বাঁকুড়া, 1 এপ্রিল : জেলার ব্লাড ব্যাঙ্কগুলোতে রক্ত সংকট শুরু হয়েছে ৷ গত সপ্তাহেই একথা জানানো হয় বাঁকুড়া সম্মিলনী মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতাল এবং জেলা মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিকের তরফে ৷ সাধারণ মানুষের কাছে আবেদনও করা হয়েছিল, সরাসরি ব্লাড ব্যাঙ্কে গিয়ে এক-দু'জন করে রক্তদান করার জন্য ৷ সাধারণত রক্তের চাহিদা মেটাতে বিভিন্ন স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন, ক্লাব বা রাজনৈতিক দলগুলোর পক্ষ থেকে বিভিন্ন সময়ে রক্তদান শিবির করা হয় ৷ তবে, বর্তমান পরিস্থিতির জন্য বন্ধ হয়ে গিয়েছে সব কিছু ৷ তাই আয়োজন করা সম্ভব হচ্ছে না রক্তদান শিবিরেরও ৷
বাঁকুড়া সম্মিলনী মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালেই রক্তের চাহিদা মেটাতে হিমসিম খেতে হচ্ছে স্বাস্থ্য বিভাগ থেকে শুরু করে বিভিন্ন ব্লাড ব্যাঙ্ককে ৷ এছাড়াও জেলার বিষ্ণুপুর, ছাতনা, বরজোড়া ও ওন্দা সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালেও রক্তের চাহিদা রয়েছে ৷ পাশাপাশি, বাঁকুড়ার থ্যালাসেমিয়া আক্রান্তদের নিয়মিত রক্তের জোগান দিতে হয় বিভিন্ন ব্লাড ব্যাঙ্কগুলিকেই ৷ স্বাস্থ্য বিভাগের আবেদনে অনেকে রক্ত দিলেও তা দিয়ে এই সংকট মেটানো অসম্ভব ছিল ৷ তাই পরিস্থিতি সামাল দিতে এগিয়ে এল বাঁকুড়া জেলা পুলিশ ৷
বাঁকুড়া পুলিশের তরফে জানানো হয়, জেলার 23টি থানায় পুলিশকর্মীরা প্রতিদিন রক্তদান করবেন ৷ সেই রক্ত ব্লাড ব্যাঙ্কগুলোতে পাঠানো হবে ৷ আজ থেকে বাঁকুড়া সদর থানায় শুরু হল রক্তদানের এই কাজ ৷ আজ প্রথমদিনই 50জন পুলিশকর্মী রক্তদান করেন ৷
বাঁকুড়ার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার শ্যামল সামন্ত বলেন, "রক্তদানের পুরো বিষয়টি দেখার জন্য নোডাল অফিসার হিসেবে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে (DNT) DSP বিশ্বজিৎ নস্করকে ৷ বাঁকুড়া সদর থানা থেকে এই রক্তদানের কাজ শুরু করলাম ৷ প্রতিদিনই কোনও না কোনও থানায় এই রক্তদান শিবিরের আয়োজন করা হবে ৷ সব রক্ত ব্লাড ব্যাঙ্কে পাঠানো হবে ৷ আশা করি, এর ফলে রক্তের সংকট অনেকটাই মেটানো হবে ৷"