আলিপুরদুয়ার, 8 জুন : সুভাষিণী চা বাগানের মাঠে সরকারি অনুষ্ঠানে যোগ দিয়ে ফের একবার গেরুয়া শিবিরের দিকে আঙুল তুললেন মুখ্যমন্ত্রী। তিনি বলেন, "দশ বছর আগে চা বাগানের শ্রমিকদের মজুরি ছিল 67 টাকা এখন বেড়ে হয়েছে 202 টাকা। যতক্ষণ না মজুরি বাড়ছে ততক্ষণ 15 শতাংশ করে অন্তর্বতী মজুরি মিলবে (Chief Minister questioned the increase in interim wages of tea workers at the rate of 15%) ৷" হোম স্টে ট্যুরিজমের জোড় দিতে চাইছেন মুখ্যমন্ত্রী।
এ বিষয়ে তিনি বলেন, "আর্থ সামাজিক উন্নয়নে আমরা হোম ট্যুরিজম করছি"৷ এই প্রথম মুখ্যমন্ত্রী অন্তর্বতীকালীন মজুরি বৃদ্ধির কথা বললেন।" যে চা শ্রমিকদের বাড়ি নেই, তাঁদের জন্য চা সুন্দরী প্রকল্প করছি। হোম স্টে ট্যুরিজমের মাধ্যমে আর্থিক উন্নতি হবে। হোম স্টে ট্যুরিজম বেশি করে করতে চাইছি। এখন আদিবাসীদের কাস্ট সার্টিফিকেট পাওয়ার ব্যবস্থা করেছি। কাস্ট সার্টিফিকেটের জন্য 50 বছরের কাগজের আর দরকার নেই ৷"
এছাড়াও তিনি বলেন, "স্বাস্থ্যসাথী কার্ড করে দিয়েছি সবার চিকিৎসার জন্য। ছেলেমেয়েদের পড়াশোনার করার ব্যবস্থা করেছি। বাইরে পড়ার ব্যবস্থাও করা হয়েছে। আলিপুরদুয়ার, জলপাইগুড়ি, কোচবিহার জেলার 510 জনের আজ বিয়ে দেওয়া হল। রুপশ্রীর 25 হাজার টাকা আমরা সবাইকে দিয়েছি, যেখানে খরচ হয়েছে 13 লক্ষ টাকা ৷ আদিবাসীদের দেখতে এতভাল আগে জানতাম না। আদিবাসী ঘরের ছেলেমেয়েরাও অলিম্পিকে জিতবে এটা আশাকরি। আমরা আর্চারি অ্যাকাডেমি করেছি। আমরা আদিবাসী ভবন বিভিন্ন জায়গায় বানাচ্ছি। এমনকী কালিম্পংয়েও বানাচ্ছি।"
আরও পড়ুন : আদিবাসী গণবিবাহের আসরে নাচের ছন্দে পা মেলালেন মমতা
পাশাপাশি তিনি বলেন, "আমি করম পুজো-সহ বিভিন্ন পরবে ছুটি দিয়েছি। দুয়ারে সরকার, পাড়ায় সমাধানে পেয়ে যাবেন কাস্ট সার্টিফিকেটও । ঝাড়গ্রামে একটা স্কুল বানিয়েছি একলব্য। ওই স্কুলে সব ছাত্রছাত্রী ভালভাবে পাশ করেছে। এটা গর্বের বিষয়। আপনাদের বাড়ি থেকে আইপিএস ডব্লিউবিসিএস হচ্ছে। আগে খেতে পেত না এখন সবাইকে খাদ্য দিচ্ছি। দুয়ার রেশন দেওয়া হচ্ছে। কিন্তু কেন্দ্র সরকার রেশনের খাবার বন্ধ করে দিয়েছে। 100 দিনের টাকা দিচ্ছে না। আমি চাই, আপনারা ভাল করে কাজ করুন ৷"