কার্ডিফ, 6 জুন : কাটল ছ'দশকেরও বেশি সময়ের খরা । বিশ্বকাপ ফুটবলের মূলপর্বে প্রবেশ করল গ্যারেথ বেলের ওয়েলস । প্লে-অফ ফাইনালে রবিবার ঘরের মাঠে ওয়েলসের প্রতিপক্ষ ছিল যুদ্ধবিধ্বস্ত ইউক্রেন । ভাল খেলেও আত্মঘাতী গোলে বিশ্বকাপে যাওয়ার স্বপ্ন শেষ হল জেলেনস্কির দেশের ছেলেদের (Wales beat Ukraine to qualify for the WC after 64 years) ।
রাশিয়া সেদেশে আক্রমণের পরবর্তী সময় থেকে ইউক্রেনের জাতীয় দলের অধিকাংশই ক্লাব ফুটবল থেকে বিচ্ছিন্ন । এমতাবস্থায় রবিবাসরীয় কার্ডিফ সিটি স্টেডিয়ামে বেলদের হারাতে পারালে ঐতিহাসিক মুহূর্তের সাক্ষী থাকত ইউক্রেন । ওলেকজান্ডার পেত্রাকোভের ছেলেরা হারের মতো ফুটবলও এদিন উপহার দেয়নি । কিন্তু 'সল্ট অফ দ্য সকার' গোল এদিন মাথা কুটেও পায়নি শেভচোঙ্কোর দেশ ।
উলটে ৩৪ মিনিটে আত্মঘাতী গোলে হতাশা বাড়ান আন্দ্রে ইয়ার্মোলেঙ্কো (Andriy Yarmolenko scored a own goal) । গ্যারেথ বেলের ফ্রি-কিক থেকে ইউক্রেন তারকার আত্মঘাতী গোল ৬৪ বছর বিশ্বকাপের মূলপর্বে জায়গা করে দেয় ওয়েলসকে । যদিও তেকাঠির নীচে ওয়েলস গোলরক্ষক ওয়েন হেনেসের বিশ্বস্ত দস্তানাকে উপেক্ষা করা যায় না কোনওভাবেই । দ্বিতীয়ার্ধে ব্যবধান বাড়ানোর সুযোগ এসেছিল অ্যারন রামসের কাছেও । কিন্তু তিনি হেলায় নষ্ট করেন তা ।
আরও পডুন : আট বছর পর মাঠে নেমে গোল হোর্তার, তবু জয় এল না পর্তুগালের
ম্যাচ হারলেও গ্যালারিতে দু'হাজার ইউক্রেন দর্শকের উপস্থিতি এদিন সেরা বিজ্ঞাপন ছিল কার্ডিফ স্টেডিয়ামের । দেশে আভ্যন্তরীণ সমস্যাকে উপেক্ষা করে যেভাবে এদিন জিনচেঙ্কো, ইয়ারেমচুকদের হয়ে গলা ফাটায় ইউক্রেন জনতা, তা সত্যিই তারিফযোগ্য । যদিও এর যোগ্য মর্যাদা না-দিতে পারায় ম্যাচ শেষে হতাশা গ্রাস করে ইউক্রেন ফুটবলারদের । অন্যদিকে ওয়েলসের সাজঘরে তখন উচ্ছ্বাস ।