কলকাতা, 4 মে: কেরালার বিরুদ্ধে টাইব্রেকারের ব্যর্থতা খেতাব স্পর্শ করতে দেয়নি বাংলা দলকে ৷ তবে দ্বিতীয় হলেও সন্তোষ ট্রফিতে (Santosh Trophy 2022) দলের পারফরম্যান্স আদতে বাংলার ফুটবলের ভাল বিজ্ঞান বলে মনে করেন কোচ রঞ্জন ভট্টাচার্য ৷ সেই প্রাপ্তিটুকু নিয়েই সাড়ে সাতঘণ্টার বিমান যাত্রার ধকল সামলে কলকাতায় ফিরল বাংলা দল (Bengal Footballers Return to Kolkata With Sorrow Face) ৷ তবে, কোচ থেকে অধিনায়ক মনতোষ চাকলাদার, মহিতোষ রায়, দিলীপ ওঁরাওদের মুখে কোনও হাসি ছিল না ৷
আইএফএ-র কর্তা ব্যক্তিরা পুষ্পস্তবক ও মিষ্টির প্যাকেট দিয়ে বাংলা দলকে অভ্যর্থনা জানান এ দিন ৷ তবে, তা ফুটবলারদের ভেঙে পড়া মনে প্রলেপ দিতে পারেনি ৷ 117 মিনিট পর্যন্ত এগিয়ে থেকেও শেষ পর্যন্ত খালি হাতে ফিরতে হয়েছে ৷ যা সন্তোষ ট্রফি জয়ের স্বপ্ন দেখা বাংলা দলকে কার্যত ভেঙে দিয়েছে ৷ এতদিন ড্রেসিংরুমে যে জয়োল্লাস শোনা গিয়েছিল, সেখানেই সোমবার রাতে ছিল নিস্তব্ধতা, কান্না ও সব কিছু হারানোর ছবি ৷
যদিও, আইএফএ সচিব জয়দীপ মুখোপাধ্যায় নিজে কোচ এবং ফুটবলারদের উৎসাহিত করেন ৷ কিন্তু, তাতেও ছবি বদলায়নি ৷ ম্যাচের পরের দিন সকালেও ছিল হারের হতাশার ছবি ৷ কোচ রঞ্জন ভট্টাচার্য বলছেন, ম্যাচে আধিপত্য রেখেও হারতে হল ৷ প্রথমার্ধে অন্তত পাঁচটি নিশ্চিত গোলের সুযোগ তৈরি করেও গোল না করতে পারার জন্যই পরিস্থিতি কঠিন হয়ে গিয়েছিল বলে মনে করেন কোচ ৷ তবুও কোচের মতে, সন্তোষ ট্রফির পারফরম্যান্স বঙ্গ ফুটবলের জেগে ওঠার ছবি ৷ যা হয়তো আগামী মরসুমে কাঙ্খিত লক্ষ্যে পৌঁছে দেবে ৷
আরও পড়ুন : Santosh Trophy Final : তীরে এসে তরী ডুবল বাংলার, সপ্তমবার সন্তোষ জয় কেরলের
ভাল পারফরম্যান্স, লড়াকু ফুটবল সত্ত্বেও বীরের পরাজয়ের সম্মান পাচ্ছেন ফুটবলাররা ৷ নতুন মরসুমে এই ফুটবলারদের ভাল ফুটবল ক্লাব পাওয়ার নিশ্চয়তা দিচ্ছে না ৷ কয়েকজনের কাছে বড় ক্লাবের প্রস্তাব রয়েছে, ওই পর্যন্তই ৷ শহরে পা দিয়ে ভবিষ্যৎ প্রশ্নে ফুটবলাররা নিশ্চিত কিছু বলতে পারছেন না ৷ আইএফএ সচিব জয়দীপ মুখোপাধ্যায় বলছেন, সন্তোষ ট্রফিতে বাংলার পারফরম্যান্সের শেষে ময়দান কী ভাবছে সেটা জানা দরকার ? সকলের সাহায্য ছাড়া বাংলার ফুটবল এগোবে না ৷ বীরের মতো লড়াই করে পরাজিত হয়ে ফিরবে শুধু ৷