বাঁকুড়া, 1 মে: মনের ইচ্ছা ও অদম্য সাহস থাকলে সবই সম্ভব ৷ তা প্রমাণ করলেন বাঁকুড়ার জয়পুর ব্লকের শ্যামনগর গ্রাম পঞ্চায়েতের তিন যুবক । ছোটবেলা থেকে স্বপ্ন ছিল কেদারনাথ দর্শন করবেন ৷ সেই ইচ্ছেকে সঙ্গী করে তিন বন্ধু মিলে হেঁটে কেদারনাথ যাত্রার জন্য বের হলেন । এরা সুভাষ মাঝি, প্রসেনজিৎ লোহার ও লক্ষণ খারওয়া ৷ আর তাঁদের এই প্রচেষ্টাকে সাধুবাদ জানাচ্ছেন এলাকার বিশিষ্ট মানুষজন ও গ্রামবাসীরা ৷
সকলে মিলে তিন যুবককে উৎসাহ দেওয়ার জন্য বিভিন্ন বাদ্যযন্ত্র-সহযোগে তাঁদের গন্তব্যের উদ্দেশে রওনার বিষয়টি উদযাপন করেন ৷ তার আগে গ্রামের শিবের পুজো দেন যুবকরা ৷ গ্রামবাসীরা জানাচ্ছে, তাঁদের যাত্রা শুভ হোক ৷ যুবকরা ভালোভাবে কেদারনাথের দর্শন করে বাড়ি ফিরে আসুক । যুবকরাও সেই লক্ষ্যেই যাত্রা শুরু করেন । এই যাত্রায় যুবকদের পাশে দাঁড়িয়েছেন শ্যামনগর গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান-সহ একাধিক বিশিষ্ট ব্যক্তিরা ৷ তাঁদের সাহসকে সাধুবাদ জানিয়েছেন তিনি ৷ প্রধান তাঁদের আরও এগিয়ে যাওয়ার বার্তা দিয়েছেন ৷ তিনি জানান, ওই যুকদের দেখে বাকিরা অনুপ্রাণিত হবে ৷
কেদারনাথগামী যুবক প্রসেনজিৎ লোহার জানান, সঙ্গে সেরকম সরঞ্জাম কিছুই নেই তাঁদের ৷ রাস্তায় যে যা খাবার দেবে সেটাকে সম্বল করেই তাঁরা এগিয়ে যাবে ৷ প্রত্যেকেই নিম্ন মধ্যবিত্ত ঘরের যুবক তাঁরা ৷ কিন্তু স্বপ্ন ছিল কেদারনাথ দর্শন করবেন ৷ তবে টাকার অভাবে তা কোনওদিনই হয়ে ওঠেনি । তাই এভাবেই হেঁটে বেরিয়ে পড়েছেন তাঁরা ৷ শ্যামনগর গ্রাম পঞ্চায়েতের অধিকাংশ এলাকাই জঙ্গলে ঘেরা অনুন্নত জায়গা বললেই চলে ৷ দিন আনা দিন খাওয়া পরিবারের ছেলে তিনজন। তিন বন্ধু আলোচনা করে সিদ্ধান্ত নেন, যে তাঁরা হেঁটে বাবা কেদারনাথের দর্শন করবেন ৷ আর সেই দর্শনের উদ্দেশ্যেই তাঁরা বেরিয়ে পড়েলেন ৷
আরও পড়ুন: জনকল্যাণ ও দূষণমুক্ত গঙ্গার বার্তা নিয়ে পদব্রজে কেদারনাথ যাত্রা