ETV Bharat / state

খবরের জের, অসুস্থ ঋষির পরিবারের পাশে প্রশাসন - Bankura district administration provided support

SSPE (Subacute sclerosing panencephalitis) নামে এক দুরারোগ্য ব্যাধিতে আক্রান্ত ঋষি লোহার ৷ তার পরিবারের পাশে দাঁড়াল জেলা প্রশাসন ৷

জেলা প্রশাসন
author img

By

Published : Sep 3, 2019, 7:02 AM IST

জয়পুর (বাঁকুড়া), 3 সেপ্টেম্বর : SSPE (Subacute sclerosing panencephalitis) নামে এক দুরারোগ্য ব্যাধিতে আক্রান্ত পাঁচ বছরের ঋষি লোহার ৷ তার ওষুধ ও খাবারের জন্য প্রতি মাসে প্রয়োজন 6 থেকে 7 হাজার টাকা ৷ কিন্তু, তা বহন করা অসম্ভব হয়ে উঠছিল ঋষির পরিবারের কাছে ৷ এই খবর প্রকাশিত হওয়ার পর এগিয়ে আসেন বাঁকুড়ার জেলাশাসক উমাশঙ্কর এস ৷ এককালীন 10 হাজার টাকা তুলে দেন ঋষির পরিবারের হাতে ৷ ঋষি যাতে সারা জীবন খাবার পায় সেই বন্দোবস্তও করেন ৷

বাঁকুড়ার জয়পুরের বাসিন্দা বুধন লোহার ও রবি লোহারের দ্বিতীয় সন্তান ঋষি । মাস নয়েক আগে হঠাৎই একদিন ভুল বকতে শুরু করে ঋষি । স্থানীয় চিকিৎসকের কাছে নিয়ে যাওয়া হয় তাকে । সমস্যার সুরাহা না হওয়ায় তাকে বিষ্ণুপুর মহকুমা হাসপাতালে ভরতি করা হয় । এরপর বাঁকুড়া সম্মিলনী মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতাল নিয়ে যাওয়া হয় ৷ কিন্তু, তাতেও অবস্থার পরিবর্তন হয়নি । তাকে SSKM হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয় ৷ জানা যায়, SSPE-তে আক্রান্ত ঋষি । কোনও চিকিৎসা নেই এই রোগের ৷ SSPE রোগে আক্রান্ত শিশুরা এক থেকে তিন বছর পর্যন্ত বাঁচতে পারে । ঋষির ওষুধ ও খাবারের জন্য প্রতি মাসে 6 থেকে 7 হাজার টাকা খরচ হয় ৷ পেশায় রাজমিস্ত্রি বুধনবাবুর পক্ষে খরচ বহন করা অসম্ভব হয়ে উঠছিল ৷

Bankura
জেলাশাসকের দপ্তরে ঋষির পরিবার

এই সংক্রান্ত আরও খবর : দুরারোগ্য ব্যাধিতে আক্রান্ত সন্তান, দিশেহারা পরিবার

সংবাদমাধ্যমে এই খবর প্রকাশিত হওয়ার পর এগিয়ে আসেন জেলাশাসক ৷ গতকাল জেলাশাসকের সঙ্গে দেখা করেন ঋষির মা ৷ তাঁর হাতে 10 হাজার টাকা তুলে দেওয়া হয় ৷ দৈনন্দিন চিকিৎসার জন্য বাঁকুড়া মেডিকেল কলেজে যেতে হয়ে ঋষির পরিবারকে ৷ যাতায়াতের জন্য বিশেষ পাস করে দেওয়া হয়েছে ৷ ফলে বিনামূল্যে যাওয়া-আসা করতে পারবেন তাঁরা ৷ জেলাশাসক বলেন, "ঋষিদের পরিবারের অবস্থা জেনেছি ৷ আমাদের ট্রাস্ট ফান্ড থেকে কিছু সহযোগিতা করেছি ৷ মানবিক পেনশনও এই মাস থেকে পাবে ঋষির পরিবার ৷"

জয়পুর (বাঁকুড়া), 3 সেপ্টেম্বর : SSPE (Subacute sclerosing panencephalitis) নামে এক দুরারোগ্য ব্যাধিতে আক্রান্ত পাঁচ বছরের ঋষি লোহার ৷ তার ওষুধ ও খাবারের জন্য প্রতি মাসে প্রয়োজন 6 থেকে 7 হাজার টাকা ৷ কিন্তু, তা বহন করা অসম্ভব হয়ে উঠছিল ঋষির পরিবারের কাছে ৷ এই খবর প্রকাশিত হওয়ার পর এগিয়ে আসেন বাঁকুড়ার জেলাশাসক উমাশঙ্কর এস ৷ এককালীন 10 হাজার টাকা তুলে দেন ঋষির পরিবারের হাতে ৷ ঋষি যাতে সারা জীবন খাবার পায় সেই বন্দোবস্তও করেন ৷

বাঁকুড়ার জয়পুরের বাসিন্দা বুধন লোহার ও রবি লোহারের দ্বিতীয় সন্তান ঋষি । মাস নয়েক আগে হঠাৎই একদিন ভুল বকতে শুরু করে ঋষি । স্থানীয় চিকিৎসকের কাছে নিয়ে যাওয়া হয় তাকে । সমস্যার সুরাহা না হওয়ায় তাকে বিষ্ণুপুর মহকুমা হাসপাতালে ভরতি করা হয় । এরপর বাঁকুড়া সম্মিলনী মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতাল নিয়ে যাওয়া হয় ৷ কিন্তু, তাতেও অবস্থার পরিবর্তন হয়নি । তাকে SSKM হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয় ৷ জানা যায়, SSPE-তে আক্রান্ত ঋষি । কোনও চিকিৎসা নেই এই রোগের ৷ SSPE রোগে আক্রান্ত শিশুরা এক থেকে তিন বছর পর্যন্ত বাঁচতে পারে । ঋষির ওষুধ ও খাবারের জন্য প্রতি মাসে 6 থেকে 7 হাজার টাকা খরচ হয় ৷ পেশায় রাজমিস্ত্রি বুধনবাবুর পক্ষে খরচ বহন করা অসম্ভব হয়ে উঠছিল ৷

Bankura
জেলাশাসকের দপ্তরে ঋষির পরিবার

এই সংক্রান্ত আরও খবর : দুরারোগ্য ব্যাধিতে আক্রান্ত সন্তান, দিশেহারা পরিবার

সংবাদমাধ্যমে এই খবর প্রকাশিত হওয়ার পর এগিয়ে আসেন জেলাশাসক ৷ গতকাল জেলাশাসকের সঙ্গে দেখা করেন ঋষির মা ৷ তাঁর হাতে 10 হাজার টাকা তুলে দেওয়া হয় ৷ দৈনন্দিন চিকিৎসার জন্য বাঁকুড়া মেডিকেল কলেজে যেতে হয়ে ঋষির পরিবারকে ৷ যাতায়াতের জন্য বিশেষ পাস করে দেওয়া হয়েছে ৷ ফলে বিনামূল্যে যাওয়া-আসা করতে পারবেন তাঁরা ৷ জেলাশাসক বলেন, "ঋষিদের পরিবারের অবস্থা জেনেছি ৷ আমাদের ট্রাস্ট ফান্ড থেকে কিছু সহযোগিতা করেছি ৷ মানবিক পেনশনও এই মাস থেকে পাবে ঋষির পরিবার ৷"

Intro:ইটিভি ভারতের খবরের জের, জয়পুরের অসুস্থ ঋষির পরিবারের পাশে দাঁড়ালেন বাঁকুড়ার জেলাশাসক।


Body:গতকাল ইটিভি ভারতে প্রকাশিত হয় বাঁকুড়ার জয়পুরের দুরারোগ্য রোগে আক্রান্ত শিশু ঋষি লোহার এর খবর। বাঁকুড়ার জয়পুর ব্লকের খোয়াবাঁধ গ্রামের 5 বছরের শিশু ঋষি লোহার 9 মাস আগে দুরারোগ্য সাবঅ্যাকিউট স্কেলেরোসিং পেনেনসেফেলাইটিস বা এস এস পি ই রোগে আক্রান্ত হয়। বাঁকুড়া থেকে কলকাতা এবং পরে পুদুচেরি তে চিকিৎসা করাতে গিয়ে নিঃস্ব হয়ে যায় ঋষির পরিবার। সর্বশেষ চিকিৎসা থেকে যা জানা গেছে যে এই রোগ এর কোন চিকিৎসা নেই। ঋষি সাধারণ বাচ্চাদের মত কথা বলতে পারেনা হাঁটতে চলতে পারে না এমনকি আরো পাঁচটা বাচ্চার মত সাধারণ খাবার ও খেতে পারে না এখন। তার গলাতে নল লাগিয়ে দেওয়া হয়েছে তরল খাবার সেই নল দিয়ে তাকে খাওয়ানো হয়। তার খাবার এবং ওষুধ কেনা একেবারেই অসম্ভব হয়ে উঠেছে ঋষির পরিবারের। ঋষির বাবা বুধন লোহার সামান্য রাজমিস্ত্রির কাজ করেন এবং মা রবি লোহার গৃহবধূ। ইতিমধ্যেই তারা জয়পুর সমষ্টি উন্নয়ন আধিকারিক এর কাছে আবেদনও করেছেন মানবিক প্রকল্পের সাহায্যের জন্য। ঋষির খবর পেয়ে ইটিভি ভারতের প্রতিনিধি তার বাড়ি গিয়ে খবর সংগ্রহ করে এবং ইটিভি ভারতে খবরটি প্রচারিত করা হয়। খবরটি দেখার পর বাঁকুড়ার জেলাশাসক তার দপ্তরে ঋষির সঙ্গে দেখা করেন এবং ঋষিকে সমস্ত রকম সাহায্যের আশ্বাস দেন তিনি। পাশাপাশি এদিন 10000 টাকা তাৎক্ষণিক অনুদান ঋষির মায়ের হাতে তুলে দেন জেলাশাসক। ঋষির ওষুধপত্রের জন্য তিনি অনুরোধ করেন বি সি ডি এ ঔষধ বিক্রেতা সংগঠনকে। ঋষির খাবারের ব্যবস্থা করার নির্দেশ দেন প্রশাসনের আধিকারিকদের। এছাড়াও মানবিক প্রকল্পের তার একটি পেনশনের ব্যবস্থা করা হচ্ছে বলে এদিন তিনি জানান।


Conclusion:2017 সালের জানুয়ারি মাসে গুজরাটের আমরেলি শিশু পার্থর এই একই রোগ হয়েছিল । পার্থর পরিবার তার চিকিৎসা করতে গিয়ে সর্বস্বান্ত হয়ে পড়ে । দেশের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে চিঠি লিখেছিলেন পার্থর পরিবার । পার্থর চিকিৎসা ব্যবস্থা করে দেন প্রধানমন্ত্রী নিজে । এদিন ঠিক একই রকম ভাবে ঋষির পরিবারের পাশে দাঁড়ালেন বাঁকুড়ার জেলাশাসক । বাইট:রবি লোহার, ঋষির মা বাইট: ডক্টর উমাশঙ্কর এস, জেলাশাসক বাঁকুড়া
ETV Bharat Logo

Copyright © 2025 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.