বাঁকুড়া, 30 সেপ্টেম্বর: ভোটার কার্ড বলছে 2023 সাল অনুযায়ী তাঁর বয়স 92 বছর । তিনি নিজে বলছেন তাঁর বয়স 100 বছর ৷ কিন্তু দেখে মনে হবে সবেমাত্র সত্তরের ঘরে ঢুকেছেন । এখনও এনার্জিতে ভরপুর বৃদ্ধ রামরঞ্জন দত্ত । একবেলা খেয়েই বয়সকে হার মানিয়ে পুরোদমে করছেন জীবনযাপন । নিজেই চা বানাচ্ছেন ৷ গরগর করে পড়ছেন বইও ৷ বাঁকুড়ার এই বৃদ্ধ ভারতের স্বাধীনতার আগের এবং পরের দুই পরিস্থিতিই দেখেছেন । বর্তমান সময়ে যখন চারিদিকে ভেজালের রমরমা বেড়েছে তখন কীভাবে সুস্থ জীবনযাপন করতে হয় তার জ্বলন্ত উদাহরণ রামরঞ্জনবাবু । বাঁকুড়ার ছাতনার এই বাসিন্দা 10 বছর বয়সে চাক্ষুষ দেখেছিলেন নেতাজিকে ।
কীভাবে আয়ু বাড়ানো যায় ? এই প্রশ্নের উত্তরে তিনি জানান, খাবারই হল বিষ । যত কম আহার তত বেশি আয়ু । নিজেও প্রায় 40-50 বছর ধরে একবেলা খান । নিজের কাজ নিজেই করেন । দরকার পড়লে হেঁটে যান সব জায়গায় । পরনে ধুতি আর পাঞ্জাবি । এই বৃদ্ধই যেন সাধারণ যাপনের মূর্ত প্রতীক । কানে একটু কম শোনেন, চোখে ছানি থাকলেও, গরগর করে এখনও পড়তে পারেন বই । এই কিছুদিন আগেই কাছাকাছি এক গণেশ পূজার উদ্বোধন করেন তিনি । সেখানেও হেঁটেই গিয়েছিলেন । ছাতনা থেকে বাঁকুড়া শহরের দূরত্ব কমপক্ষে 10 কিলোমিটার । এক সময় ছাতনা থেকে বাঁকুড়া শহর সিনেমা দেখার জন্যে হেঁটেই যাতায়াত করতেন তিনি ।
আজকাল অর্থের জন্য অনেকেই নিজের স্বাস্থ্যে যত্ন নিতে পিছু পা হন। তার সঙ্গে রয়েছে মানসিক চাপ এবং অবসাদ । বর্তমান যুগে সব কিছুই একটি বোতাম টিপলেই হয়ে যায় । যার ফলে কমে গিয়েছে শারীরিক কসরত ৷ যার ফলে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে শরীর । বাসা বাঁধছে রোগ, কমছে আয়ু । কিন্তু রামরঞ্জনবাবুকে দেখলে বোঝা যায় আগেকার দিনে আর্থিক প্রাচুর্য্য এবং সুযোগসুবিধা না থাকলেও ছিল পরিশ্রমের মানসিকতা । সেই কারণেই রামরঞ্জনবাবু আজও তরতাজা রয়েছেন ৷
আরও পড়ুন : এজ ইজ জাস্ট এ নাম্বার, আন্তর্জাতিক ইভেন্টে সোনা জিতে ফের বোঝালেন শতায়ু রামবাঈ