কলকাতা, 20 অগস্ট: সাদার্ন সমিতির দ্বিতীয় গোল হওয়ার পর মোহনবাগান মাঠে ইডেনের দিকের গ্যালারিতে এক মধ্যবয়স্ক সবুজ-মেরুন সমর্থক অমর বসু অচৈতন্য হয়ে পড়লেন। আইএফএ'র অ্যাম্বুলান্স তাঁকে হাসপাতালে নিয়ে যায়। আপাতত তিনি সুস্থ। তবে রবিবাসরীয় দুপুরে হারের ধাক্কায় জর্জরিত মোহনবাগান সুপার জায়ান্ট। কলকাতা লিগে প্রথম হারের স্বাদ পেলেন বাস্তব রায়। সাদার্ন সমিতির 2-0 গোলে জয় ছিনিয়ে নিল। জোড়া গোল করে নায়ক সৌগত হাঁসদা।
এই হারের ফলে নয় ম্যাচে 20 পয়েন্টে দাঁড়িয়ে মেরিনার্সরা। 10 ম্যাচ পরে ডায়মণ্ড হারবার 23 পয়েন্টে। সমসংখ্যক ম্যাচ খেলে কালিঘাট এমএস 21 পয়েন্টে দাঁড়িয়ে। মাথার উপরে রোদ, নীচে কাদা মাঠ। এমন পরিস্থিতিতে ফুটবল খেলা বাধা হয়ে দাঁড়ায়। এই পরিস্থিতিতে ভালো খেলার জন্য দরকার বাড়তি পরিশ্রম এবং ফিটনেস। মোহনবাগান সুপার জায়ান্টের ছেলেদের পারফরম্যান্সে সেই তাগিদটাই ছিল না। 19 মিনিটে প্রথম গোল সাদার্ন সমিতির। সৌগত হাঁসদার শট রাজু বাসফোরের গায়ে লেগে জালে চলে যায়।
চার মিনিট পরে ফের গোল সাদার্ন সমিতির। এবারও গোলদাতা সৌগত। দ্বিতীয় গোলের দায় সবুজ-মেরুন রক্ষণভাগের। কিংবদন্তি ফুটবলার গোষ্ঠ পালের জন্মদিনে মোহনবাগান রক্ষণের এই বেহাল দশা সত্যিই দুঃখজনক। প্রথম 25 মিনিটে দু'গোলে পিছিয়ে পড়ার পড়ে কিয়ান নাসিরি, নাওরেম নংদম্বা, সুহেল ভাটরা আক্রমণ শানালেন সাদার্ন রক্ষণের জাঁতাকলে আটকে গেলেন। পাশাপাশি প্রশংসা প্রাপ্য সাদার্ন গোলরক্ষক দিব্যেন্দু বিশ্বাসের। একাধিক মোহবাগান আক্রমণ তাঁর বাড়ানো হাতে সামনে আটকে গেল।
ম্যাচের সেরা সৌগত হাঁসদা বহরমপুরের ছেলে। বাবা জেলাস্তরে খেললেও তিনি প্রথম কলকাতা মাঠে খেলতে এসেছেন। 22 বছরের ছেলেটি মোহনবাগান সুপার জায়ান্টের সমর্থক এবং সুনীল ছেত্রীকে আদর্শ মানেন। প্রিয় দলের বিরুদ্ধে গোল করে খুশি। কোচ রঞ্জন ভট্টাচার্য বলছেন তাঁদের পরিকল্পনা খেটে যাওয়াতেই সাফল্য এসেছে। মোহনবাগান সুপার জায়ান্ট কোচ বাস্তব রায় মানছেন তাঁর দল প্রথমার্ধে খেলতে পারেনি। আপাতত ডায়মণ্ড হারবার এফসি, পিয়ারলেস এবং মহামেডান স্পোর্টিংয়ের বিরুদ্ধে ম্যাচ বাকি রয়েছে। সুপার সিক্সে জায়গা করতে এই তিন ম্যাচের প্রতিটি ম্যাচই গুরুত্ব। পয়েন্ট নষ্ট করা মানে ছিটকে যাওয়া। তাই প্রতিটি ম্যাচ ফাইনাল ধরে খেলতে চান বাস্তব।
আরও পড়ুন: জেসিন ও আমনের গোলে এরিয়ান 'বধ', সুপার সিক্স কার্যত নিশ্চিত ইস্টবেঙ্গলের