কলকাতা, 26 নভেম্বর: অতীত নয়, বর্তমান পরিস্থিতির ওপর দাঁড়িয়ে এএফসি কাপের চ্যালেঞ্জ সামলাতে চাইছেন জুয়ান ফেরান্দো এবং সার্জিও লোবেরা। সোমবার যুবভারতী ক্রীড়াঙ্গনে মোহনবাগান সুপার জায়ান্ট মুখোমুখি ওড়িশা এফসি'র। প্রথম পর্বের ম্যাচে ভুবনেশ্বরে গিয়ে বাজি মেরে এসেছে সবুজ-মেরুন। ফলে ফিরতি ম্যাচে ঘরের মাঠে তাদের সুবিধাজনক অবস্থায় থাকার কথা। কিন্তু দলের চোট-আঘাতের পরিস্থিতি এতটাই সঙ্গীন যে জুয়ান ফেরান্দোকে অস্বস্তিতে রেখেছে। জেসন কামিংসকে নিয়ে রবিবার সাংবাদিক সম্মেলনে এসেছিলেন।
অস্বস্তি গোপন করতেই বললেন, "আমার কাছে সোমবারের ম্যাচের তিন পয়েন্ট জরুরি। অতীতে কী হয়েছে তা নিয়ে ভাবতে চাই না। বসুন্ধরা কিংস এবং মাজিয়া এফসির সঙ্গে ম্যাচ থাকলেও তা নিয়ে ভাবার সময় আছে। সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ আমার কাছে প্র্যাকটিস। তাহলে পরিস্থিতি বুঝতে পারব। এখন অংক নিয়ে ভাবলে সময় নষ্ট হবে। আমি নিজের এনার্জি ধরে রাখতে চাই।" সাত পয়েন্ট ঝুলিতে। কিন্তু গোল পার্থক্যে পিছিয়ে থাকায় বসুন্ধরা কিংসের পিছনে মোহনবাগান সুপার জায়ান্ট।
এই অবস্থায় বাড়তি কাঁটা যোগ হয়েছে ওড়িশা এফসির ছয় পয়েন্ট নিয়ে দ্বিতীয় স্থানে দাঁড়িয়ে থাকা। কার্যত ঘাড়ের ওপর নিশ্বাস ফেলছে সের্জিও লোবেরার দল। তারা যদি যুবভারতী ক্রীড়াঙ্গনে বাজিমাত করতে পারে তাহলে হুগো বুমোসদের ছিটকে যেতে হবে। এএফসি কাপে ভালো ফলের স্বপ্ন ধাক্কা খাবে। আশা জাগিয়ে শুরু করেও মোহনবাগান সুপার জায়ান্ট বসুন্ধরা কিংসের কাছে পরাজিত হয়ে বড়সড় ধাক্কা খেয়েছে। সেই ধাক্কায় বাড়তি মাত্রা যোগ হয়েছে আশিক কুরুনিয়ান, আনোয়ার, মনবীর সিং এবং দিমিত্রি পেত্রাতোসের চোট।
চার ফুটবলারই দ্রুত ফিট হবেন সেই আশা না-করাই ভালো। অনিরুদ্ধ থাপাকে ঘিরে আশঙ্কার হালকা মেঘ। যদিও সবুজ-মেরুন হেড স্যর বলছেন অনিরুদ্ধর চোট রয়েছে এমন খবর তিনি জানেন না। দলের গুরুত্বপূর্ণ 4 ফুটবলার না-থাকলেও ফেরান্দো বলছেন তিনি চিন্তিত নন। কারণ দলের বাকি সবাই ফিট এবং মাঠে নামার জন্য মুখিয়ে রয়েছে। প্রতিপক্ষ ওড়িশা এফসির বিরুদ্ধে মোহনবাগান সুপার জায়ান্টের পরিসংখ্যান যথেষ্ট ভালো। আইএসএল কিংবা এএফসি কাপের মঞ্চ ওড়িশা এফসিকে টেক্কা দিয়েছে সবুজ-মেরুন।
বিষয়টি মাথায় রাখলেও তা নিয়ে আত্মতৃপ্ত হতে নারাজ ফেরান্দো। বরং বর্তমান প্রেক্ষাপটে দাঁড়িয়ে সাফল্যের দৌড় ধরে রাখতে চান। জুয়ান ফেরান্দোর মতো ওড়িশা এফসির কোচ সের্জিও লোবেরা বলেছেন তারা অতীতে কী হয়েছে সেদিকে তাকাতে নারাজ। এই ম্যাচ নিয়ে তারা যথেষ্ট তেতে রয়েছেন। এই ম্যাচের যাবতীয় চাপ মোহনবাগান সুপার জায়ান্টের ওপর। প্রতিপক্ষ শিবির চোট আঘাত জর্জরিত জেনেও তিনি স্বস্তি বোধ করছেন না। কারণ চোট আঘাত বা অন্য কোনও কারণে ফুটবলার না-পাওয়া গেলেও তা নিয়ে অজুহাত দেওয়া উচিত নয়। দু'টো দলই মাঠে নামে জয় পাওয়ার লক্ষ্যে। স্বপ্ন বাঁচিয়ে রাখার লড়াই মোহনবাগান সুপার জায়ান্টের। মধুর প্রতিশোধ এবং এগিয়ে যাওয়ায় চোখ ওড়িশার।
আরও পড়ুন: