ETV Bharat / sports

Amal Dutta: অমল-আলোয় ! লাইক আ ডায়মন্ড ইন দ্য স্কাই... - Remembering Amal Dutta one of the greatest Football coaches in Kolkata Maidan on his death Anniversary

মহাকাব্যিক পঁচিশ বছর ! কখনও লাল-হলুদ, কখনও সবুজ-মেরুন। কখনও নীল জার্সির ভারত । অমল দত্ত মানে গোল বল ঘিরে শুরু স্বপ্ন দেখা বা দেখানোই নয়, অন্যের স্বপ্নকে ভেঙে চুরমার করে দেওয়াও (Amal Dutta was one of the greatest Football coaches in Kolkata Maidan)।

Amal Dutta
Amal Dutta
author img

By

Published : Jul 10, 2022, 10:17 PM IST

কলকাতা, 10 জুলাই: আন্তর্জাতিক ফুটবল থেকে বাংলার কয়েকশো যোজনের দূরত্বটা বেশ খানিকটা মুছে দিয়েছিলেন ময়দানের এক ফুটবল সন্ন্যাসী । অমল দত্ত । অমলের বদলে ডায়মন্ড দত্ত বললে অত্যুক্তি হয় না । একগুঁয়ে, নিজের বিশ্বাসে অবিচল, ময়দানে বদনামও কম ছিল না । ময়দানী ফুটবল বোদ্ধারা বলেন, তিনিই প্রথম ভারতীয় ফুটবলকে হাতে ধরে আধুনিকতার রাস্তায় হাঁটতে বাধ্য করেছেন (Amal Dutta was one of the greatest Football coaches in Kolkata Maidan) ।

সাতানব্বইয়ে তাঁর আমদানি করা সেই ডায়মন্ড সিস্টেমই ফেল করে । ফেডারেশন কাপে কার্যত উড়তে থাকা মোহনবাগানকে মাটি ধরিয়েছিল চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী পিকের ইস্টবেঙ্গল । কিন্তু ওই পর্যন্তই । অমল দত্তকে মাটি ধরাতে পারেননি ময়দানের কোনও 'প্রতিদ্বন্দ্বী'ই ।

এক লাখ তিরিশ হাজার দর্শক এসেছিলেন ওই ম্যাচ দেখতে । সেই ম্যাচে অমল দত্তের দলকে তিন গোল দিয়েছিলেন সদ্য জেসিটি থেকে ফের লাল-হলুদে ফেরা বাইচুং ভুটিয়া । তাতেও দমেননি ময়দানের 'বিদেশী' কোচ । ভাইচুংকে ‘চুং-চুং’ বলতেও কসুর করেননি । শুধু কী তাই, কোনও দিন সোসোকে ‘শশা’, ওমোলোকে ‘অমলেট’ । কারণ একটাই, যেনতেন প্রকারেণ প্রতিপক্ষের মনোবল ভেঙে দেওয়া । ইস্টবেঙ্গলের ওমোলোর মতো ডিফেন্ডার মোহনবাগানে আছেন কি না, প্রশ্নের উত্তরে বলেছিলেন, "আমার বাঘাকে (সত্যব্রত ভৌমিক) আলকাতরা মাখিয়ে নামিয়ে দিলেই ওমোলো হয়ে যাবে ।”

আরও পড়ুন : ফুটবল মক্কায় ‘বাদশা’ হয়ে ওঠার কাহিনি, ইটিভি ভারতকে শোনালেন আকবর

যাত্রা শুরু হাওড়ার বালির কোচিং ক্যাম্পে । তার পরে সন্তোষ ট্রফিতে রেলওয়েজকে কোচিং দিয়ে শুরু। 1963 তে ইস্টবেঙ্গলই কোচ অমল দত্তর প্রথম বড় ক্লাব । সেখান থেকে ওড়িশা । একেবারে আনকোরা একটা রাজ্যকে গোল বলকে ঘিরে স্বপ্ন দেখতে শিখিয়েছিলেন তিনি । 1969 সালে কলকাতায় ফেরেন মোহনবাগানের হাত ধরে । এসে বদলে দিলেন ময়দানি চাল-চলনই । বাগানের সবুজ গালিচায় ছোঁয়া দিয়েছিলেন এক টুকরো ইউরোপীয় ঘরানার । নতুন সিস্টেম, 4-2-4 । কলকাতা শুধু নতুন ফুটবলই দেখল না, গোটা মরশুম জুড়ে রীতিমতো রাজ করল মোহনবাগান । অমল দত্তের হাত ধরে লিগ, শিল্ড-ই গঙ্গাপাড়ে আসেনি । শিল্ড ফাইনালে ইস্টবেঙ্গলকে 3-0 গোলে পর্যদুস্ত করে বাগান ।

আরও পড়ুন : কসমসের জালে প্রায় বল জড়িয়ে ফেলেছিলাম, স্মৃতিচারণায় ছোটে মিয়াঁ

অমল দত্ত মানে গোল বল ঘিরে শুরু স্বপ্ন দেখা বা দেখানোই নয়, অন্যের স্বপ্নকে ভেঙে চুরমার করে দেওয়াও । দেশের সমসাময়িক কোচেরা যখন জোর দিয়েছেন দামি খেলোয়াড়ে, অমল দত্ত তখন চোখ রেখেছেন বিশ্ব ফুটবলে । তথাকথিত ছোট দল থেকে খেলোয়াড় তুলে এনে শুধু তাঁদের তারকা বানানোই নয়, পরিণত করেছেন আদন্ত টিমম্যানেও ।

ভারতীয় ফুটবলে দাপিয়ে বেড়াচ্ছেন হাবাস, ফেরান্দো, ভিকুনারা । শুধু কী তাই, কর্পোরেটে পরিণত হওয়া ভারতীয় ফুটবলও রীতিমতো জৌলুশহীন । সবুজ গালিচায় আলপনা নয়, অদ্ভুদ আকিবুকি কাটছেন দেশের তামাম বেনিয়ারা, তখন সেই ফুটবল পাগল কোচকে ভীষণ দরকার ভারতীয় ফুটবলের।

কলকাতা, 10 জুলাই: আন্তর্জাতিক ফুটবল থেকে বাংলার কয়েকশো যোজনের দূরত্বটা বেশ খানিকটা মুছে দিয়েছিলেন ময়দানের এক ফুটবল সন্ন্যাসী । অমল দত্ত । অমলের বদলে ডায়মন্ড দত্ত বললে অত্যুক্তি হয় না । একগুঁয়ে, নিজের বিশ্বাসে অবিচল, ময়দানে বদনামও কম ছিল না । ময়দানী ফুটবল বোদ্ধারা বলেন, তিনিই প্রথম ভারতীয় ফুটবলকে হাতে ধরে আধুনিকতার রাস্তায় হাঁটতে বাধ্য করেছেন (Amal Dutta was one of the greatest Football coaches in Kolkata Maidan) ।

সাতানব্বইয়ে তাঁর আমদানি করা সেই ডায়মন্ড সিস্টেমই ফেল করে । ফেডারেশন কাপে কার্যত উড়তে থাকা মোহনবাগানকে মাটি ধরিয়েছিল চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী পিকের ইস্টবেঙ্গল । কিন্তু ওই পর্যন্তই । অমল দত্তকে মাটি ধরাতে পারেননি ময়দানের কোনও 'প্রতিদ্বন্দ্বী'ই ।

এক লাখ তিরিশ হাজার দর্শক এসেছিলেন ওই ম্যাচ দেখতে । সেই ম্যাচে অমল দত্তের দলকে তিন গোল দিয়েছিলেন সদ্য জেসিটি থেকে ফের লাল-হলুদে ফেরা বাইচুং ভুটিয়া । তাতেও দমেননি ময়দানের 'বিদেশী' কোচ । ভাইচুংকে ‘চুং-চুং’ বলতেও কসুর করেননি । শুধু কী তাই, কোনও দিন সোসোকে ‘শশা’, ওমোলোকে ‘অমলেট’ । কারণ একটাই, যেনতেন প্রকারেণ প্রতিপক্ষের মনোবল ভেঙে দেওয়া । ইস্টবেঙ্গলের ওমোলোর মতো ডিফেন্ডার মোহনবাগানে আছেন কি না, প্রশ্নের উত্তরে বলেছিলেন, "আমার বাঘাকে (সত্যব্রত ভৌমিক) আলকাতরা মাখিয়ে নামিয়ে দিলেই ওমোলো হয়ে যাবে ।”

আরও পড়ুন : ফুটবল মক্কায় ‘বাদশা’ হয়ে ওঠার কাহিনি, ইটিভি ভারতকে শোনালেন আকবর

যাত্রা শুরু হাওড়ার বালির কোচিং ক্যাম্পে । তার পরে সন্তোষ ট্রফিতে রেলওয়েজকে কোচিং দিয়ে শুরু। 1963 তে ইস্টবেঙ্গলই কোচ অমল দত্তর প্রথম বড় ক্লাব । সেখান থেকে ওড়িশা । একেবারে আনকোরা একটা রাজ্যকে গোল বলকে ঘিরে স্বপ্ন দেখতে শিখিয়েছিলেন তিনি । 1969 সালে কলকাতায় ফেরেন মোহনবাগানের হাত ধরে । এসে বদলে দিলেন ময়দানি চাল-চলনই । বাগানের সবুজ গালিচায় ছোঁয়া দিয়েছিলেন এক টুকরো ইউরোপীয় ঘরানার । নতুন সিস্টেম, 4-2-4 । কলকাতা শুধু নতুন ফুটবলই দেখল না, গোটা মরশুম জুড়ে রীতিমতো রাজ করল মোহনবাগান । অমল দত্তের হাত ধরে লিগ, শিল্ড-ই গঙ্গাপাড়ে আসেনি । শিল্ড ফাইনালে ইস্টবেঙ্গলকে 3-0 গোলে পর্যদুস্ত করে বাগান ।

আরও পড়ুন : কসমসের জালে প্রায় বল জড়িয়ে ফেলেছিলাম, স্মৃতিচারণায় ছোটে মিয়াঁ

অমল দত্ত মানে গোল বল ঘিরে শুরু স্বপ্ন দেখা বা দেখানোই নয়, অন্যের স্বপ্নকে ভেঙে চুরমার করে দেওয়াও । দেশের সমসাময়িক কোচেরা যখন জোর দিয়েছেন দামি খেলোয়াড়ে, অমল দত্ত তখন চোখ রেখেছেন বিশ্ব ফুটবলে । তথাকথিত ছোট দল থেকে খেলোয়াড় তুলে এনে শুধু তাঁদের তারকা বানানোই নয়, পরিণত করেছেন আদন্ত টিমম্যানেও ।

ভারতীয় ফুটবলে দাপিয়ে বেড়াচ্ছেন হাবাস, ফেরান্দো, ভিকুনারা । শুধু কী তাই, কর্পোরেটে পরিণত হওয়া ভারতীয় ফুটবলও রীতিমতো জৌলুশহীন । সবুজ গালিচায় আলপনা নয়, অদ্ভুদ আকিবুকি কাটছেন দেশের তামাম বেনিয়ারা, তখন সেই ফুটবল পাগল কোচকে ভীষণ দরকার ভারতীয় ফুটবলের।

For All Latest Updates

ETV Bharat Logo

Copyright © 2024 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.