ETV Bharat / state

"হাতির ক্ষতি করবেন না", মাদারিহাটে প্রচার প্রশাসনের - মাদারিহাটে প্রায়ই হাতির হামলা

জলদাপাড়া জাতীয় উদ্যানের কর্তৃপক্ষের তরফ থেকে জনসচেতন বার্তা মাদারিহাটে । হাতির হানায় আপাতত মাদারিহাটের বাসিন্দারা গৃহবন্দী । তারা যেন ধৈর্য হারিয়ে হাতিকে মেরে না ফেলে সে বিষয়ে জনসচেতনতা বৃদ্ধি করছে জলদাপাড়া বন সুরক্ষা কমিটি এবং বনদপ্তর ।

Jaldapara National Park Authority
জলদাপাড়া জাতীয় উদ্যান কর্তৃপক্ষ
author img

By

Published : Jun 15, 2020, 7:47 AM IST

আলিপুরদুয়ার, 14 জুন : লাগাতার হাতির হামলা কেরালার মালপ্পুরমে । শেষ মেশ ধৈর্যচ্যুত হয়ে বাজি ভরতি আনারস খাইয়ে মেরে ফেলা হয়েছিল এক গর্ভবতী হাতিকে । সেই ঘটনার যাতে পুনরাবৃত্তি না ঘটে তাই শনিবার মাদারিহাটে মাইকে প্রচার চালাল জলদাপাড়া জাতীয় উদ্যান কর্তৃপক্ষ ।

বেশ কিছুদিন ধরেই জলদাপাড়া জাতীয় উদ্যানের অন্তর্গত গোটা মাদারিহাট ব্লক জুড়ে হাতির হামলা অব্যাহত । হাতির হামলার জেরে স্থানীয় এক বাসিন্দার মৃত্যু পর্যন্ত হয়েছে । এই ব্লকের বিভিন্ন গ্রামে, কৃষি ক্ষেতে, হোটেলে, রিসর্টে হাতির হামলা লাগাতার চলছে । প্রায় রুটিন করে একদল হাতি প্রতি সন্ধ্যাতে গোটা মাদারিহাটের দখল নেয় । হাতির হামলায় প্রাণনাশের ভয়ে কার্যত গৃহবন্দী মাদারিহাটবাসী ।

হাতির পালের তাণ্ডব ঠেকাতে বনদপ্তরের অবস্থা তথৈবচ । জলদাপাড়া দামালদের দাপট এতটাই যে, বনদপ্তরকে দেখলেও তারা তেড়েফুঁড়ে আসছে আক্রমণ করতে । আচমকাই হাতিদের কেন এই আচরণ তার কোনও কারণ খুঁজে পাচ্ছে না জলদাপাড়া জাতীয় উদ্যান কর্তৃপক্ষ ।

শনিবার বিকেলে জলদাপাড়া বন সুরক্ষা কমিটি এবং বনদপ্তর যৌথভাবে মাদারিহাটের বেশ কয়েকটি এলাকায় মাইকিং করে জন সাধারণকে সচেতন করেন জলদাপাড়া রেঞ্জের এক বনাধিকারিক চিরঞ্জিত পাল । এলাকায় মাইকিং করে জনতার উদ্দেশে বলেন, "হাতির হানায় অতিষ্ঠ হয়ে আপনারা হাতিদের খাদ্যে বিষ প্রয়োগ, বিদ্যুতের শক এসব করে হাতিদের প্রাণ নেবেন না । ওরা খাবারের জন্য আসে । আপনাদের জায়গা জমি সম্পত্তি দখল করতে আসে না । ওদের কোন ক্ষতি করবেন না । ওরা আমাদের জায়গায় নয় আমরা ওদের যায়গায় বসবাস করছি । তাই ওদের ঠেকাতে ওদের প্রাণ নেবেন না ।"

চিরঞ্জিতবাবু মাদারিহাটের জনতাকে আবেদন করে বলেন, "আপনারা ভোরবেলায় ও সন্ধ্যায় বাড়ি থেকে বের হবেন না । আমাদের বনকর্মী এবং পুলিশ আপনাদের সুরক্ষা দেবে । আপনারা বাড়িতে থাকুন । যদি কোনও এলাকায় হাতি ঢুকে পড়ে তাহলে সঙ্গে সঙ্গে পুলিশ ও বনদপ্তরে যোগাযোগ করুন ।"

পরিবেশ প্রেমীরা মনে করছেন, লকডাউনের পর থেকেই জঙ্গলের সঙ্গে লোকালয়ের পরিবেশেও আমূল পরিবর্তন এসেছে । দূষণ কমেছে পরিবেশের । পরিবেশ থেকে দূষণের মাত্রা কমে যাওয়াতেই হাতি সহ বিভিন্ন বন্য প্রাণী লোকালয়ে চলে আসছে । লকডাউনের জেরে জঙ্গলের পরিবেশ এবং লোকালয়ের পরিবেশের মধ্যে এখন তেমন কোনও পার্থক্য না থাকায় হাতির পাল লোকালয়ে চলে আসছে বলে মনে করছে পরিবেশ প্রেমীরা । অন্যদিকে টানা লকডাউনে মানুষ গৃহবন্দী । রাস্তাঘাটে মানুষের দেখা নেই । সেই সুযোগে জঙ্গল আর লোকালয়ে অবাধ যাতায়াত শুরু করেছে বন্যপ্রাণীরা ।

আলিপুরদুয়ার, 14 জুন : লাগাতার হাতির হামলা কেরালার মালপ্পুরমে । শেষ মেশ ধৈর্যচ্যুত হয়ে বাজি ভরতি আনারস খাইয়ে মেরে ফেলা হয়েছিল এক গর্ভবতী হাতিকে । সেই ঘটনার যাতে পুনরাবৃত্তি না ঘটে তাই শনিবার মাদারিহাটে মাইকে প্রচার চালাল জলদাপাড়া জাতীয় উদ্যান কর্তৃপক্ষ ।

বেশ কিছুদিন ধরেই জলদাপাড়া জাতীয় উদ্যানের অন্তর্গত গোটা মাদারিহাট ব্লক জুড়ে হাতির হামলা অব্যাহত । হাতির হামলার জেরে স্থানীয় এক বাসিন্দার মৃত্যু পর্যন্ত হয়েছে । এই ব্লকের বিভিন্ন গ্রামে, কৃষি ক্ষেতে, হোটেলে, রিসর্টে হাতির হামলা লাগাতার চলছে । প্রায় রুটিন করে একদল হাতি প্রতি সন্ধ্যাতে গোটা মাদারিহাটের দখল নেয় । হাতির হামলায় প্রাণনাশের ভয়ে কার্যত গৃহবন্দী মাদারিহাটবাসী ।

হাতির পালের তাণ্ডব ঠেকাতে বনদপ্তরের অবস্থা তথৈবচ । জলদাপাড়া দামালদের দাপট এতটাই যে, বনদপ্তরকে দেখলেও তারা তেড়েফুঁড়ে আসছে আক্রমণ করতে । আচমকাই হাতিদের কেন এই আচরণ তার কোনও কারণ খুঁজে পাচ্ছে না জলদাপাড়া জাতীয় উদ্যান কর্তৃপক্ষ ।

শনিবার বিকেলে জলদাপাড়া বন সুরক্ষা কমিটি এবং বনদপ্তর যৌথভাবে মাদারিহাটের বেশ কয়েকটি এলাকায় মাইকিং করে জন সাধারণকে সচেতন করেন জলদাপাড়া রেঞ্জের এক বনাধিকারিক চিরঞ্জিত পাল । এলাকায় মাইকিং করে জনতার উদ্দেশে বলেন, "হাতির হানায় অতিষ্ঠ হয়ে আপনারা হাতিদের খাদ্যে বিষ প্রয়োগ, বিদ্যুতের শক এসব করে হাতিদের প্রাণ নেবেন না । ওরা খাবারের জন্য আসে । আপনাদের জায়গা জমি সম্পত্তি দখল করতে আসে না । ওদের কোন ক্ষতি করবেন না । ওরা আমাদের জায়গায় নয় আমরা ওদের যায়গায় বসবাস করছি । তাই ওদের ঠেকাতে ওদের প্রাণ নেবেন না ।"

চিরঞ্জিতবাবু মাদারিহাটের জনতাকে আবেদন করে বলেন, "আপনারা ভোরবেলায় ও সন্ধ্যায় বাড়ি থেকে বের হবেন না । আমাদের বনকর্মী এবং পুলিশ আপনাদের সুরক্ষা দেবে । আপনারা বাড়িতে থাকুন । যদি কোনও এলাকায় হাতি ঢুকে পড়ে তাহলে সঙ্গে সঙ্গে পুলিশ ও বনদপ্তরে যোগাযোগ করুন ।"

পরিবেশ প্রেমীরা মনে করছেন, লকডাউনের পর থেকেই জঙ্গলের সঙ্গে লোকালয়ের পরিবেশেও আমূল পরিবর্তন এসেছে । দূষণ কমেছে পরিবেশের । পরিবেশ থেকে দূষণের মাত্রা কমে যাওয়াতেই হাতি সহ বিভিন্ন বন্য প্রাণী লোকালয়ে চলে আসছে । লকডাউনের জেরে জঙ্গলের পরিবেশ এবং লোকালয়ের পরিবেশের মধ্যে এখন তেমন কোনও পার্থক্য না থাকায় হাতির পাল লোকালয়ে চলে আসছে বলে মনে করছে পরিবেশ প্রেমীরা । অন্যদিকে টানা লকডাউনে মানুষ গৃহবন্দী । রাস্তাঘাটে মানুষের দেখা নেই । সেই সুযোগে জঙ্গল আর লোকালয়ে অবাধ যাতায়াত শুরু করেছে বন্যপ্রাণীরা ।

ETV Bharat Logo

Copyright © 2024 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.