ETV Bharat / state

বেড়েছে প্রবেশমূল্য, ভরা মরশুমেও খালি জয়ন্তী - জয়ন্তী পর্যটন কেন্দ্র সংক্রান্ত খবর

বন দপ্তরের তরফে বাড়ানো হয়েছে বিভিন্ন জঙ্গলের প্রবেশমূল্য ৷ সেই সঙ্গে গ্রিন ট্রাইবুনালের চাপে পড়ে ডুয়ার্সে বন্ধ প্রায় 59 টি হোম-স্টে ৷ সব মিলিয়ে ভরা মরশুমেও পর্যটকের অভাবে ধুঁকছে আলিপুরদুয়ারের জয়ন্তী ৷

জয়ন্তী
author img

By

Published : Oct 18, 2019, 1:46 PM IST

Updated : Oct 18, 2019, 1:55 PM IST

আলিপুরদুয়ার, 18 অক্টোবর : বন দপ্তর বিভিন্ন জঙ্গলে অবস্থিত পর্যটনকেন্দ্রগুলিতে মাথাপিছু প্রবেশমূল্য বাড়িয়ে দেওয়ায় ডুয়ার্সের জঙ্গল থেকে মুখ ফিরিয়েছেন পর্যটকরা । পর্যটকের অভাবে ধুঁকছে আলিপুরদুয়ারের জয়ন্তী পর্যটনকেন্দ্র ৷

জয়ন্তী, গোরুমারা, জলদাপাড়া সব জায়গাতেই ছবিটা একই । ডুয়ার্সের জঙ্গল ছেড়ে পর্যটকরা এখন পাহাড়মুখী । ডুয়ার্স জঙ্গলের পর্যটনকেন্দ্রগুলোকে বাঁচাতে রাজ্যের পর্যটন দপ্তরের মুখ্যসচিব অত্রি ভট্টাচার্যের কাছে দরবার করেছেন পর্যটন ব্যবসায়ীরা । শিলিগুড়িতে মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করে ডুয়ার্সের পর্যটন পরিস্থিতি জানাবেন পর্যটন ব্যবসায়ীরা ৷

বেশিরভাগ পর্যটকই জয়ন্তীর পাহাড়, জঙ্গল, নদী, বন্য প্রাণের হাতছানিকে উপেক্ষা করে পাহাড়মুখী । কারও গন্তব্য সিকিমের বরফ ঢাকা পাহাড়, কেউ আবার ছুটছেন মোহময়ী দার্জিলিঙে ৷ জয়ন্তীর স্থানীয় পর্যটন ব্যবসায়ী, গাইড, গাড়ি চালকরা পর্যটক না আসার একাধিক কারণ দেখতে পাচ্ছেন । কারও মতে পরিবেশবিদ সুভাষ দত্তের করা গ্রিন ট্রাইবুনাল মামলার জন্য পর্যটকরা মুখ ফিরিয়েছেন জয়ন্তী থেকে । কেউ আবার বলছেন, জয়ন্তী প্রবেশের রাজাভাত খাওয়া গেটে পর্যটকদের থেকে বন দপ্তর অতিরিক্ত প্রবেশমূল্য নেওয়ায় মুখ ফিরিয়েছেন পর্যটকরা ।

দেখুন ভিডিয়ো...

ইতিমধ্যেই গ্রিন ট্রাইবুনালের চাপে পড়ে গোটা বক্সায় 59 টি হোম স্টে বন্ধ হয়ে গেছে । ফলে একাধিক সমস্যার মুখে পড়েছে জয়ন্তী পর্যটনকেন্দ্র । জয়ন্তীর পর্যটন ব্যবসায়ী হিমেল ছেত্রী বলেন, সুভাষ দত্তের দায়ের করা গ্রিন ট্রাইবুনাল মামলার জন্য অনেক পর্যটক ঝামেলা এড়াতে এখন জয়ন্তীকে উপেক্ষা করছেন ।

জয়ন্তীর গ্রিন হোম স্টে-র মালিক কালু মাহাত জানান, রাজাভাত খাওয়া গেটের প্রবেশদ্বারে বন দপ্তর পর্যটকদের মাথাপিছু প্রবেশমূল্য প্রায় দ্বিগুণ করে দিয়েছে । সেকারণেই অনেক পর্যটক মুখ ফিরিয়ে নিয়েছেন । আগে মাথা পিছু প্রবেশ মূল্য ছিল 60 টাকা । এখন তা বেড়ে দাঁড়িয়েছে 100 টাকা । গাড়ি প্রতি আগে নেওয়া হত 150 টাকা । এখন নেওয়া হয় 300 টাকা । এ সব কারণেই পর্যটকরা এখন পাহাড়মুখী । জয়ন্তীতে পর্যটকদের জঙ্গল সাফারি করার জন্য মোট 30 টি গাড়ি রয়েছে । প্রশিক্ষিত গাইড রয়েছে 31 জন । এ ছাড়াও সরকারি ,বেসরকারি হোম স্টে এবং লজ, হোটেল রয়েছে 50 টি । গ্রিন ট্রাইবুনালের চাপে গোটা বক্সা এলাকায় বন্ধ হয়েছে 59 টি হোম স্টে । বেঁচে থাকা 50 টি-র মধ্যেও অধিকাংশ বর্তমানে ফাঁকাই পড়ে থাকছে । ফলে মাথায় হাত পড়েছে জয়ন্তীবাসীর । তবে বিভিন্ন সমস্যাকে উপেক্ষা করে যে সমস্ত পর্যটক জয়ন্তীতে আসছেন তাঁদের বেশিরভাগই জয়ন্তীর জঙ্গল সাফারি কিংবা জঙ্গলের নিস্তব্ধতার মজা চেটেপুটে নিচ্ছেন । প্রতি সাফারিতেই আগত পর্যটকদের চোখে পড়ছে হাতি, হরিণ ,বাইসন, বুনো শুয়োর, ময়ূরের ঝাঁক । কখনও আবার নজরে পড়ছে চিতা বাঘ ।

হিমালয়ান হসপিটালিটি অ্যান্ড টুরিজ়ম ডেভেলপমেন্টের সাধারণ সম্পাদক সম্রাট সান্যাল বলেন, "আমরা এ বিষয়ে পর্যটন দপ্তরের মুখ্যসচিব অত্রি ভট্টাচার্যের সঙ্গে কথা বলেছি । তিনি বন দপ্তরের সঙ্গে প্রবেশমূল্য নিয়ে কথা বলবেন । এছাড়া শিলিগুড়িতে মুখ্যমন্ত্রীর হাতে এই বিষয়ে আমারা স্মারকলিপি তুলে দেব ।"

আলিপুরদুয়ার, 18 অক্টোবর : বন দপ্তর বিভিন্ন জঙ্গলে অবস্থিত পর্যটনকেন্দ্রগুলিতে মাথাপিছু প্রবেশমূল্য বাড়িয়ে দেওয়ায় ডুয়ার্সের জঙ্গল থেকে মুখ ফিরিয়েছেন পর্যটকরা । পর্যটকের অভাবে ধুঁকছে আলিপুরদুয়ারের জয়ন্তী পর্যটনকেন্দ্র ৷

জয়ন্তী, গোরুমারা, জলদাপাড়া সব জায়গাতেই ছবিটা একই । ডুয়ার্সের জঙ্গল ছেড়ে পর্যটকরা এখন পাহাড়মুখী । ডুয়ার্স জঙ্গলের পর্যটনকেন্দ্রগুলোকে বাঁচাতে রাজ্যের পর্যটন দপ্তরের মুখ্যসচিব অত্রি ভট্টাচার্যের কাছে দরবার করেছেন পর্যটন ব্যবসায়ীরা । শিলিগুড়িতে মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করে ডুয়ার্সের পর্যটন পরিস্থিতি জানাবেন পর্যটন ব্যবসায়ীরা ৷

বেশিরভাগ পর্যটকই জয়ন্তীর পাহাড়, জঙ্গল, নদী, বন্য প্রাণের হাতছানিকে উপেক্ষা করে পাহাড়মুখী । কারও গন্তব্য সিকিমের বরফ ঢাকা পাহাড়, কেউ আবার ছুটছেন মোহময়ী দার্জিলিঙে ৷ জয়ন্তীর স্থানীয় পর্যটন ব্যবসায়ী, গাইড, গাড়ি চালকরা পর্যটক না আসার একাধিক কারণ দেখতে পাচ্ছেন । কারও মতে পরিবেশবিদ সুভাষ দত্তের করা গ্রিন ট্রাইবুনাল মামলার জন্য পর্যটকরা মুখ ফিরিয়েছেন জয়ন্তী থেকে । কেউ আবার বলছেন, জয়ন্তী প্রবেশের রাজাভাত খাওয়া গেটে পর্যটকদের থেকে বন দপ্তর অতিরিক্ত প্রবেশমূল্য নেওয়ায় মুখ ফিরিয়েছেন পর্যটকরা ।

দেখুন ভিডিয়ো...

ইতিমধ্যেই গ্রিন ট্রাইবুনালের চাপে পড়ে গোটা বক্সায় 59 টি হোম স্টে বন্ধ হয়ে গেছে । ফলে একাধিক সমস্যার মুখে পড়েছে জয়ন্তী পর্যটনকেন্দ্র । জয়ন্তীর পর্যটন ব্যবসায়ী হিমেল ছেত্রী বলেন, সুভাষ দত্তের দায়ের করা গ্রিন ট্রাইবুনাল মামলার জন্য অনেক পর্যটক ঝামেলা এড়াতে এখন জয়ন্তীকে উপেক্ষা করছেন ।

জয়ন্তীর গ্রিন হোম স্টে-র মালিক কালু মাহাত জানান, রাজাভাত খাওয়া গেটের প্রবেশদ্বারে বন দপ্তর পর্যটকদের মাথাপিছু প্রবেশমূল্য প্রায় দ্বিগুণ করে দিয়েছে । সেকারণেই অনেক পর্যটক মুখ ফিরিয়ে নিয়েছেন । আগে মাথা পিছু প্রবেশ মূল্য ছিল 60 টাকা । এখন তা বেড়ে দাঁড়িয়েছে 100 টাকা । গাড়ি প্রতি আগে নেওয়া হত 150 টাকা । এখন নেওয়া হয় 300 টাকা । এ সব কারণেই পর্যটকরা এখন পাহাড়মুখী । জয়ন্তীতে পর্যটকদের জঙ্গল সাফারি করার জন্য মোট 30 টি গাড়ি রয়েছে । প্রশিক্ষিত গাইড রয়েছে 31 জন । এ ছাড়াও সরকারি ,বেসরকারি হোম স্টে এবং লজ, হোটেল রয়েছে 50 টি । গ্রিন ট্রাইবুনালের চাপে গোটা বক্সা এলাকায় বন্ধ হয়েছে 59 টি হোম স্টে । বেঁচে থাকা 50 টি-র মধ্যেও অধিকাংশ বর্তমানে ফাঁকাই পড়ে থাকছে । ফলে মাথায় হাত পড়েছে জয়ন্তীবাসীর । তবে বিভিন্ন সমস্যাকে উপেক্ষা করে যে সমস্ত পর্যটক জয়ন্তীতে আসছেন তাঁদের বেশিরভাগই জয়ন্তীর জঙ্গল সাফারি কিংবা জঙ্গলের নিস্তব্ধতার মজা চেটেপুটে নিচ্ছেন । প্রতি সাফারিতেই আগত পর্যটকদের চোখে পড়ছে হাতি, হরিণ ,বাইসন, বুনো শুয়োর, ময়ূরের ঝাঁক । কখনও আবার নজরে পড়ছে চিতা বাঘ ।

হিমালয়ান হসপিটালিটি অ্যান্ড টুরিজ়ম ডেভেলপমেন্টের সাধারণ সম্পাদক সম্রাট সান্যাল বলেন, "আমরা এ বিষয়ে পর্যটন দপ্তরের মুখ্যসচিব অত্রি ভট্টাচার্যের সঙ্গে কথা বলেছি । তিনি বন দপ্তরের সঙ্গে প্রবেশমূল্য নিয়ে কথা বলবেন । এছাড়া শিলিগুড়িতে মুখ্যমন্ত্রীর হাতে এই বিষয়ে আমারা স্মারকলিপি তুলে দেব ।"

Intro:আলিপুরদুয়ার:-পর্যটকদের মাথা পিছু বনদপ্তর বিভিন্ন জংগলে অবস্থিত পর্যটন কেন্দ্রে প্রবেশ মূল্য বাড়িয়ে দেওয়ায় ডুয়ার্সের জংগল থেকে মুখ ফিরিয়েছে পর্যটকরা ।


Body: জয়ন্তী,গরুমারা ,জলদাপাড়া সব জায়গাতেই একই চিত্র।ডুয়ার্সের জংগল ছেড়ে পর্যটকরা এখন পাহাড় মুখী । ডুয়ার্সের জংগল মহলের এই পর্যটন কেন্দ্র গুলোকে বাঁচাতে রাজ্যের পর্যটন দপ্তরের মুখ্যসচিব অত্রি ভট্টাচার্যের কাছে দরবার করেছে পর্যটন ব্যবসায়ীরা।শিলিগুড়িতে মুখ্যমন্ত্রীর সাথে দেখা করে বনদফরের জন্য ডুয়ার্সের পর্যটনের এই পরিস্থির কথা অভিযোগ আকারে জানাবেন পর্যটন ব্যবসায়ী মহল । পর্যটকের অভাবে ধুঁকছে আলিপুরদুয়ারের জয়ন্তী পর্যটন কেন্দ্র ।পর্যটনের ভরা মরসুমেও প্রায় ফাঁকা ডুয়ার্সের এই বিখ্যাত পর্যটন কেন্দ্রটি ।পর্যটকরা জয়ন্তীর পাহাড়,জঙ্গল,নদী,বন্য প্রাণের হাতছানিকে উপেক্ষা করে এখন পাহাড় মুখি ।কারো গন্তব্য সিকিমের বরফ ঢাকা পাহাড় ,কেউ আবার ছুটছেন মোহময়ী দার্জিলিং পাহাড়ের রূপে মশগুল হতে । জয়ন্তীর স্থানীয় পর্যটন ব্যাবসায়ী,গাইড ,গাড়ি চালকরা জয়ন্তীতে পর্যটক না আসার একাধিক কারণ দেখতে পাচ্ছেন । কারো মতে পরিবেশবিদ সুভাষ দত্তের করা গ্রীন ট্রাইবুনাল মামলার জন্য পর্যটকরা মুখ ফিরিয়েছেন জয়ন্তী থেকে । কেউ আবার বলছেন জয়ন্তী প্রবেশের রাজাভাত খাওয়া গেটে পর্যটকদের থেকে বনদপ্তর অতিরিক্ত মাসুল আদায় করার জন্য মুখ ফিরিয়েছে পর্যটকরা । ইতিমধ্যেই গ্রীন ট্রাইব্যুনালের চাপে পড়ে গোটা বক্সায় ৫৯টি হোমষ্টে বন্ধ হয়ে গেছে ।ফলে একাধিক সমস্যার মুখে পড়েছে জয়ন্তী পর্যটন কেন্দ্র । জয়ন্তীর পর্যটন ব্যবসায়ী হিমেল ছেত্রী বলেন সুভাষ দত্তের দায়ের করা গ্রীন ট্রাইব্যুনাল মামলার জন্য অনেক পর্যটক ঝামেলা এড়াতে এখন জয়ন্তীকে উপেক্ষা করছে ।মানুষ পাহাড়ে দিকে চলে যাচ্ছে ।ক্ষতি হচ্ছে জয়ন্তীর পর্যটন ব্যবসার । জয়ন্তীর গ্রীন হোমষ্টের মালিক কালু মাহাতো বলেন রাজাভাত খাওয়া গেটের প্রবেশ দ্বারে বনদপ্তর পর্যটকদের মাথা পিছু প্রবেশ মূল্য প্রায় দ্বিগুণ করে দিয়েছে । সেকারণেই অনেক পর্যটক মুখ ফিরিয়ে নিয়েছে ।আগে মাথা পিছু প্রবেশ মূল্য ছিলো ৬০ টাকা ।এখন তা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১০০ টাকা ।গাড়ি প্রতি আগে নেওয়া হতো ১৫০ টাকা ।এখন নেওয়া হয় তিনশ টাকা ।এসব কারণের জন্যই পর্যটকরা এখন পাহাড় মুখী । জয়ন্তীতে পর্যটকদের জংগল সাফারি করার জন্য মোট ৩০ টি গাড়ি রয়েছে ।প্রশিক্ষিত গাইড রয়েছে ৩১ জন ।এছাড়া ও সরকারি ,বেসরকারি হোমষ্টে ,এবং লজ ,হোটেল রয়েছে ৫০ টি ।গ্রীন ট্রাইব্যুনালের চাপে গোটা বক্সা এলাকায় বন্ধ হয়েছে ৫৯ টি হোমষ্টে । বেঁচে থাকা ৫০টির মধ্যেও অধিকাংশ বর্তমানে ফাঁকাই পরে থাকছে।ফলে মাথায় হাত পড়েছে গোটা জয়ন্তী বাসীর । তবে বিভিন্ন সমস্যা কে উপেক্ষা করে যে সমস্ত পর্যটক জয়ন্তীতে আসছেন তাদের বেশির ভাগই জয়ন্তীর জংগল সাফারি ,কিংবা জংগলের নিস্তব্ধতার মজা চেটেপুটে নিচ্ছেন ।প্রতি সফরিতেই আগত পর্যটকদের চোখে পড়ছে হাতি,হরিণ ,বাইসন ,জঙ্গলি কুকুর ,বুনো শুয়োর ,ময়ূরের ঝাঁক ।কখনও আবার নজরে পড়ছে চিতা বাঘ ।


Conclusion:হিমালয়ান হসপিটালিটি & ট্যুরিজম ডেভলপমেন্টের সাধারণ সম্পাদক সম্রাট সান্যাল জানান আমরা এই বিষয়ে পর্যটনের মুখ্য সচিব অত্রি ভট্টাচার্যের সাথে কথা বলেছি ।তিনি বনদফরের সাথে প্রবেশ মূল্য নিয়ে কথা বলবেন ।এছাড়া শিলিগুড়িতে মুখ্যমন্ত্রীর হাতে এই বিষয়ে আমারা স্মারকলিপি তুলে দেব ।
Last Updated : Oct 18, 2019, 1:55 PM IST
ETV Bharat Logo

Copyright © 2025 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.