ETV Bharat / state

তৃণমূল সভাপতির গলায় অজগর, ছবি ভাইরাল হতেই শুরু বিতর্ক

আলিপুরদুয়ার জেলা তৃণমূল সভাপতি মৃদুল গোস্বামীর গলায় অজগর । ছবিটি সোশাল মিডিয়ায় পোস্ট করেন তিনি নিজেই । ভাইরাল হতেই শুরু হয়েছে বিতর্ক । তাঁর অবশ্য দাবি, না জেনেই একাজ করেছেন তিনি ।

তৃণমূল সভাপতি
তৃণমূল সভাপতি
author img

By

Published : Dec 6, 2019, 5:26 AM IST

আলিপুরদুয়ার, 6 ডিসেম্বর : প্রায় দশ ফুট লম্বা একটি অজগর সাপ গলায় পেচিয়ে সোশাল মিডিয়ায় ছবি পোস্ট তৃণমূল সভাপতির । ছবি ভাইরাল হতেই বির্তক শুরু হয়েছে এই আলিপুরদুয়ার জেলা তৃণমূল সভাপতি মৃদুল গোস্বামীকে নিয়ে । অনেকেই বলছেন, তিনি যা করেছেন তা আইন বিরুদ্ধ ।

বক্সা টাইগার রিজার্ভের ক্ষেত্র অধিকর্তা শুভঙ্কর সেনগুপ্ত জানান, যে কোন বন্যপ্রাণীকে উদ্ধারের পর বন দপ্তরের হাতে তুলে দিতে হয় । সাপের ক্ষেত্রেও একই নিয়ম । যে কোন মুহুর্তে দুর্ঘটনা ঘটে যেতে পারে । ক্ষতি হতে পারে বন্যপ্রাণীটির । যিনি এই কাজ করেছেন তিনি তার অজান্তেই অন্য মানুষকে উৎসাহিত করছেন । এটা বনদপ্তরের আইন বিরুদ্ধ । তিনি বলেন, "মানুষ যাতে কোনও বন্য পশু উদ্ধারের পর তাকে বিরক্ত না করে সে বিষয়ে আমরা জনসচেতনতা চালিয়ে যাই । তারপরও এই ধরনের কাজ কাম্য নয় ।"

প্রসঙ্গত বছর খানেক আগে বেলাকোবা রেঞ্জের রেঞ্জার সঞ্জয় দত্ত একটি দশাসই অজগর উদ্ধার করেন । সেটিকে গলায় পেচিয়ে নিয়ে আসার সময় অজগরটি আচমকাই তার গলায় কষে পেঁচিয়ে ধরে । এতে সেই সময় মৃত্যুও হতে পারত সঞ্জয়বাবুর । তবে তার সহকর্মীদের তৎপরতায় সে যাত্রায় বেঁচে যান তিনি । যদিও সেবারও এই ধরনের কাজে বিতর্কে জড়ান সঞ্জয়বাবু । ঘটনার জন্য বনদপ্তরের কাছে তাঁকে জবাবদিহি করতে হয় ।


হিমালয়ান নেচার আ্যন্ড আ্যডভেঞ্চার ফাউন্ডেশনের কো-অর্ডিনেটর (ন্যাফ) অনিমেষ বসু বলেন, "মৃদুলবাবু বেশ কিছু প্রকৃতিপ্রেমী সংগঠনের সঙ্গে যুক্ত । তিনি এই কাজটি ঠিক করেননি । গ্রামগঞ্জের মানুষ অনেক সময় অজগর ধরে তার ছবি তোলে । তবে সেটা অজ্ঞতার কারনে । না বুঝে করে । তবে মৃদুল গোস্বামীর মতো একজন পাবলিক ফিগার এমন করলে সাধারন মানুষ তো আরও উৎসাহী হবে । এই সমস্ত জিনিস এড়িয়ে চলা দরকার ।

এবিষয়ে যার বিরুদ্ধে অভিযোগ, সেই আলিপুরদুয়ার তৃণমূল জেলা সভাপতি মৃদুল গোস্বামী বলেন, "ছবিটা বেশ পুরোনো । আমার ফেসবুক প্রোফাইল থেকে সেটা ছড়িয়েছে । আমাদের পাড়ার ছেলেরা একটা অজগর ধরেছিল । এটা সেই ছবি । তবে এই ছবিটা নিয়ে বির্তক হবে বুঝতে পারিনি ।"

আলিপুরদুয়ার, 6 ডিসেম্বর : প্রায় দশ ফুট লম্বা একটি অজগর সাপ গলায় পেচিয়ে সোশাল মিডিয়ায় ছবি পোস্ট তৃণমূল সভাপতির । ছবি ভাইরাল হতেই বির্তক শুরু হয়েছে এই আলিপুরদুয়ার জেলা তৃণমূল সভাপতি মৃদুল গোস্বামীকে নিয়ে । অনেকেই বলছেন, তিনি যা করেছেন তা আইন বিরুদ্ধ ।

বক্সা টাইগার রিজার্ভের ক্ষেত্র অধিকর্তা শুভঙ্কর সেনগুপ্ত জানান, যে কোন বন্যপ্রাণীকে উদ্ধারের পর বন দপ্তরের হাতে তুলে দিতে হয় । সাপের ক্ষেত্রেও একই নিয়ম । যে কোন মুহুর্তে দুর্ঘটনা ঘটে যেতে পারে । ক্ষতি হতে পারে বন্যপ্রাণীটির । যিনি এই কাজ করেছেন তিনি তার অজান্তেই অন্য মানুষকে উৎসাহিত করছেন । এটা বনদপ্তরের আইন বিরুদ্ধ । তিনি বলেন, "মানুষ যাতে কোনও বন্য পশু উদ্ধারের পর তাকে বিরক্ত না করে সে বিষয়ে আমরা জনসচেতনতা চালিয়ে যাই । তারপরও এই ধরনের কাজ কাম্য নয় ।"

প্রসঙ্গত বছর খানেক আগে বেলাকোবা রেঞ্জের রেঞ্জার সঞ্জয় দত্ত একটি দশাসই অজগর উদ্ধার করেন । সেটিকে গলায় পেচিয়ে নিয়ে আসার সময় অজগরটি আচমকাই তার গলায় কষে পেঁচিয়ে ধরে । এতে সেই সময় মৃত্যুও হতে পারত সঞ্জয়বাবুর । তবে তার সহকর্মীদের তৎপরতায় সে যাত্রায় বেঁচে যান তিনি । যদিও সেবারও এই ধরনের কাজে বিতর্কে জড়ান সঞ্জয়বাবু । ঘটনার জন্য বনদপ্তরের কাছে তাঁকে জবাবদিহি করতে হয় ।


হিমালয়ান নেচার আ্যন্ড আ্যডভেঞ্চার ফাউন্ডেশনের কো-অর্ডিনেটর (ন্যাফ) অনিমেষ বসু বলেন, "মৃদুলবাবু বেশ কিছু প্রকৃতিপ্রেমী সংগঠনের সঙ্গে যুক্ত । তিনি এই কাজটি ঠিক করেননি । গ্রামগঞ্জের মানুষ অনেক সময় অজগর ধরে তার ছবি তোলে । তবে সেটা অজ্ঞতার কারনে । না বুঝে করে । তবে মৃদুল গোস্বামীর মতো একজন পাবলিক ফিগার এমন করলে সাধারন মানুষ তো আরও উৎসাহী হবে । এই সমস্ত জিনিস এড়িয়ে চলা দরকার ।

এবিষয়ে যার বিরুদ্ধে অভিযোগ, সেই আলিপুরদুয়ার তৃণমূল জেলা সভাপতি মৃদুল গোস্বামী বলেন, "ছবিটা বেশ পুরোনো । আমার ফেসবুক প্রোফাইল থেকে সেটা ছড়িয়েছে । আমাদের পাড়ার ছেলেরা একটা অজগর ধরেছিল । এটা সেই ছবি । তবে এই ছবিটা নিয়ে বির্তক হবে বুঝতে পারিনি ।"

Intro:আলিপুরদুয়ার:- প্রায় দশ ফুট লম্বা একটি অজগর সাপ গলায় পেচিয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় সেই ছবি ভাইরাল করে বির্তকে জড়ালেন আলিপুরদুয়ার জেলা তৃনমূল সভাপতি মৃদুল গোস্বামী(আইনজীবী)।

Body:বক্সা টাইগার রিজার্ভের ক্ষেত্র অধিকর্তা শুভঙ্কর সেনগুপ্ত জানান যে কোন বন্যপ্রাণীকে উদ্ধারের পর
তাকে বনদফরের হাতে তুলে দিতে হয়। সাপের ক্ষেত্রেও একই নিয়ম। যে কোন মুহুর্তে দূর্ঘটনা ঘটে যেতে পারে। ক্ষতি হতে পারে বন্যপ্রাণীটির।যিনি এই কাজ করেছেন তিনি তার অজান্তেই অন্য মানুষকে উৎসাহিত করছেন। এটা বনদফতরের আইন বিরুদ্ধ।
মানুষ যাতে কোন বন্য পশু উদ্ধারের পর তাকে বিরক্ত না করে সে বিষয়ে আমরা জনসচেতনতা চালিয়ে যাই।
প্রসঙ্গত বছর খানেক আগে বেলাকোবা রেঞ্জের রেঞ্জার সঞ্জয় দত্ত একটি দশাসই অজগর উদ্ধার করে তাকে গলায় পেছিয়ে নিয়ে আসার সময় অজগরটি আচমকাই তার গলায় কষে পেঁচিয়ে ধরে।এতে প্রাণসংশয়ে পড়ে যান সঞ্জয় দত্ত। তবে তার সহকর্মীদের তৎপরতায় সে যাত্রায় বেচে যান রেঞ্জার সঞ্জয় দত্ত। যদিও তার এই কর্মকান্ডে বিতর্কে জড়ান সঞ্জয় বাবু। এরপর এই ঘটনার জন্য বনদফতরের কাছে তাকে জবাবদিহি করতে হয়।
হিমালয়ান নেচার আ্যন্ড আ্যডভেঞ্চার ফাউন্ডেশনের কো-অর্ডিনেটর(ন্যাফ) অনিমেষ বসু জানান মৃদুল বাবু বেশ কিছু প্রকৃতি প্রেমি সংগঠনের সাথে জড়িত আছে। তিনি এই কাজটি ঠিক করেননি।গ্রামগঞ্জের মানুষ অনেক সময় অজগর ধরে তার ছবি তোলে। তবে সেটা অজ্ঞতার কারনে। না বুঝে করেন। তবে মৃদুল গোস্বামীর মতো একজন পাবলিক ফিগার এমন করলে সাধারন মানুষ আরো উৎসাহী হবে। এই সমস্ত জিনিস এড়িয়ে চলা দরকার।


Conclusion:তৃনমূল জেলা সভাপতি মৃদুল গোস্বামী বলেন ছবিটা বেশ পুরানো। আমার ফেসবুক প্রোফাইল থেকে সেটা ছড়িয়েছে। আমাদের পাড়ার ছেলেরা একটা অজগর ধরে ছিলো। এটা সেই ছবি। তবে এই ছবিটা নিয়ে বির্তক হবে বুঝতে পারিনি।

ETV Bharat Logo

Copyright © 2024 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.