বাঁকুড়া, 3জুন : বাঁকুড়া সম্মিলনী মেডিকেল কলেজও হাসপাতালের 48 জনস্বাস্থ্যকর্মীকে বরখাস্ত করল কর্তৃপক্ষ । আজ তাঁরা তাঁদের বরখাস্ত মানতে চাননি ।অধ্যক্ষের অফিসের সামনে বিক্ষোভ দেখান । অধ্যক্ষের কাছে তাঁরা গণ ইস্তফা দিতে চান।
হাসপাতালেবর্তমানে 200-রবেশি PGT বাপোস্ট গ্রাজুয়েট রয়েছেন । এছাড়াও 150 জনের বেশি রয়েছেন ইন্টার্ন । প্রতিদিনকয়েক হাজার রোগীকে আউটডোর এবং জরুরি পরিষেবা দেওয়া হয় । কোরোনা পরিস্থিতিতেকলেজ কাউন্সিলের তরফে এপ্রিলের প্রথম সপ্তাহে 48 জন হাউজ় স্টাফ নিয়োগ করা হয় ।
হাউজ়স্টাফদের অভিযোগ, তাঁদেরমেডিসিন বিভাগের জন্য নেওয়া হলেও অন্যান্য বিভাগে কাজ করানো হচ্ছে । অতিরিক্তকাজের চাপ দেওয়া হচ্ছে । পাশাপাশি তাঁরা কলেজ কর্তৃপক্ষের কাছে কাউন্সেলিং-র দাবিকরেন । এই বিষয়ে কলেজের অধ্যক্ষ তাঁদের সঙ্গে কোনওরকম আলোচনা করতে চাননি । এরপরতাঁরা গণ ইস্তফা দিতে চান । যদিও তাঁদের আগে টার্মিনেট করার কারণে তাঁদের সঙ্গেদেখা করতে রাজি হননি কলেজের অধ্যক্ষ বলে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের তরফে জানানো হয় ।
হাউজ়স্টাফ পায়েল রায় বলেন, “আমরাহাউস স্টাফ হিসেবে যোগ দিয়েছি কিন্তু কোনও কাউন্সেলিং হয়নি । আমাদের মেডিসিনবিভাগ ছাড়াও অন্যান্য ওয়ার্ডে ডিউটি দেওয়া হচ্ছে । এই অবস্থায় আমাদের প্রচণ্ডমানসিক চাপ তৈরি হচ্ছে তাই আমরা ইস্তফা দিতে এসেছি ।”
অপরএক হাউজ় স্টাফ মুনির আলম বলেন, “জরুরি ভিত্তিতে আমরা যোগ দিয়েছিলাম । তখন বলা হয়েছিল পরেকাউন্সিলিং হবে । এখনও পর্যন্ত কাউন্সেলিং হয়নি উলটে আমাদের অতিরিক্ত কাজের চাপদেওয়া হচ্ছে ।”
হাসপাতালেরমেডিসিন বিভাগের ভারপ্রাপ্ত অধ্যাপক শ্যামল কুন্ডু বলেন, “48 জন হাউজ় স্টাফ নিয়োগ করা হয়েছিল ।তাঁদের দুটি দলে ভাগ করা হয়েছিল । রোটেশন করে তাঁরা মেডিসিন বিভাগ বা ফিভারওয়ার্ড এবং জরুরি পরিষেবার ক্ষেত্রেও কাজ করছিলেন । তাঁদের সঙ্গে কথা বলে আমরাডিউটি রোস্টার বানিয়েছিলাম । 1 জুন তাঁদের নতুন রোস্ট বানানোর সময় আসতে বলা হয়েছিল ।কিন্তু কেউ আসেননি । তাঁরা মেডিসিন বিভাগে কাজ করবেন না বলে জানিয়েছেন ।”
কলেজেরনার্সিং সুপারিনটেনডেন্ট সরিতা পাল জানিয়েছেন, ফিভার ওয়ার্ড অথবা কোরোনা ওয়ার্ডেডিউটি থাকলে অনেকেই নিয়মিত সেখানে উপস্থিত হচ্ছেন না । ফলে বিশেষ প্রয়োজনে ফোনকরে তাঁদের ডাকতে হচ্ছে ।
বিষয়সম্পর্কে কলেজের অধ্যক্ষ ডক্টর পার্থপ্রতিম প্রধান জানিয়েছেন, তাঁদের নিয়োগের সময় জানানো হয়েছিলমেডিসিন বিভাগ এবং ফিভার ওয়ার্ডে কাজ করতে হবে । তাঁদের বিরুদ্ধে কলেজ কাউন্সিলেরকাছে অভিযোগ জমা পড়ে । 1জুন নতুনরোস্টার বানানোর সময় কেউ হাজির হননি । ওঁরা মেডিসিন বিভাগে ডিউটি করতে চান না ।আমরা ওঁদের শোকজ় করি । 2 জুনেরমধ্যে কাজে যোগ না দিলে তাঁদের বরখাস্ত করার কথাও জানানো হয় । ওঁরা নির্ধারিতসময়ে কাজে যোগ দেননি । তাই ইতিমধ্যেই ওঁদের বরখাস্ত করা হয়েছে । তাঁদের হোস্টেলছেড়ে দেওয়ার জন্য বলা হয়েছে । বিষয়টি স্বাস্থ্যদপ্তরকেও জানানো হয়েছে বলেতিনি জানান ।