কলকাতা, 27 নভেম্বর: বদলার আগুনে ছারখার বাগান। এএফসি কাপের গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচে ওড়িশা এফসি'র কাছে 2-5 গোলে হেরে লণ্ডভণ্ড মোহনবাগান সুপার জায়ান্ট। 19 মিনিটে হুগো বুমোসের গোলে এগিয়ে গেলেও বাকি সময়ে ওড়িশার কাছে পাঁচ গোল খেয়ে টুর্নামেন্ট থেকে ছিটকে গেল সবুজ-মেরুন। রয় কৃষ্ণা (30 মিনিট), দিয়েগো মৌরিসিও (32 মিনিট), সাই গডার্ড (42 মিনিট), অনিকেত যাদব (92 মিনিট) সবশেষে লুয়াফেলা (95 মিনিট)-র গোলে জুয়ান ফেরান্দোর যাবতীয় স্বপ্ন চূর্ণ যুবভারতীতে। কারণ এই গ্রুপের শীর্ষস্থানীয় দলই কেবল পরবর্তী রাউন্ডে যাওয়ার সুযোগ পাবে ৷ সেক্ষেত্রে 11 ডিসেম্বর ওড়িশা এফসি বনাম বসুন্ধরা কিংসের মধ্যে ম্যাচই নির্ণায়ক হতে চলেছে আন্তঃআঞ্চলিক সেমিফাইনালে যোগ্যতা অর্জনের লক্ষ্যে ৷
62 মিনিটে ব্যবধান কমান কিয়ান নাসিরি। এই জয়ের ফলে 11 ডিসেম্বর ওড়িশা এফসি যদি ঘরের মাঠে বসুন্ধরা এফসিকে হারিয়ে দিতে পারে তাহলে পরের পর্বে চলে যাবে। প্রথম পর্বে ওড়িশা এফসি'কে তাঁদের ঘরের মাঠে 4-0 গোলে হারিয়েছিল মোহনবাগান সুপার জায়ান্ট। ভুবনেশ্বরে সেদিন সবুজ-মেরুন শানিত আক্রমণের সামনে সেদিন সার্জিও লোবেরার ছেলেরা দাঁড়াতেই পারেনি বাগানের সামনে। পরবর্তী সময়ে দৃশ্যপট বদলেছে। বসুন্ধরা কিংসের কাছে পরাজয়ে মোহনবাগান সুপার জায়ান্টের তাল কেটেছে। বাড়তি সমস্যা যোগ করেছে দিমিত্রি পেত্রাতোস, আনোয়ার আলি, আশিক কুরুনিয়ান, মনবীর সিংদের চোট ৷
যার ধাক্কা জুয়ান ফেরান্দো সামলাতে পারলেন না এদিন। সার্জিও লোবেরা ম্যাচের আগেরদিন সাংবাদিক সম্মেলনে বলেছিলেন ফুটবলার না-থাকার কথা অজুহাতের মতো শোনাবে। ম্যাচে প্রতিটি ফুটবলারই জয়ের জন্য নামবে। তারা কলকাতাতে বাড়তি উদ্দীপনা নিয়ে এসেছেন। ওড়িশা এফসি'র স্প্যানিশ কোচের কথা যে শুধুমাত্র শব্দের সমাহার ছিল না তা সোমবার সন্ধ্যার যুবভারতী ক্রীড়াঙ্গন দেখল।
বিরতির পরে খেলার রাশ তুলে নেয় মোহনবাগান সুপার জায়ান্ট। প্রেসিং ফুটবলে ওড়িশাকে কোণঠাসা করে দেয়। এই কাজে নেতৃত্ব দিলেন হুগো বুমোস। এই সময় 62 মিনিটে হুগো বুমোসের সেন্টারে মাথা ছুঁইয়ে ব্যবধান কমান কিয়ান নাসিরি। জামশেদ-পুত্রর গোল আশার আলো জ্বালালেও অতিরিক্ত সময়ে জোড়া গোল হজমে স্বপ্নের অপমৃত্যু সবুজ-মেরুনের।
আরও পড়ুন: