবং CPI(M) জোট থেকে কংগ্রেসের প্রার্থী হিসেবে জয়লাভ করেছিলেন বিষ্ণুপুর বিধানসভা কেন্দ্রে ৷ তাই তার এই দলবদল দ্বিচারিতা কি না প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন," এ বিষয়ে বিধানসভার স্পিকার এবং মহামান্য কলকাতা হাইকোর্টে তার বিরুদ্ধে অভিযোগ করা হয়েছে ৷ কিন্তু এখনও তার কোনও সিদ্ধান্ত এসে হাজির হয় নি ৷ তাই যতদিন না সিদ্ধান্ত আসছে ততদিন তার এ বিষয়ে কিছু বলার নেই।" এই বিষয়ে টেলিফোনে যোগাযোগ করা হলে বিষ্ণুপুরের সাংসদ সৌমিত্র খাঁ জানান, "তুষারবাবু কখন যে কোন দলের হয়ে কাজ করেন তা ওনার পাশের বাড়ির লোক ঠিকমত জানেন না। শ্যামাপ্রসাদ মুখার্জিকে সরিয়ে বিষ্ণুপুরের পৌর প্রশাসক করার জন্য তাকে টোপ দেওয়া হয়েছে এবং তাই তিনি তৃণমূলে যোগ দিলেন। এবার দেখুন কবে শ্যামাপ্রসাদ মুখার্জি আবার BJP-তে যোগাযোগ করেন।"
এই দলবদল প্রসঙ্গে বিষ্ণুপুর সাংগঠনিক জেলার BJP সভাপতি হরকালি প্রতিহার বলেন, "মানুষের সেবা বা মানুষের জন্য কাজ করতে নয়, তিনি নিজের স্বার্থসিদ্ধির জন্য আজ তৃণমূলে যোগ দিচ্ছেন। যারা নিজের আখের গোছাতে BJP-তে আছে তারা এখানে টিকতে পারে না ৷ আর তাই তিনি তৃণমূলে ফিরে গেছেন।" 2016 সালে বিষ্ণুপুর বিধানসভা কেন্দ্রে কংগ্রেস এবং CPI(M)- এর জোট প্রার্থী হিসেবে তিনি জাতীয় কংগ্রেসের থেকে ভোটে জয়লাভ করেন। এরপর বছর খানেকের মধ্যেই তিনি তৃণমূল কংগ্রেসে যোগদান। ফের 2019 সালে তিনি দল বদল করে BJP-তে আছেন। আজ আবার নতুন করে তিনি তৃণমূল কংগ্রেসে ফিরে গেলেন। যদিও এখনও পর্যন্ত সরকারিভাবে তিনি কংগ্রেসের বিধায়ক রয়েছেন।