আলিপুরদুয়ার, 6 ডিসেম্বর : প্রায় দশ ফুট লম্বা একটি অজগর সাপ গলায় পেচিয়ে সোশাল মিডিয়ায় ছবি পোস্ট তৃণমূল সভাপতির । ছবি ভাইরাল হতেই বির্তক শুরু হয়েছে এই আলিপুরদুয়ার জেলা তৃণমূল সভাপতি মৃদুল গোস্বামীকে নিয়ে । অনেকেই বলছেন, তিনি যা করেছেন তা আইন বিরুদ্ধ ।
বক্সা টাইগার রিজার্ভের ক্ষেত্র অধিকর্তা শুভঙ্কর সেনগুপ্ত জানান, যে কোন বন্যপ্রাণীকে উদ্ধারের পর বন দপ্তরের হাতে তুলে দিতে হয় । সাপের ক্ষেত্রেও একই নিয়ম । যে কোন মুহুর্তে দুর্ঘটনা ঘটে যেতে পারে । ক্ষতি হতে পারে বন্যপ্রাণীটির । যিনি এই কাজ করেছেন তিনি তার অজান্তেই অন্য মানুষকে উৎসাহিত করছেন । এটা বনদপ্তরের আইন বিরুদ্ধ । তিনি বলেন, "মানুষ যাতে কোনও বন্য পশু উদ্ধারের পর তাকে বিরক্ত না করে সে বিষয়ে আমরা জনসচেতনতা চালিয়ে যাই । তারপরও এই ধরনের কাজ কাম্য নয় ।"
প্রসঙ্গত বছর খানেক আগে বেলাকোবা রেঞ্জের রেঞ্জার সঞ্জয় দত্ত একটি দশাসই অজগর উদ্ধার করেন । সেটিকে গলায় পেচিয়ে নিয়ে আসার সময় অজগরটি আচমকাই তার গলায় কষে পেঁচিয়ে ধরে । এতে সেই সময় মৃত্যুও হতে পারত সঞ্জয়বাবুর । তবে তার সহকর্মীদের তৎপরতায় সে যাত্রায় বেঁচে যান তিনি । যদিও সেবারও এই ধরনের কাজে বিতর্কে জড়ান সঞ্জয়বাবু । ঘটনার জন্য বনদপ্তরের কাছে তাঁকে জবাবদিহি করতে হয় ।
হিমালয়ান নেচার আ্যন্ড আ্যডভেঞ্চার ফাউন্ডেশনের কো-অর্ডিনেটর (ন্যাফ) অনিমেষ বসু বলেন, "মৃদুলবাবু বেশ কিছু প্রকৃতিপ্রেমী সংগঠনের সঙ্গে যুক্ত । তিনি এই কাজটি ঠিক করেননি । গ্রামগঞ্জের মানুষ অনেক সময় অজগর ধরে তার ছবি তোলে । তবে সেটা অজ্ঞতার কারনে । না বুঝে করে । তবে মৃদুল গোস্বামীর মতো একজন পাবলিক ফিগার এমন করলে সাধারন মানুষ তো আরও উৎসাহী হবে । এই সমস্ত জিনিস এড়িয়ে চলা দরকার ।
এবিষয়ে যার বিরুদ্ধে অভিযোগ, সেই আলিপুরদুয়ার তৃণমূল জেলা সভাপতি মৃদুল গোস্বামী বলেন, "ছবিটা বেশ পুরোনো । আমার ফেসবুক প্রোফাইল থেকে সেটা ছড়িয়েছে । আমাদের পাড়ার ছেলেরা একটা অজগর ধরেছিল । এটা সেই ছবি । তবে এই ছবিটা নিয়ে বির্তক হবে বুঝতে পারিনি ।"