ETV Bharat / state

জলদাপাড়ায় গন্ডার শিকারে ছ'জনের 5 বছরের জেল

এক শৃঙ্গ গন্ডার শিকার ও খড়গ পাচারের দায়ে ছ'জনকে পাঁচ বছরের কারাদণ্ড দিল আলিপুরদুয়ার ACJM 1 আদালত ।

ছবিটি প্রতীকী
author img

By

Published : Jul 3, 2019, 11:37 PM IST

আলিপুরদুয়ার, 3 জুলাই : জলদাপাড়া জাতীয় উদ্যানে এক শৃঙ্গ গন্ডার শিকার ও খড়গ পাচারের দায়ে ছ'জনকে পাঁচ বছরের কারাদণ্ড দিল আদালত । আজ আলিপুরদুয়ার ACJM 1 আদালতের বিচারক এই রায় দেয় ।

2018 সালের 6 ফেব্রুয়ারি জলদাপাড়া জাতীয় উদ্যানের কোদালবন্তী রেঞ্জের জঙ্গলে একটি পূর্ণবয়স্ক গন্ডারকে মারে চোরাশিকারীরা । এর মাস্টার মাইন্ড ছিল মনিপুরের কুখ্যাত চোরাশিকারী মার্ত রিবা । গন্ডার শিকারে তাকে সাহায্য করেছিল কোদালবস্তীর বাসিন্দা রাজু রাভা, রূপেশ রাভা, রাজীব রাভা, শিলিগুড়ির রাজু লামা ও বানারহাটের সেবক কামি ।

ঘটনার পরদিন মৃত গন্ডারের শৃঙ্গ পাচারে সাহায্য করেছিল শালকুমারের বিমল কার্জি ও মাদারিহাটের গোপাল সিং । চিন থেকে আমদানি করা বিষাক্ত রাসায়নিক ইঞ্জেকশনের সিরিঞ্জে ভরে গুলতি দিয়ে তাক করে গন্ডারটিকে মেরেছিল চোরাশিকারীরা ।

গন্ডার শিকারের তদন্তে নেমে জলদাপাড়া বনবিভাগের কর্মীরা 2018 সালের 7 ফেব্রুয়াররি শৃঙ্গ সহ আট অভিযুক্তকে গ্রেপ্তার করে । অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে বন্যপ্রাণ সংরক্ষণ আইনে মামলা রুজু করা হয় । পেশ করা হয় আলিপুরদুয়ার ACJM 1 আদালতে ।

rhino hunters
এই ছ'জনকে কারাদণ্ড দিয়েছে আদালত

বুধবার ওই মামলার চুড়ান্ত রায় দেন বিচারক । প্রথমে ছ'জনকে সরাসরিভাবে গন্ডার হত্যায় জড়িত থাকার অভিযোগে পাঁচ বছরের কারাদণ্ড ও কুড়ি হাজার টাকা জরিমানা এবং অনাদায়ে ছ'মাসের অতিরিক্ত কারাবাসের নির্দেশ দেন বিচারক । বাকি দু'জনকে পাচারে সাহায্য করার অভিযোগে তিন বছরের কারাদণ্ড ও দশ হাজার টাকা জরিমানার নির্দেশ দেয় আদালত ।

এই মামলায় সরকার পক্ষের আইনজীবী দুলাল ঘোষ বলেন, "আমরা আদালতের কাছে অভিযুক্তদের সর্বোচ্চ সাজা ও সাত বছরের কারাদণ্ডের আর্জি করেছিলাম । সেখানে বিচারক প্রথম ছ'জনকে পাঁচ বছর ও বাকি দু'জনকে তিন বছরের কারাবাসের আদেশ দিয়েছেন । মামলা শুরু হওয়ার মাত্র এক বছর পাঁচ মাসের মধ্যে আদালত চূড়ান্ত রায় দেওয়ায় আমরা কৃতজ্ঞ।"

জলদাপাড়া বনবিভাগের DFO কুমার বিমল বলেন, "এই রায়ের পর অপরাধীরা চোরাশিকারের আগে দশবার ভাববে এবং বন দপ্তরকেও সমঝে চলবে ।"

আলিপুরদুয়ার, 3 জুলাই : জলদাপাড়া জাতীয় উদ্যানে এক শৃঙ্গ গন্ডার শিকার ও খড়গ পাচারের দায়ে ছ'জনকে পাঁচ বছরের কারাদণ্ড দিল আদালত । আজ আলিপুরদুয়ার ACJM 1 আদালতের বিচারক এই রায় দেয় ।

2018 সালের 6 ফেব্রুয়ারি জলদাপাড়া জাতীয় উদ্যানের কোদালবন্তী রেঞ্জের জঙ্গলে একটি পূর্ণবয়স্ক গন্ডারকে মারে চোরাশিকারীরা । এর মাস্টার মাইন্ড ছিল মনিপুরের কুখ্যাত চোরাশিকারী মার্ত রিবা । গন্ডার শিকারে তাকে সাহায্য করেছিল কোদালবস্তীর বাসিন্দা রাজু রাভা, রূপেশ রাভা, রাজীব রাভা, শিলিগুড়ির রাজু লামা ও বানারহাটের সেবক কামি ।

ঘটনার পরদিন মৃত গন্ডারের শৃঙ্গ পাচারে সাহায্য করেছিল শালকুমারের বিমল কার্জি ও মাদারিহাটের গোপাল সিং । চিন থেকে আমদানি করা বিষাক্ত রাসায়নিক ইঞ্জেকশনের সিরিঞ্জে ভরে গুলতি দিয়ে তাক করে গন্ডারটিকে মেরেছিল চোরাশিকারীরা ।

গন্ডার শিকারের তদন্তে নেমে জলদাপাড়া বনবিভাগের কর্মীরা 2018 সালের 7 ফেব্রুয়াররি শৃঙ্গ সহ আট অভিযুক্তকে গ্রেপ্তার করে । অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে বন্যপ্রাণ সংরক্ষণ আইনে মামলা রুজু করা হয় । পেশ করা হয় আলিপুরদুয়ার ACJM 1 আদালতে ।

rhino hunters
এই ছ'জনকে কারাদণ্ড দিয়েছে আদালত

বুধবার ওই মামলার চুড়ান্ত রায় দেন বিচারক । প্রথমে ছ'জনকে সরাসরিভাবে গন্ডার হত্যায় জড়িত থাকার অভিযোগে পাঁচ বছরের কারাদণ্ড ও কুড়ি হাজার টাকা জরিমানা এবং অনাদায়ে ছ'মাসের অতিরিক্ত কারাবাসের নির্দেশ দেন বিচারক । বাকি দু'জনকে পাচারে সাহায্য করার অভিযোগে তিন বছরের কারাদণ্ড ও দশ হাজার টাকা জরিমানার নির্দেশ দেয় আদালত ।

এই মামলায় সরকার পক্ষের আইনজীবী দুলাল ঘোষ বলেন, "আমরা আদালতের কাছে অভিযুক্তদের সর্বোচ্চ সাজা ও সাত বছরের কারাদণ্ডের আর্জি করেছিলাম । সেখানে বিচারক প্রথম ছ'জনকে পাঁচ বছর ও বাকি দু'জনকে তিন বছরের কারাবাসের আদেশ দিয়েছেন । মামলা শুরু হওয়ার মাত্র এক বছর পাঁচ মাসের মধ্যে আদালত চূড়ান্ত রায় দেওয়ায় আমরা কৃতজ্ঞ।"

জলদাপাড়া বনবিভাগের DFO কুমার বিমল বলেন, "এই রায়ের পর অপরাধীরা চোরাশিকারের আগে দশবার ভাববে এবং বন দপ্তরকেও সমঝে চলবে ।"

Intro:আলিপুরদুয়ারঃ-জলদাপাড়া জাতীয় উদ্যানে এক শৃঙ্গ গন্ডার হত্যা ও গন্ডারের খড়্গ পাচারের অভিযোগে ছয় অভিযুক্তের পাঁচ বছরের জন্য কারাদন্ডের আদেশ দিয়েছে আলিপুরদুয়ার এসিজেএম ১ আদালত।একই অভিযোগে জড়িত থাকার দায়ে আরও দুই অভিযুক্তকে তিন বছরের কারাদন্ড দিলো আদালত।

Body:বন্যপ্রাণী হত্যা এবং পাচারের অভিযোগ প্রমানিত হওয়ায় অভিযুক্তদের গ্রেপ্তারের দেড় বছরের মাথায় আদালত চুড়ান্ত রায় দেওয়ায় খুশির হাওয়া বনদপ্তরের অন্দরে।

আন্তঃরাজ্য চোরাশিকারদের মদতে স্থানীয় পাচ যুবক ২০১৮ সালের ৬ ফেব্রুয়ারী জলদাপাড়া জাতীয় উদ্যানের কোদালবস্তী রেঞ্জের বড়ডাবরি এক নম্বর কম্পার্টমেন্টের জঙ্গলের গভীরে একটি পূর্ণবয়স্ক গন্ডারকে হত্যা করেছিল চোরাশিকারীরা। পুরো ঘটনার মাষ্টার মাইন্ড ছিলো মনিপুরের কুখ্যাত চোরাশিকারী মার্ত রিবা।গন্ডার শিকারে তাকে সহায়তা করেছিল কোদালবস্তীর বাসিন্দা রাজু রাভা, রূপেশ রাভা,রাজীব রাভা, শিলিগুড়ির রাজু লামা ও বানারহাটের শিক্ষক সেবক কামি।

ঘটনার পরের দিন ওই গন্ডারের শৃঙ্গ পাচারে দলটিকে সহায়তা করেছিল শালকুমারের বিমল কার্জি ও মাদারীহাটের গোপাল সিং।চিন থেকে আমদানি করা বিষাক্ত রাসায়নিক ইনজেকশনের সিরিঞ্জে ভরে গুলতি দিয়ে তাক করে গন্ডারটিকে হত্যা করেছিল চোরাশিকারীরা।

গন্ডার হত্যার তদন্তে নেমে জলদাপাড়া বনবিভাগের কর্মীরা ২০১৮ সালের ৭ ফেব্রুয়ারী শৃঙ্গসহ আট অভিযুক্তকে গ্রেপ্তার করে।অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে বন্যপ্রাণ সংরক্ষণ আইনে মামলা রুজু করে পেশ করা হয় আলিপুরদুয়ার এসিজেএম ১ আদালতে।

বুধবার ওই মামলার চুড়ান্ত রায় ঘোষণা করেন বিচারক।প্রথম ছয়জনকে সরাসরি ভাবে গন্ডার হত্যায় জড়িত থাকার অভিযোগে পাঁচ বছরের কারাদণ্ড ও কুড়ি হাজার টাকা জরিমানা এবং অনাদায়ে ছয়মাসের অতিরিক্ত কারাবাসের নির্দেশ দেন বিচারক। বাকি দুই জনকে পাচারে সহায়তার অভিযোগে তিন বছরের কারাদণ্ড ও দশ হাজার টাকা জরিমানার নির্দেশ দেয় আদালত।

ওই মামলায় সরকারী পক্ষের আইনজীবী দুলাল ঘোষ জানিয়েছেন "আমরা অভিযুক্তদের সর্বোচ্চ সাজা, সাত বছরের কারাদন্ডের সুপারিশ রেখেছিলাম আদালতের কাছে।সেখানে বিচারক প্রথম ছয়জনকে পাঁচ বছর ও বাকি দুই জনকে তিন বছরের কারাবাসের আদেশ দিয়েছেন।মমলা শুরু হওয়ার মাত্র এক বছর পাঁচ মাসের মধ্যেই আদালত চুড়ান্ত রায় দেওয়ায়, আমরা কৃতজ্ঞ।

" Conclusion:জলদাপাড়া বনবিভাগের ডিএফও কুমার বিমল জানিয়েছেন "এই রায় জানার পর, অপরাধীরা চোরাশিকারের আগে দশবার ভাববে এবং বনদপ্তরকে সমঝে চলবে।এছাড়াও এই সাজা ঘোষণার ফলে বনকর্মীরা অনেক বেশি উৎসাহিত হয়ে বন্যপ্রাণির সুরক্ষায় মননিবেশ করতে পারবেন।"
ETV Bharat Logo

Copyright © 2024 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.