আলিপুরদুয়ার, 6 ফেব্রুয়ারি : DA-র স্মরণসভার আয়োজন করল নিখিল বঙ্গ প্রাথমিক শিক্ষা সমিতির শিক্ষক-শিক্ষিকারা ৷ আজ বিকেলে জেলা স্কুল পরিদর্শকের দপ্তরের সামনে তাঁরা এই অভিনব প্রতিবাদের আয়োজন করেন ৷ মুখ্যমন্ত্রীর কাছে স্মারকলিপিও দেবেন বলে জানান তাঁরা ৷
আচমকা দেখলে মনে হবে কারও স্মরণসভা চলছে ৷ বাস্তবিকই স্মরণসভার আয়োজন করা হয়েছিল অলিপুরদুয়ারের জেলা স্কুল পরিদর্শকের দপ্তরের সামনে ৷ আয়োজক নিখিল বঙ্গ প্রাথমিক শিক্ষা সমিতি । শিক্ষকদের দাবি, তাঁদের কাছে DA 'মৃত'৷ প্রাপ্য DA থেকে তাঁদের বঞ্চিত করা হয়েছে ৷ তাই এই অভিনব প্রতিবাদের পথ বেছে নিয়েছেন তাঁরা ৷ নিজেদের প্রাপ্য DA -এর স্মরণে 30 সেকেন্ড নীরবতাও পালন করেন শিক্ষক-শিক্ষিকারা ৷ আজ স্কুল পরিদর্শকের দপ্তরের সামনে DA বেদি তৈরি করে তার পাশে একটি খেলনা কুকুর রাখেন তাঁরা ৷ কাগজে ঘেউ ঘেউ লিখে প্রতিবাদ জানান ৷ শিক্ষক সমিতির আলিপুরদুয়ার জেলা সম্পাদক সুজিত কুমার দে বলেন, ‘‘DA ছাড়াই পে কমিশনের ঘোষণা করা হয়েছে ৷ এটা আমাদের অধিকার ৷ নিজেদের প্রতি বঞ্চনার প্রতিবাদে আমরা স্মরণসভার আয়োজন করেছি ৷ আমরা আশা করছি যে, বিযয়টি ফের বিবেচনা করা হবে ৷ জেলা বিদ্যালয় পরিদর্শকের মাধ্যমে মুখ্যমন্ত্রীর কাছে স্মারকলিপি দিয়েছি ৷ আমাদের দাবি পূরণ না হলে বৃহত্তর আন্দোলনের পথে যাব ৷ যা যা করার দরকার, তাই করব ৷’’
2017-র সেপ্টেম্বরে DA প্রসঙ্গে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেছিলেন, ‘‘রাজ্যে চূড়ান্ত আর্থিক সংকটের মধ্যেও DA বাড়ানো হচ্ছে ৷ আমি ব্যবস্থা করতে পেরেছি তাই দিচ্ছি ৷ আমাকে বলতে হবে না ৷ আমার কাছে ঘেউ ঘেউ, ফেউ ফেউ করে কোনও লাভ হবে না ৷ বিভিন্ন ইউনিয়নকে দিয়ে আমাকে চাপ দিয়ে কিছু আদায় করা যাবে না ৷ আমার সময় হলেই দিয়ে দেব ৷’’ মুখ্যমন্ত্রীর এই মন্তব্যের কঠোর সমালোচনা করে হাইকোর্ট ৷
2018-র অগাস্টে কলকাতা হাইকোর্ট রায় দেয়, DA সরকারি কর্মীদের আইনি অধিকার ৷ এরপর সরকারি কর্মীদের সংগঠন DA নিয়ে স্টেট অ্যাডমিনিস্ট্রেটিভ ট্রাইবুন্যাল (SAT) -এর দ্বারস্থ হয় ৷ তখন রাজ্য সরকার জানায়, DA সরকারি কর্মচারীদের অধিকার নয় ৷ এরপরই আদালতের দ্বারস্থ হয় কর্মী সংগঠনটি ৷ হাইকোর্ট স্পষ্ট জানিয়ে দেয়, DA কোনও দয়ার দান নয় ৷ এটা কর্মীদের অধিকার ৷