জয়পুর (বাঁকুড়া), 3 সেপ্টেম্বর : SSPE (Subacute sclerosing panencephalitis) নামে এক দুরারোগ্য ব্যাধিতে আক্রান্ত পাঁচ বছরের ঋষি লোহার ৷ তার ওষুধ ও খাবারের জন্য প্রতি মাসে প্রয়োজন 6 থেকে 7 হাজার টাকা ৷ কিন্তু, তা বহন করা অসম্ভব হয়ে উঠছিল ঋষির পরিবারের কাছে ৷ এই খবর প্রকাশিত হওয়ার পর এগিয়ে আসেন বাঁকুড়ার জেলাশাসক উমাশঙ্কর এস ৷ এককালীন 10 হাজার টাকা তুলে দেন ঋষির পরিবারের হাতে ৷ ঋষি যাতে সারা জীবন খাবার পায় সেই বন্দোবস্তও করেন ৷
বাঁকুড়ার জয়পুরের বাসিন্দা বুধন লোহার ও রবি লোহারের দ্বিতীয় সন্তান ঋষি । মাস নয়েক আগে হঠাৎই একদিন ভুল বকতে শুরু করে ঋষি । স্থানীয় চিকিৎসকের কাছে নিয়ে যাওয়া হয় তাকে । সমস্যার সুরাহা না হওয়ায় তাকে বিষ্ণুপুর মহকুমা হাসপাতালে ভরতি করা হয় । এরপর বাঁকুড়া সম্মিলনী মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতাল নিয়ে যাওয়া হয় ৷ কিন্তু, তাতেও অবস্থার পরিবর্তন হয়নি । তাকে SSKM হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয় ৷ জানা যায়, SSPE-তে আক্রান্ত ঋষি । কোনও চিকিৎসা নেই এই রোগের ৷ SSPE রোগে আক্রান্ত শিশুরা এক থেকে তিন বছর পর্যন্ত বাঁচতে পারে । ঋষির ওষুধ ও খাবারের জন্য প্রতি মাসে 6 থেকে 7 হাজার টাকা খরচ হয় ৷ পেশায় রাজমিস্ত্রি বুধনবাবুর পক্ষে খরচ বহন করা অসম্ভব হয়ে উঠছিল ৷
![Bankura](https://etvbharatimages.akamaized.net/etvbharat/prod-images/wb-bnk-02-incurable-disease-follow-up-vis-7203835_02092019180245_0209f_1567427565_418.jpg)
এই সংক্রান্ত আরও খবর : দুরারোগ্য ব্যাধিতে আক্রান্ত সন্তান, দিশেহারা পরিবার
সংবাদমাধ্যমে এই খবর প্রকাশিত হওয়ার পর এগিয়ে আসেন জেলাশাসক ৷ গতকাল জেলাশাসকের সঙ্গে দেখা করেন ঋষির মা ৷ তাঁর হাতে 10 হাজার টাকা তুলে দেওয়া হয় ৷ দৈনন্দিন চিকিৎসার জন্য বাঁকুড়া মেডিকেল কলেজে যেতে হয়ে ঋষির পরিবারকে ৷ যাতায়াতের জন্য বিশেষ পাস করে দেওয়া হয়েছে ৷ ফলে বিনামূল্যে যাওয়া-আসা করতে পারবেন তাঁরা ৷ জেলাশাসক বলেন, "ঋষিদের পরিবারের অবস্থা জেনেছি ৷ আমাদের ট্রাস্ট ফান্ড থেকে কিছু সহযোগিতা করেছি ৷ মানবিক পেনশনও এই মাস থেকে পাবে ঋষির পরিবার ৷"