আলিপুরদুয়ার, 15 মার্চ : ভুটানে পাচারের আগেই পাচারকারীদের থেকে উদ্ধার সাতটি তক্ষক ও একটি চন্দনা পাখি। উদ্ধার হয়েছে নম্বরবিহীন একটি বিলাসবহুল গাড়ি সহ অসম নম্বরের একটি বোলেরো গাড়ি। অসম নম্বরের গাড়িটির সূত্র ধরে তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ এবং বনবিভাগ।
শনিবার ঘটনাটি ঘটেছে ফালাকাটা থানার নয়মাইল এলাকার উমাচরণপুর গ্রামে । উদ্ধার হওয়া বোলেরো গাড়িটি নমনি অসমের চিরাং জেলার।
ভুটানে পাচারের আগেই উদ্ধার সাতটি তক্ষক ও একটি চন্দনা পাখি ঘটনায় আন্তঃরাজ্য ও অর্ন্তদেশীয় পাচারের সঙ্গে উত্তর-পূর্বাঞ্চলের চক্রীদের প্রত্যক্ষ যোগসাজশের প্রমাণ পেয়েছে বনবিভাগ । জলদাপাড়া বনবিভাগের কর্তাদের কাছে শুক্রবার রাতে খবর আসে যে উমাচরণপুর এলাকার জনৈক বাসিন্দা কাজি আলম মোটা টাকার বিনিময়ে অসম থেকে নিয়ে আসা তক্ষক পাচারের জন্য ভাড়া বাড়িতে লুকিয়ে রেখেছে । গোপন ওই খবরের ভিত্তিতে শুক্রবার গভীর রাতে যৌথ ভাবে অভিযুক্ত ওই ব্যক্তির বাড়ি ঘেরাও করেন পুলিশ ও বনকর্মীরা । শেষ পর্যন্ত শনিবার দিনের আলো ফোটার পর ওই বাড়ির দরজা ভেঙে ঘরে ঢোকে পুলিশ । তল্লাশির পর ওই ঘর থেকে সাতটি তক্ষক ও একটি চন্দনা পাখি উদ্ধার হলেও, অভিযুক্তের কোনো হদিশ মেলেনি। পুলিশের অনুমান, অভিযানের আগাম খবর পেয়েই পরিবার নিয়ে গা ঢাকা দেয় পাচারকারী কাজি আলম । ওই ব্যক্তি দীর্ঘদিন ধরে স্থানীয় বাসিন্দা আজাদ মিয়ার বাড়িতে ভাড়া থাকত । চিরাং জেলার উদ্ধার হওয়া ওই গাড়িটির সুত্র ধরেই যৌথ ভাবে তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ । বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে দুটি গাড়ি । বনবিভাগের পক্ষ থেকে উদ্ধার হওয়া সাতটি তক্ষক ও চন্দনা পাখিটিকে আলিপুরদুয়ার ACJM আদালতে পেশ করা হয়েছে । আদালতের অনুমতি সাপেক্ষে তাদের প্রকৃতিতে ছেড়ে দেওয়া হবে।
জলদাপাড়া বনবিভাগের DFO কুমার বিমল জানিয়েছেন, "প্রাথমিক তদন্তের পর আমরা নিশ্চিত যে ওই পাচারের ঘটনায় একটি আন্তঃরাজ্য চক্রের যোগসাজশ রয়েছে । অভিযুক্তদের খোঁজে তল্লাশি শুরু করেছে বনবিভাগ ও পুলিশ।"