কলকাতা, 15 সেপ্টেম্বর : টোকিয়ো অলিম্পিকসে সোনা জিতেছেন মাস দেড়েকও হয়নি ৷ দেশবাসী এখনও তাঁর সোনা জয়ে বিভোর ৷ তিনি অবশ্য পরের লক্ষ্যে অবিচল ৷ মঙ্গলবারই কলকাতায় পা-রেখেছেন 'সোনার ছেলে' নীরজ চোপড়া ৷ বুধবার লালবাজারে এসে আবেগে ভাসলেন বছর তেইশের এই তরুণ। কীভাবে কলকাতা মতো মেট্রো শহরের আইনব্যবস্থা থেকে শুরু করে ট্র্যাফিকব্যবস্থা সামলানো হয়, কমিউনিটি পুলিশিংয়ের কাজ কীভাবে হয়, তা জেনে সত্যি ম্লান হাসি হাসেন নীরজ।
অলিম্পিকসে সোনা জয়ের পরে প্রথমবার তিলোত্তমায় পা-রাখেন নীরজ ৷ এদিন কলকাতায় এক অনুষ্ঠানে নিজের সাফল্যের পিছনে পরিবারের সমর্থন এবং ত্যাগ স্বীকারের কথা জানিয়েছেন তিনি। জ্যাভলিনের বাইরে ভলিবল খেলতে ভালবাসেন। এখনও সুযোগ পেলেই ভলিবল খেলতে নেমে পড়েন । তার এই ক্রীড়াপ্রেম নিয়ে প্রথমে পরিবার আপত্তি করলেও পরে উৎসাহ দিয়েছে । নীরজের অলিম্পিকস সাফল্য ভারতীয় খেলাধুলোর প্রতি সাধারণের দৃষ্টিভঙ্গির বদল ঘটিয়েছে, এ বিযয়ে কোনও সন্দেহ নেই ৷ তিনি শুধু ক্রীড়াবিদ নন, সেনাবাহিনীর সেলিব্রেটি সদস্যও। তাই কলকাতা পুলিশের হেড কোয়ার্টারে এসে একটু বেশি আপ্লুত হন হরিয়ানার এই তরুণ ৷
আরও পড়ুন: প্যারিস অলিম্পিকসে লক্ষ্য কী, জানিয়ে দিলেন নীরজ
টোকিয়ো অলিম্পিকসে সোনার মেডেল জেতার অনুভূতির কথা এবং সোনার মেডেল লালবাজারের আধিকারিকদের দেখান নীরজ ৷ এদিন শহরের এক সংবর্ধনা অনুষ্ঠান শেষ করে কলকাতা পুলিশের সদর দপ্তর লালবাজারে আসেন ভারতীয় এই জ্যাভলিন থ্রোয়ার ৷ এদিন তাঁর হাতে ফুলের স্তবক তুলে দিয়ে সোনার ছেলেকে লালবাজারে স্বাগত জানান কলকাতা পুলিশের নগরপাল সৌমেন মিত্র। উপস্থিত ছিলেন কলকাতা পুলিশের একাধিক উচ্চোপদস্থ আধিকারিক। তাঁকে পুরো লালবাজার ঘুরে দেখান নগরপাল নিজেই। পাশাপাশি নিয়ে যাওয়া হয় ট্র্যাফিক কন্ট্রোল রুম থেকে কন্ট্রোল রুমে। পরে কলকাতা পুলিশের সমস্থ উচ্চপদস্থ আধিকারিকদের সঙ্গেও কথা বলেন নীরজ।
টোকিয়ো অলিম্পিকসে 87.58 মিটার জ্যাভলিন ছুড়ে সোনা জয় করার পাশাপাশি ভারতীয় অ্যাথলেটিকস জগতে ইতিহাসে নতুন লিখেছেন হরিয়ানার এই তরুণ। তাঁর বর্শায় সোনা জয়ের খবরে দেশের মানুষ আপ্লুত হয়েছে । 'গোল্ডেন বয়'-কে ঘিরে এখন থেকে প্যারিস অলিম্পিকসের স্বপ্ন দেখতে শুরু করেছে দেশবাসী ৷