বাঁকুড়া, 12 এপ্রিল: কোরোনা উপসর্গ নিয়ে বাঁকুড়া সম্মিলনী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে মৃত্যু হল দুই ব্যক্তির। প্রথমে সকাল আটটা এবং পরে সকাল সাড়ে আটটা নাগাদ, বাঁকুড়া সম্মিলনী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ফিভার ক্লিনিকে মৃত্যু হয় ওই দু'জনের। এরা কোরোনা উপসর্গ নিয়েই হাসপাতালে ভরতি হয়েছিলেন বলে জানা গিয়েছে। তবে মৃতদের সোয়াবের রিপোর্ট এখনও আসেনি। গোটা ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে বাঁকুড়া শহরজুড়ে।
মৃত দু'জনেই আদিবাসী সম্প্রদায়ের মানুষ। একজনকে গতকাল পুরুলিয়ার সাঁতুরি থেকে রেফার করা হয়েছিল বাঁকুড়া সম্মিলনী মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে। রবিবার সকালে হাসপাতালের ফিভার ক্লিনিকে ভরতি করার আধঘণ্টার মধ্যেই মারা যান তিনি। হাসপাতাল সূত্রে খবর, জ্বরের পাশাপাশি মৃত ব্যক্তি হৃদযন্ত্রের অসুস্থতায় ভুগছিলেন।
অন্যদিকে গতকাল এক আদিবাসী যুবক জ্বর নিয়ে মেডিকেল কলেজের বহির্বিভাগে দেখাতে আসেন। সেখানে চিকিৎসকরা যুবকের শারীরিক অবস্থা ও উপসর্গগুলি দেখার পর কোরোনা সন্দেহ করেন। এরপর বিকেল নাগাদ তাঁকে ভরতি করে নেওয়া হয় হাসপাতালের ফিভার ক্লিনিকে। গতকাল অবধি তাঁর শারীরিক অবস্থা ভালো থাকলেও আজ সকাল সাড়ে সাতটা থেকে আটটার মধ্যে মৃত্যু হয় ওই যুবকেরও। তবে, উপসর্গ থাকলেও মৃত দু'জনেই যে কোরোনা আক্রান্ত ছিলেন সে বিষয়ে নিশ্চিত নয় হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। তাঁদের লালারসের নমুনা পরীক্ষার জন্য পাঠানো হয়েছে। রিপোর্ট এখনও আসেনি বলে জানা গিয়েছে হাসপাতাল সূত্রে।
অন্যদিকে, দুই ব্যক্তির মৃত্যুর পর বাঁকুড়া সম্মিলনী মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ অন্য সমস্যায় পড়েছেন। বর্তমান পরিস্থিতিতে মৃতদেহগুলির সৎকার কীভাবে হবে তা নিয়ে সংশয় দেখা দিয়েছে। স্বাস্থ্য ভবনের নির্দেশিকা ছাড়া যা সম্পন্ন হওয়া সম্ভব নয়।