আলিপুরদুয়ার,31 জুলাই: ঝাড়গ্রামের দামাল দাঁঁতালকে পোষ মানিয়ে হাততালি কুড়োল জলদাপাড়ার মাহুতরা। এই প্রথম 20 বছর বয়সি বুনো দাঁতাল হাতিকে পোষ মানিয়ে অসাধ্যকে সাধন করল জলদাপাড়ার মাহুতরা। এই হাতিটিকে পোষ মানানো যে কতটা কষ্টকর তা হারে হারে টের পেয়েছে বনকর্মীরা। দপ্তর সূত্রে জানা গেছে,ঝাড়গ্রাম ডিভিশনে থাকা হাতিটি অনেকদিন থেকেই অসুস্থ ছিল। হাতিটি প্রায়দিনই খাবারের খোঁজে লোকালয়ের কাছাকাছি চলে আসত। এই বুনো হাতিটি লোকালয়ে চলে আসার ঘটনায় আতঙ্ক বাড়ছিল স্থানীয়দের। এরপরেই ঝাড়্গ্রাম থেকে জলদাপাড়া জাতীয় উদ্যানে এই বুনো হাতটিকে নিয়ে আসা হয়।
চলতি বছরের ফেব্রুয়ারি মাসে ঝাড়গ্রাম থেকে এই দাঁতাল হাতিটিকে জলদাপাড়ায় আনা হয়। জলদাপাড়া জাতীয় উদ্যানে আনার পরেই এই হাতির নামকরণ করা হয়েছে ' কুঞ্জরিশ'। ঝাড়্গ্রামের জঙ্গলের বুনো দাঁতাল এখন পোষ্য হয়ে আর কিছু দিনের মধ্যেই বনকর্মী হিসেবে কাজে যোগ দেবে। ঝাড়গ্রামের ডাকাবুকো বুনো দাঁতালকে পোষ মানিয়ে ফেলেছেন জলদাপাড়া জাতীয় উদ্যানের মাহুতরা। 20 বছরের সেই দাঁতাল হাতি এখন জলদাপাড়ায় মাহুতদের সব কমান্ডও শুনছে। মাঝে মধ্যে টহলেও দিচ্ছে জাতীয় উদ্যানে জঙ্গলে ।
জাতীয় উদ্যান কর্তৃপক্ষ সুত্রে জানা গেছে,জলদাপাড়া জাতীয় উদ্যানে এত বয়স্ক বুনো হাতিকে পোষ মানানোর ঘটনা আগে কখনো ঘটেনি । প্রায় ছয়মাসের প্রশিক্ষণের শেষে কুঞ্জরিশ এখন ভালো ছাত্র হয়ে দাঁড়িয়েছে । জলদাপাড়া জাতীয় উদ্যানের ডি এফ ও কুমার বিমল বলেন, “ এত বড় বুনো হাতিকে পোষ মানানোর এমন ঘটনা জলদাপাড়ায় ঘটেনি। 20 বছর বয়সের বুনো হাতিকে পোষ মানানো খুব সহজ কাজ নয়। মাহুতরা কম বয়সি হাতিকে পোষ মানিয়ে এসেছেন।এই প্রথমবার একটি বুনো দাঁতালকে প্রশিক্ষণ দেওয়া হল। ”