কলকাতা, 29 ডিসেম্বর: কন্যাশ্রী কাপে (2023-24) চ্যাম্পিয়ন হল শ্রীভূমি । রানার্স ইস্টবেঙ্গল ।
শুক্রবার কিশোর ভারতী ক্রীড়াঙ্গনে ছয় দলের এই প্রতিযোগিতার ‘চ্যাম্পিয়নশিপ রাউন্ড’-এর পঞ্চম তথা শেষ ম্যাচ ছিল । চ্যাম্পিয়ন হতে হলে ইস্টবেঙ্গলের প্রয়োজন ছিল জয় । শ্রীভূমির দরকার ছিল ড্র । এই অবস্থায় খেলতে নেমে লাল হলুদের মেয়েরা 1-2 গোলে পরাজিত হয় শ্রীভূমি এফসির কাছে ৷ শ্রীভূমির হয়ে গোল করেন রিম্পা হালদার, মৌসুমী মুর্মু । ইমামি ইস্টবেঙ্গল এফসির হয়ে গোল করেন মমতা মাহাতো ।
গতবছরের চ্যাম্পিয়ন ইমামি ইস্টবেঙ্গল এফসিকে হারাতে যথেষ্ট লড়াই করতে হয়েছে শ্রীভূমিকে । 65 মিনিট 10 জনে খেলে জয় তুলে নেন সুজাতা করের শ্রীভূমি । প্রথমার্ধেই রিম্পা হালদার ও মৌসুমী মুর্মুর গোলে 2-0 ব্যবধানে এগিয়ে যায় শ্রীভূমি । এর পরেই শ্রীভূমির মৌসুমী মুর্মু লাল কার্ড দেখে মাঠ ছাড়ায় 10 জনে খেলতে হয় তাঁদের । বিরতির পরে গোল শোধের মরিয়া চেষ্টা চালায় ইমামি ইস্টবেঙ্গল । দ্বিতীয়ার্ধের মাঝামাঝি সময়ে মমতা মাহাতো ইস্টবেঙ্গলের হয়ে ব্যবধান কমান ।
লাল হলুদের ক্রমাগত আক্রমণের সামনে শ্রীভূমির গোলরক্ষক অদ্রিজা সরখেল ঢাল হয়ে দাঁড়ান । সময় যত এগিয়েছে, ততই লম্বা হয়েছে অদ্রিজার হাত । তাঁর প্রতিরোধের কাছে হার মানে ইস্টবেঙ্গলের যাবতীয় আক্রমণ । ম্যাচের সেরা শ্রীভূমির রিম্পা হালদার । এ দিন কিশোর ভারতী স্টেডিয়ামে উপস্থিত ছিলেন রাজ্যের মন্ত্রী সুজিত বসু । তিনি চ্যাম্পিয়ন দলকে উৎসাহিত করেন । এ ছাড়াও উপস্থিত ছিলেন আইএফএ সচিব অনির্বাণ দত্ত ।
চ্যাম্পিয়ন হওয়ার পরে মন্ত্রী সুজিত বসু জানিয়েছেন, দীর্ঘদিনের পরিশ্রমের ফসল এই চ্যাম্পিয়ন হওয়া । গতবছর ইস্টবেঙ্গলের কাছেই হেরে পরাজিত হয়েছিল শ্রীভূমি । এবার তাদের হারিয়েই খেতাব, যা মধুর প্রতিশোধ বলা যেতে পারে । এবার মেয়েদের আই লিগে ভালো ফল করার জন্য দল ঝাঁপাতে হবে ।
শ্রীভূমির কর্তা ও আইএফএর সহসচিব রাকেশ ঝা জানিয়েছেন, গত সাত-আট বছরের চেষ্টা অবশেষে পূর্ণতা পেল । একাধিকবার তীরে এসে তরী ডুবেছে । এবার 65 মিনিট দশ জনে খেলে চ্যাম্পিয়ন হওয়ার পেছনে রয়েছে মেয়েদের হার না মানা মনোভাব । অপারাজিত ভাবে কন্যাশ্রী কাপ চাম্পিয়ন হয়ে শ্রীভূমি ফুটবল ক্লাব বাংলার প্রতিনিধি হিসেবে ইন্ডিয়ান উইমেন্স লিগ-2 এ খেলার ছাড়পত্র পেল ।
অপরাজিতভাবে চ্যাম্পিয়ন শ্রীভূমি । শ্রীভূমি সুপার সিক্সের পাঁচ ম্যাচে চারটি জয় ও একটি ড্র করে 13 পয়েন্ট পেয়েছে । 27টা গোল করেছে ও 2টি গোল খেয়েছে । অন্যদিকে ইস্টবেঙ্গলের গ্রুপ লিগে সাতটি ম্যাচে 6টি জয়, 1টি ড্র ৷ লাল হলুদ খেলোয়াড়রা গোল করেছেন 41টি, গোল খেয়েছেন 2টি ৷ পয়েন্ট পেয়েছিল 19 । প্রাথমিক পর্বে সর্বোচ্চ গোল সুলঞ্জনা রাউলের (15) । চ্যাম্পিয়নশিপ রাউন্ডে ইস্টবেঙ্গলের 5টি ম্যাচে 3টি জয়, 1টি ড্র ও 1টি পরাজয় ৷ তারা গোল করেছে 11টি। গোল হজম করেছে তিনটি ৷ পয়েন্ট 10। সর্বোচ্চ গোল তুলসী হেমব্রমের (4) ৷
আরও পড়ুন: