ETV Bharat / state

আর্থিক সংকটেও রাজ্য ও কেন্দ্রের ত্রাণ তহবিলে অনুদান ডুয়ার্সের চা বাগান কর্তৃপক্ষের - প্রধানমন্ত্রী ও মুখ্যমন্ত্রীর ত্রান তহবিল

লকডাউনের জেরে শুধুমাত্র আলিপুরদুয়ারের 63টি চা বাগানে প্রায় 200 কোটি টাকার ক্ষতি হয়েছে । যার সরাসরি প্রভাব পড়েছে জেলার আর্থিক পরিকাঠামোতে ।

আর্থিক সংকটেও রাজ্য ও কেন্দ্রের ত্রাণ তহবিলে অনুদান ডুয়ার্সের চা বাগান কর্তৃপক্ষের
আর্থিক সংকটেও রাজ্য ও কেন্দ্রের ত্রাণ তহবিলে অনুদান ডুয়ার্সের চা বাগান কর্তৃপক্ষের
author img

By

Published : May 8, 2020, 9:47 PM IST

আলিপুরদুয়ার, 8 মে: লকডাউনে চরম আর্থিক সংকটের মুখে পড়েছে ডুয়ার্সের চা বাগানগুলি । তা সত্ত্বেও কোরোনা মোকাবিলায় রাজ্য ও কেন্দ্র সরকারের ত্রাণ তহবিলে অনুদান দিয়ে নজির গড়ল ডুয়ার্সের একটি চা বাগান কর্তৃপক্ষ ।

লকডাউনের জেরে নড়বড়ে তরাই, ডুয়ার্স সহ পাহাড়ের চা বলয়ের আর্থিক পরিকাঠামো । গোটা দেশের চা শিল্প চরম সংকটের মুখে । তার মধ্যেও ডুয়ার্সের একটি চা বাগান কর্তৃপক্ষ কোরোনা মোকাবিলায় রাজ্য ও কেন্দ্র সরকারের পাশে দাঁড়ানোর সিদ্ধান্ত নেয় । 2019-20 অর্থবর্ষে নিজেদের লাভের অর্থ সরাসরি সরকারি কোভিড ফান্ডে তুলে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে ওই চা বাগান । সংশ্লিষ্ট চা বাগানের ম্যানেজার চিন্ময় ধর বলেন, "2019-20 অর্থবর্ষে আমাদের যা লাভ হয়েছে তার থেকে 7 লাখ টাকা ভাগ করে দুই সরকারের ত্রাণ তহবিলে তুলে দেব ।" তিনি আরও জানান, "যতদিন কোরোনা ভাইরাসজনিত সমস্যা থাকবে ততদিন আমরা কেজি প্রতি চা পাতা বিক্রি করে যে লাভ করব তার 50 শতাংশ নিজেদের কাছে রাখব । বাকি 50 শতাংশ সরকারি কোভিড ফান্ডে তুলে দেব । প্রধানমন্ত্রী ও মুখ্যমন্ত্রীর ফান্ডে আজ থেকেই অর্থ পাঠানো শুরু করেছি ।"

লকডাউনের জেরে চা বাগানগুলিতে উৎপাদন তলানিতে এসে ঠেকেছে । চা বলয়ের বিপুল পরিমাণ লোকসান এবং বাগান শ্রমিকদের দুরবস্থার কথা চিন্তা করে 7 এপ্রিল থেকে মাত্র 15 শতাংশ শ্রমিক নিয়ে বাগানের সাফাইের কাজ শুরু করেছে উত্তরের চা বাগানগুলি । 12 এপ্রিল থেকে 25 শতাংশ শ্রমিক দিয়ে শুরু হয় পাতা তোলার কাজ । ভরা মরশুমে মাত্র 25 শতাংশ শ্রমিক দিয়ে পাতা তোলার কাজ হওয়ায় লোকসান হচ্ছে চা বলয়ে ।

লকডাউনের জেরে চা বাগানগুলিতে উৎপাদন তলানিতে এসে ঠেকেছে
লকডাউনের জেরে চা বাগানগুলিতে উৎপাদন তলানিতে এসে ঠেকেছে
পরিসংখ্যান বলছে লকডাউনের জেরে শুধুমাত্র আলিপুরদুয়ারের 63টি চা বাগানে প্রায় 200 কোটি টাকার ক্ষতি হয়েছে । যার সরাসরি প্রভাব পড়েছে জেলার আর্থিক পরিকাঠামোতে । জানা গেছে, মাঝেরডাবরি চা বাগানে বছরে প্রায় 14 লাখ কেজি চা পাতার উৎপাদন হয় । তবে এই পরিস্থিতিতে 30 শতাংশ উৎপাদন নষ্ট হয়েছে । পরবর্তীতে কী হবে সেই আশঙ্কা তাড়া করছে বাগান মালিকদের । তথাপি কোরোনা মোকাবিলায় ওই বাগান কর্তৃপক্ষের আর্থিক সাহায্যকে সাধুবাদ জানিয়েছে চা বাগান মালিক ও শ্রমিক সংগঠনগুলো । ওই চা বাগানের ম্যানেজার চিন্ময় ধর জানান, চলতি বছরের মার্চ মাস থেকে জুন পর্যন্ত প্রায় 2 লাখ কেজি চা পাতা উৎপাদন হলে সরকারের ঘরে অন্তত 15 লাখ টাকা সরাসরি টাকা তুলে দিতে পারবেন । টি অ্যাসোসিয়েশন অফ ইন্ডিয়ার ডুয়ার্স শাখার সচিব রাম অবতার শর্মা বলেন, "এটি মহৎ কাজ । দেশে অনেক চা বাগান রয়েছে । তবে আর্থিক সংকটের মধ্যেও অনুদান দিয়ে নজির তৈরি করেছে এই চা বাগান । উত্তরবঙ্গের অন্যান্য চা বাগানগুলি এই পদক্ষেপ দেখে অনুপ্রাণিত হবে বলেই আমরা আশাবাদী ।" বর্তমানে উত্তরবঙ্গের 302টি চা বাগানে মাত্র 25 শতাংশ চা শ্রমিক নিয়েই কাজ চলছে ।

আলিপুরদুয়ার, 8 মে: লকডাউনে চরম আর্থিক সংকটের মুখে পড়েছে ডুয়ার্সের চা বাগানগুলি । তা সত্ত্বেও কোরোনা মোকাবিলায় রাজ্য ও কেন্দ্র সরকারের ত্রাণ তহবিলে অনুদান দিয়ে নজির গড়ল ডুয়ার্সের একটি চা বাগান কর্তৃপক্ষ ।

লকডাউনের জেরে নড়বড়ে তরাই, ডুয়ার্স সহ পাহাড়ের চা বলয়ের আর্থিক পরিকাঠামো । গোটা দেশের চা শিল্প চরম সংকটের মুখে । তার মধ্যেও ডুয়ার্সের একটি চা বাগান কর্তৃপক্ষ কোরোনা মোকাবিলায় রাজ্য ও কেন্দ্র সরকারের পাশে দাঁড়ানোর সিদ্ধান্ত নেয় । 2019-20 অর্থবর্ষে নিজেদের লাভের অর্থ সরাসরি সরকারি কোভিড ফান্ডে তুলে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে ওই চা বাগান । সংশ্লিষ্ট চা বাগানের ম্যানেজার চিন্ময় ধর বলেন, "2019-20 অর্থবর্ষে আমাদের যা লাভ হয়েছে তার থেকে 7 লাখ টাকা ভাগ করে দুই সরকারের ত্রাণ তহবিলে তুলে দেব ।" তিনি আরও জানান, "যতদিন কোরোনা ভাইরাসজনিত সমস্যা থাকবে ততদিন আমরা কেজি প্রতি চা পাতা বিক্রি করে যে লাভ করব তার 50 শতাংশ নিজেদের কাছে রাখব । বাকি 50 শতাংশ সরকারি কোভিড ফান্ডে তুলে দেব । প্রধানমন্ত্রী ও মুখ্যমন্ত্রীর ফান্ডে আজ থেকেই অর্থ পাঠানো শুরু করেছি ।"

লকডাউনের জেরে চা বাগানগুলিতে উৎপাদন তলানিতে এসে ঠেকেছে । চা বলয়ের বিপুল পরিমাণ লোকসান এবং বাগান শ্রমিকদের দুরবস্থার কথা চিন্তা করে 7 এপ্রিল থেকে মাত্র 15 শতাংশ শ্রমিক নিয়ে বাগানের সাফাইের কাজ শুরু করেছে উত্তরের চা বাগানগুলি । 12 এপ্রিল থেকে 25 শতাংশ শ্রমিক দিয়ে শুরু হয় পাতা তোলার কাজ । ভরা মরশুমে মাত্র 25 শতাংশ শ্রমিক দিয়ে পাতা তোলার কাজ হওয়ায় লোকসান হচ্ছে চা বলয়ে ।

লকডাউনের জেরে চা বাগানগুলিতে উৎপাদন তলানিতে এসে ঠেকেছে
লকডাউনের জেরে চা বাগানগুলিতে উৎপাদন তলানিতে এসে ঠেকেছে
পরিসংখ্যান বলছে লকডাউনের জেরে শুধুমাত্র আলিপুরদুয়ারের 63টি চা বাগানে প্রায় 200 কোটি টাকার ক্ষতি হয়েছে । যার সরাসরি প্রভাব পড়েছে জেলার আর্থিক পরিকাঠামোতে । জানা গেছে, মাঝেরডাবরি চা বাগানে বছরে প্রায় 14 লাখ কেজি চা পাতার উৎপাদন হয় । তবে এই পরিস্থিতিতে 30 শতাংশ উৎপাদন নষ্ট হয়েছে । পরবর্তীতে কী হবে সেই আশঙ্কা তাড়া করছে বাগান মালিকদের । তথাপি কোরোনা মোকাবিলায় ওই বাগান কর্তৃপক্ষের আর্থিক সাহায্যকে সাধুবাদ জানিয়েছে চা বাগান মালিক ও শ্রমিক সংগঠনগুলো । ওই চা বাগানের ম্যানেজার চিন্ময় ধর জানান, চলতি বছরের মার্চ মাস থেকে জুন পর্যন্ত প্রায় 2 লাখ কেজি চা পাতা উৎপাদন হলে সরকারের ঘরে অন্তত 15 লাখ টাকা সরাসরি টাকা তুলে দিতে পারবেন । টি অ্যাসোসিয়েশন অফ ইন্ডিয়ার ডুয়ার্স শাখার সচিব রাম অবতার শর্মা বলেন, "এটি মহৎ কাজ । দেশে অনেক চা বাগান রয়েছে । তবে আর্থিক সংকটের মধ্যেও অনুদান দিয়ে নজির তৈরি করেছে এই চা বাগান । উত্তরবঙ্গের অন্যান্য চা বাগানগুলি এই পদক্ষেপ দেখে অনুপ্রাণিত হবে বলেই আমরা আশাবাদী ।" বর্তমানে উত্তরবঙ্গের 302টি চা বাগানে মাত্র 25 শতাংশ চা শ্রমিক নিয়েই কাজ চলছে ।
ETV Bharat Logo

Copyright © 2025 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.