কলকাতা, 25 জুলাই: মীরাবাঈ চানুর রুপোলি ছটার মাঝে টেবিল টেনিসে সুতীর্থা মুখোপাধ্যায়ের লড়াকু জয় আশা জাগাচ্ছে । প্রথমবার অলিম্পিকসে অংশগ্রহণ করছেন 25 বছর বয়সী এই টেবিল টেনিস খেলোয়াড় । দ্বিতীয় রাউন্ডে তাঁর প্রতিপক্ষ পর্তুগাল । প্রথম রাউন্ডে জয়ের পরে অনেক বেশি আত্মবিশ্বাসী সুতীর্থা মুখোপাধ্যায় ।
ভারতীয় দলের কোচ সৌম্যদীপ রায়ের কাছে গোটা বছর অনুশীলন করেন তিনি । অলিম্পিকসে তাঁকেই কোর্টের পাশে পেয়ে স্বস্তিতে সুতীর্থা । যদিও ভারতীয় দলের কোচের পরামর্শ নিতে অস্বীকার করেছেন মণিকা বাত্রা। যা নিয়ে তোলপাড় দেশের টেবিল টেনিস ক্রীড়াজগত । একই সঙ্গে গেমস ভিলেজে ভারতীয় দলের টেবিল টেনিসের সাজঘরের ছবিটা মোটের উপর ভাল নেই তা সহজেই সকলে বুঝতে পারছেন । পারস্পরিক দ্বন্দ্ব এখন তীব্র । তবে সুতীর্থা সেদিকে নজর দিতে রাজি নন । ইতিমধ্যে সৌম্যদীপ এবং সুতীর্থা দু'জনের সঙ্গেই কথা হয়েছে পৌলমী ঘটকের ।
"সুতীর্থার বৈশিষ্ট্য হল একমুখী মানসিকতা । প্রথম রাউন্ডে লড়াই করে জয় পেয়েছে ও । মাথায় রাখবেন, লকডাউনের জন্য প্রতিযোগিতামূলক খেলা সেভাবে হয়নি । ফলে সোনিপথের জাতীয় শিবির আর কলকাতায় সামান্য কয়েকদিন অনুশীলন করে অলিম্পিকের মঞ্চে । তাছাড়া যেকোনও প্রতিযোগিতার প্রথম ম্যাচ সবসময় কঠিন । সুতীর্থা সেই চাপটা কাটিয়ে ফেলেছে । আমি কিন্তু ওর মধ্যে চেনা ছন্দে ফেরার ইঙ্গিত দেখেছি," বলেন পৌলমী ঘটক।
আরও পড়ুন: সোমবার নজরে বঙ্গতনয়া সুতীর্থা, নামছেন মণিকাও
অফিস থেকে ছুটি নিয়ে বাংলার টেবিল টেনিস খেলোয়াড়কে অলিম্পিকসের জন্য তৈরির কাজের নেপথ্য কারিগর ছিলেন মৌমা। প্রাক্তন জাতীয় চ্যাম্পিয়ন বিশ্বাস করেন," যদি পরপর দু‘টো উপরের ক্রমপর্যায়ের খেলোয়াড়কে হারাতে পারে তাহলে শেষ আটে যাওয়ার ক্ষমতা সুতীর্থার রয়েছে । অতীতে এই উদাহরণ সুতীর্থার রয়েছে । ওর খেলার সবচেয়ে বড় বিষয় হল, নিয়ন্ত্রণ । ব্যাকহ্যান্ড শক্তিশালী দিক। বোর্ডের উপর অনেকক্ষণ খেলতে পারে। তাছাড়া ইউরোপীয় খেলোয়াড়দের বিরুদ্ধে ওর রেকর্ড ভাল । তাই আমি তো ফিঙ্গার ক্রশ করে রয়েছি ।" সুতীর্থাকে নিয়ে আশার কথা শোনা গেল মৌমা দাসের গলাতেও ।