কলকাতা, 9 এপ্রিল : রবিবার বেলা 11টায় কলকাতায় পা রাখছে শ্রীলঙ্কার ফুটবল ক্লাব ব্লু স্টার এফসি (Sri Lanka club Blue Star FC to reach Kolkata tomorrow morning)। এএফসি কাপে এটিকে মোহনবাগানের বিরুদ্ধে প্রাথমিক পর্বের ম্যাচ খেলতে টানা দু'দিন অনুশীলন করে মঙ্গলবার মাঠে নামার কথা তাদের ৷ দ্বীপরাষ্ট্রের টালমাটাল অবস্থা সামলে তিলোত্তমায় পা রাখছে ব্লু স্টার ৷ তাই 90 মিনিটের যুদ্ধ জিতে তারা সমর্থকদের খুশি করতে চাইবে ধরে নেওয়া যায়। আর প্রতিপক্ষের মরিয়া মনোভাব আঁচ করেই সতর্ক এটিকে-মোহনবাগান ।
কোচ জুয়ান ফেরান্দো প্রস্তুতিতে কোনও খামতি রাখতে নারাজ। ঘরের মাঠে সমর্থকদের সামনে খেলা। তাই ভালো ফুটবল খেলেই তিন পয়েন্টে পাখির চোখ ৷ প্রীতম কোটাল বলছেন, "গতবছর সরাসরি খেললেও এবার পরিস্থিতি ভিন্ন | দুটো কোয়ালিফায়িং ম্যাচ জিতে মূলপর্বে প্রবেশের ছাড়পত্র মিলবে ৷ তাই এবছরের এএফসি কাপ আরও কঠিন। শ্রীলঙ্কা দলটি রক্ষনাত্মক ফুটবল খেলে। ওদের প্রতি-আক্রমণ সামলে আমাদের সেরাটা নিংড়ে দিতে হবে ৷"
আইএসএলে রক্ষণের ভঙ্গুরতা এটিকে মোহনবাগানকে বারংবার ভুগিয়েছে ৷ এএফসি কাপে সেই ভুলের পুনরাবৃত্তি মানেই ভুগতে হবে। রক্ষণ এবং আক্রমণের ভারসাম্যে তাই বাড়তি জোর দিচ্ছেন ফেরান্দো ৷ সবুজ-মেরুন গোলরক্ষক অমরিন্দর সিং বলছেন, "শ্রীলঙ্কার সঙ্গে নেপালের ক্লাবটির খেলা আমরা দেখেছি ৷ প্রতিপক্ষকে খাটো করে দেখার কোনও কারণ নেই। কোচ সেভাবেই ছক সাজাচ্ছেন ।"
আরও পড়ুন : প্রথমবার ক্লাব তাবুতে জুয়ান ফেরান্দো, ঘুরে দেখলেন পরিকাঠামো
আইএসএলে এটিকে মোহনবাগানের আক্রমণের সেরা অস্ত্র ছিলেন লিস্টন কোলাসো ৷ জাতীয় দলে খেলার সময় নাকে চোটও পেয়েছিলেন। চোট সারিয়ে ফের অনুশীলনে তিনি। ফেরান্দোর তুরুপের তাস তিনি। কেরল উইঙ্গার বলছেন, "চোট সারিয়ে এখন সুস্থ ৷ আইএসএলে পাঁচটি গোল করেছি। গতবছর এএফসি কাপে খেলার অভিজ্ঞতা রয়েছে। এবার এএফসি কাপে সাফল্য পেলে মরশুমটা সাফল্য দিয়ে শেষ করতে পারব।"