কুমারগ্রাম (আলিপুরদুয়ার), 9 জানুয়ারি : বালি, পাথর মাফিয়াদের সঙ্গে আলিপুরদুয়ারের তৃণমূলের জেলা সভাপতির যোগসাজশের অভিযোগ ৷ সেই অভিযোগ এল তৃণমূল পরিচালিত গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধানের তরফে ৷ আলিপুরদুয়ারে সংকোষ নদী থেকে অবৈধ বালি পাচারকারীদের ঠেকাতে তৎপর প্রশাসন (Alipurduar Sand Smuggle) ৷ অথচ সেই মাফিয়াদের সঙ্গে খোদ তৃণমূলের জেলা সভাপতি প্রকাশ চিক বাড়াইকের আঁতাতের অভিযোগ তুললেন এনকেএস গ্রাম পঞ্চায়েত প্রধান রানা বিশ্বাস ৷ তাঁর দাবি, লরি পিছু হাজার টাকা করে পান জেলা সভাপতি ৷ পঞ্চায়েত প্রধানের এমন অভিযোগে আলোড়ন পড়ে গিয়েছে আলিপুরদুয়ারে ৷
তাঁর অভিযোগ, সংকোষ নদী থেকে রোজ অবৈধভাবে 100 থেকে 150 গাড়ি বালি ও পাথর পাচার করছিল বালি মাফিয়ারা । নদীতে অবৈধভাবে বাঁধ তৈরি করে গতিপথ পাল্টে চলছিল বালি ও পাথর পাচার । যার ফলে শুকিয়ে গিয়েছিল সংকোষ নদী ৷ শুরু হয়েছিল তীব্র জল সঙ্কট । প্রধানের অভিযোগের ভিত্তিতে পরে সেই অবৈধ বাঁধ ভেঙে দেয় জেলা প্রশাসন । সাময়িক ভাবে বন্ধ হয় বালি ও পাথর উত্তোলন । কিছুদিন বন্ধ থাকার পর আবার শুরু হয় বেআইনিভাবে বালি পাথর তোলার কাজ ।
আর এই বালি মাফিয়াদের রমরমার পিছনে নাকি রয়েছেন খোদ তৃণমূলের জেলা সভাপতি প্রকাশ চিড় বাড়াইক (Alipurduar district tmc president has been accused of collusion with sand smugglers) ৷ মাফিয়াদের সঙ্গে যোগসাজশ করে প্রতিদিন লরি প্রতি 500 থেকে 1000 টাকা করে তাঁর পকেটে ঢুকেছে ৷ যদিও এই অভিযোগ অস্বীকার করে পাল্টা ওই পঞ্চায়েত প্রধানের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ তুলেছেন জেলা সভাপতি ৷ তিনি বলেন, "এনকেএস গ্রাম পঞ্চায়েত প্রধানের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ জমা পড়েছে ৷ এরপর দলের তরফে তাঁকে ইস্তফা দিতে নির্দেশ দেওয়া হয় ৷ যদিও তিনি ইস্তফা দেননি ৷ আসলে দল যখনই তাঁর বিরুদ্ধে পদক্ষেপ করে তখনই তিনি আমার বিরুদ্ধে আঙুল তোলেন ৷"
আরও পড়ুন : Cooch Behar Cow Smuggling : কোচবিহার সীমান্তে গরু পাচার রুখতে গিয়ে জখম পুলিশ
যদিও এনকেএস গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান রানা বিশ্বাস জানিয়েছেন, বেআইনি বালি পাচার বন্ধের পিছনে সরাসরি যুক্ত থাকায় তাঁর উপর মানসিক অত্যাচার শুরু করা হয় ৷ মাফিয়াদের সঙ্গে যোগসাজশে জেলা সভাপতির দিকে আঙুল তোলায় তাঁর উপর দুর্নীতির অভিযোগ আনা হয়েছে ৷ তবে সত্যিটা যাই হোক, বালি পাচার নিয়ে অভিযোগ-পাল্টা অভিযোগে অস্বস্তিতে তৃণমূল ।